তেল যুদ্ধ তৌহিদ
লিখেছেন লিখেছেন তৌহিদ ২৪ মার্চ, ২০১৫, ১১:০৯:৫৪ রাত
বর্তমানে সবচেয়ে বেশী তেলের মুজুদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোতে। এই দেশগুলো তাদের নিজেদের দেশের তেল উত্তোলন না করে অন্য দেশ থেকে তেল মুজুদ করে রাখছে। অথচ, তেল উত্তোলনকারী দেশগুলো যে পরিমাণে তেল উত্তোলন করছে তাতে বলা যায় আগামী ৫০ বছরের মধ্যে তাদের তেল খনি গুলো ফাঁকা হয়ে যাবে। শক্তিশালী দেশগুলো কম দামে কিংবা ফ্রিতে তেল পাওয়ার জন্য ধর্মের নামে জঙ্গির কথা বলে যুদ্ধ লাগিয়ে দিয়ে সহজে তেল নেওয়ার ফন্দি তৈরি করে এবং ঐ তেল নিজেদের দেশে মুজুদ করে। সাধারণত তেলের যোগান বেশী আসে সৌদিআরব, ইরান, কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আবু ধাবি, ওমান,বাহরাইন,সিরিয়া, প্রায় গোটা মধ্যপ্রাচ্য হতে। এ সব দেশের অধিকাংশ মরুভূমি ফলে, কৃষিজ জমি নাই বললেই চলে। এ সব দেশের মানুষ আহাম্মক ছাড়া কিছুই নই। তেল মূলতঃ খনিজ সম্পদ তা একদিন না একদিন অবশ্যই ফুরিয়ে যাবে। তখন কি হবে তারা তা ভাবে না। কিন্তু আমেরিকানরা তা ভাবে। যখন তেল ফুরিয়ে যাবে তখন এরাই আবার আমেরিকান, ইংরেজ, মেক্সিকানদের কাছে তেল কিনতে যাবে তবে সেদিন এই দামে তেল কিনতে পারবে না এবং সেইদিন আর বেশী দূরে নয়। তখন শুরু হবে তেলের জন্য যুদ্ধ ।সেইদিন এ সব দেশের মানুষ আমাদের দেশের মানুষকে যে ভাবে মিসকিন বলে ঠিক তারা তখন মিসকিন হবে। এরা যে ভাবে সম্পদের অপচয় করে তার হিসাব অবশ্যই একদিন দিন দিতে হবে। তাই আমাদের দেশের উচিত হবে অল্প অল্প করে হলেও তেল মুজুদ করা কারণ অচিরেই বিশ্ব তেলের সংকটে পড়তে যাচ্ছে। আর এখন যদি তেল মুজুদ করা না হয় তা হলে হয়ত একদিন তেলে অভাবে আমাদের অনেক কিছু বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের দেশের এমন কোন প্রযুক্তি নাই যে তেলের বিকল্প হিসেবে পারমাণবিক শক্তি, হাই টেকনোলজিক্যাল সোলার সিস্টেম দিয়ে আমরা শক্ত স্তম্ভ তৈরি করতে পারব।
সুতরাং, এখনই উপযুক্ত সময় ১০০ কিংবা ২০০ বছরের পরের জেনারেশনের কথা ভাবা নইতো বাংলাদেশের অস্তিত্ব একদিন হুমকির সম্মুখিন হতে পারে। আসুন আমরা সবাই দেশকে জীবনের মতো ভালবাসি।
বিষয়: বিবিধ
১৩৬০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন