অ্যাডামটিজিং
লিখেছেন লিখেছেন তৌহিদুল তুহিন ৩০ নভেম্বর, ২০১৩, ০২:০৭:১৭ রাত
কলেজ থেকে বের হয়ে মারুফের সাথে হাঁটছি।
হাঁটতে হাঁটতে মারুফ ভিড়ের মধ্যে কোন দিকে চলে গেল।আমি কি জানি ভাবছিলাম।তাই ওর কথা খেয়ালই ছিলনা।মনে পড়লো আমি কারো সাথে হাঁটছিলাম। বাট,কার সাথে মনে নাই। এদিক-ওদিক খুঁজলাম অনেক।একটু উঁচুতে উঠে হাত নাড়ালাম নেতা স্টাইলে।দেখি মারুফও গেটের বাইরে থেকে হাত নাড়াচ্ছে,মানে ওর সাথেই ছিলাম।
মারুফের পিছনেই ৩জন মেয়ে ছিল,মেয়েদের পিছনে গাড়ি ছিল।ওরা আমার দিকে ভ্যাবাচেকার মতো তাকিয়ে ছিল।বুঝলাম না!
একটু পরে মারুফের সাথে কথা বলছি কলেজ গেটের সামনে দাড়িয়ে।
তখন খেয়াল করলাম ঐ মেয়ে ৩টা ঐ গাড়িতে বসে আছে।
এপাশের মেয়েটা হঠাৎ আমার দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো।চশমা পরা শ্যামল বর্ণের মেয়ে। চেহারা দেখলে কাবিল কাবিল মনে হয়!
হঠাৎ বিশেষ অঙ্গভঙ্গি করে কিছু একটা মুখ থেকে নিয়ে আমার দিকে ছোড়া শুরু করে মেয়েটা,ফ্লায়িং কিস যাকে বলে।ভাবলাম কোনো বান্ধবীকে হয়তো উড়ন্ত চুমু দিচ্ছিল।কিন্তু তাকিয়ে দেখি আমাদের আশেপাশে কেউ নাই,তার মানে আমি আবার অ্যাডামটিজিংয়ের শিকার হলাম। মন থেকেই দু:খ পেলাম ওদের নৈতিক অবক্ষয়ের কথা চিন্তা করে।আমার উচিত ছিল তখুনি সামনে গিয়ে চুলের মুষ্ঠি ধরে ২গালে ৫টা থাপ্রানি দেয়া।কিন্তু দেয়া হল না।যদি দিতাম কি হত?
সেই মেয়ে মানুষের গণসিমপাথি নিত এবং আমাকেই টিজার প্রমাণ করা হত।
"আমিই জালিম,আমিই মজলুম।"
যাই হোক,যারা প্রগতিশিলতা তথা অশ্লীলতার পক্ষের দালাল আছেন তাদের সাথে কাল অথবা পরশু কথা হবে।অনেকের কাছে এই স্ট্যাটাস হাসির খোরাক,আমার কাছে রূঢ় বাস্তবতা।অ্যাডামটিজিংয়ের বিরুদ্ধে বলাও হয়তো আজ নারী স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যায়। তাই এই ব্যাধিটি হয়তো আজ ব্যাধি নয়,স্বাধীনতার বহি:প্রকাশ মাত্র।
স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যাবনা পাছে রাজাকার ট্যাগিত হই!
এই ব্যাধির বিরুদ্ধে আমার অফলাইনে কিছুই করার সাধ্য নাই,অনলাইনে সর্বোচচ একটা স্ট্যাটাস দিতে পারি।
"ওই মাইয়া,তোর ঘরে বাপ-ভাই নাই?"
বিষয়: বিবিধ
১৬৫৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন