ইসলামী আন্দোঃ ব্যাপক বিজয়ের আগাম বার্তা !!

লিখেছেন লিখেছেন তাজুল ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৮:০০:২৫ রাত

ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে উৎখাত অভিযান একটি শাশ্বত বাস্তবতা। এই বাস্তবতার ব্যতিক্রম কখনো ঘটেনি এবং ঘটবেও না। স্বয়ং কুরআনই এর সাক্ষ্য। (সুরা তাওবাহ ৩২, সুরা সাফ 8) (সুরা আল-আহঝাব ১০, ১১)

আজ বাংলাদেশে যা ঘটছে মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশের জন্য তা একটি বিগত ইতিহাস। তুরস্ক, জর্ডান, সিরিয়া, মিশর, তিউনিসিয়া, ইরান, আলজেরিয়া, লিবিয়া সহ অন্যান্য দেশে ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে যে নৃশংস উৎখাত অভিযান চালানো হয়েছে তা রীতিমত অবর্ণনীয়। এক কথায়, নির্বিচারে কচুকাটা করা হয়েছে। আন্দোলনের সকল প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাকআপ ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। প্রথম সারির নেতাদের হয় হত্যা অথবা নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার হল কোন দেশেই আন্দোলন দুর্বল বা ভেঙ্গে পড়েনি। এই বাস্তবতাটি পরিষ্কারভাবে বেরিয়ে এসেছে সাম্প্রতিক “আরব বসন্ত”র পর। তিউনিসিয়ার বিন আলীর দেশ ছেড়ে পলায়ন, লিবিয়ার গাদ্দাফির আত্মগোপন এবং মিশরের হুসনে মুবারকের পতনের পর দেখা গেছে এসব দেশে ইসলাম পন্থীরাই সবচেয়ে সুসংগঠিত ও বৃহত্তর রাজনৈতিক শক্তি। কারণটি খুবই পরিষ্কার। এসব দেশে অত্যাচারী স্বৈরশাসকরা নিজেদের ক্ষমতাকে স্থায়ী করতে অ-ইসলামী দলের উপরেও নিধন চালিয়েছে। কিন্তু তারা ইসলামী দলগুলোর মত সুসংগঠিত থাকাতো দুরে থাক নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেও সক্ষম হয়নি। অথবা রাখলেও নামে মাত্র। ফলে পটপরিবর্তনের পর বিশাল রাজনৈতিক শূন্যতা এসব দেশে ইসলামপন্থীদের একধরনের একক সুযোগ এনে দিয়েছে। উল্লেখ্য যে, এসব দেশে দীর্ঘ স্বৈরশাসন চলাকালে ইসলামপন্থীদের কর্মকাণ্ড মৌলিক ভাবে ব্যক্তিগত দাওয়াতি কাজ ও সমাজ সেবা মূলক কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে এবং এর মাধ্যমে গড়ে উঠে তাদের গন ভিত্তি। এসব দেশে দমন-নিপীড়ন ও নির্মূল অভিযান আপাত দৃষ্টিতে অভিশাপ মনে হলেও আজকের বাস্তবতায় তা আশীর্বাদ। “বিশ্বজগতে যে কিছুই একেবারে নষ্ট হয়না -এক আকারে যাহা ক্ষতি অন্য আকারে তাহা লাভ” (কবি রবি ঠাকুর)। কঠিন জুলুম নির্যাতনের পরও উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতের সাফল্য বাংলাদেশেও ইসলামী আন্দোঃ ব্যাপক বিজয়ের আগাম বার্তা কিনা তার জন্য হয়তোবা আরো কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

১১৬৭ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

184539
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:০১
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, জাজাকাল্লাহুল খাইরান, অনেক সুন্দর পোস্ট
184541
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:০৯
তাজুল লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম।شكرا و اياكم
184546
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:২৭
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : ভালো লাগলো আপনার লিখা
184555
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৩৪
তাজুল লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
184586
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:১২
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : আপনার বিশ্লেষন সময় উপযোগি।
নয়া দিগন্তের মাসুম খলিলীর একটা লেখায় পড়েছিলাম তিনি লিখেছেন "হান্টিংটনের সভ্যতার দ্বন্দ্ব তত্ত্বটি এ ধরনের একটি পরিস্থিতি সৃষ্টির তাত্ত্বিক ভিত্তি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়ে থাকতে পারে।
বাংলাদেশে ইসলামিক শক্তির বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে, তার সাথে মিসরীয় দমনাভিযানের অদ্ভুত মিল রয়েছে। এতে বোঝা যায় যে, ইসলামিক শক্তির বিরুদ্ধে এখন যে অভিযান চলছে, তা মূলত একই সূত্রে গাঁথা এবং একই পরিকল্পনার অংশ। এ ব্যাপারে যেখানে যে ইস্যুকে ব্যবহার করার প্রয়োজন মনে করা হয়, সেটিকে কাজে লাগানো হচ্ছে। "বলার অপেক্ষা রাখে না, আজ মুসলিম বিশ্বে যা চালানো হচ্ছে, তার তাত্ত্বিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে সভ্যতার দ্বন্দ্ব তত্ত্ব। "মুসলিম দেশ ও ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এ অভিযানের মূল কারণ হলো ইসলামিক সভ্যতার মূল চেতনা ও আদর্শকে দুর্বল করা। ধর্মীয় আদর্শগত ভিত্তিহীন মুসলিম জীবনাচরণের সাথে পাশ্চাত্য আদর্শ বা মূল্যবোধের কোনো দ্বন্দ্ব মূলত নেই। সঙ্ঘাত ধর্মীয় বিশ্বাস উৎসারিত বলেই ইসলামিক ভাবধারাকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে। ইসলামি আদর্শের নির্মূলের কথা বলে এর সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক শেকড় কেটে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

বাংলাদেশে যা ঘটছে তার পেছনেও এক প্রতিবেশী দেশের সাথে সক্রিয় ছায়া দেখা যাচ্ছে সেই ইসরাইলের। "


পোস্টের জন্য ধন্যবাদ




184592
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:২২
তাজুল লিখেছেন : বাংলাদেশে ইসলামিক শক্তির বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে তার সাথে মিসরীয় দমনাভিযানের অদ্ভুত মিল রয়েছে যেমন সত্য,দমনাভিযানের কারণে জনপ্রিয়তা বেড়েছে এটাও সত্য। মিল টা দুই দিকেই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
184608
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৩৬
সজল আহমেদ লিখেছেন : যাযাকাল্লাহু খাইরান।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৪৩
136631
তাজুল লিখেছেন : شكرا و اياكم

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File