নোবেলজয়ী সূচি ও রোহিঙ্গা, পরজীবী বুদ্ধিজীবী ী
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ওমর ফারুক ২০ নভেম্বর, ২০১৬, ০৭:৫১:০০ সন্ধ্যা
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সাঙ সুচি নিজের
ক্ষমতার পথ সুগম রাখতে নিজ দেশের
সেনাবাহিনীর পক্ষপাতিত্ব করছেন সরাসরি।
`
রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর বর্বর
হামলাকে সরাসরি অস্বীকার করেছেন সুচি।
কাটা গায়ে নুনের চিটা দিয়ে উল্টো বলেছেন
এসব হামলার জন্য রোহিঙ্গা মুসলিমরাই দায়ী।
অর্থাৎ শান্তির নারী অশান্তির বানী সরাসরি
উসকে দিয়েছেন।
`
রোহিঙ্গা মুসলিমদের ঘরবাড়ি নির্বিচারে
পুড়িয়ে ফেলা, নারীদের ধর্ষন করা, ওখানকার
সেনাবাহিনীর নিত্যদিনের পৈশাচিক আনন্দ
যোগাচ্ছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী এ পর্যন্ত প্রায়
৩০ হাজার মানুষ নিজের ভিটা ছেড়ে
পালিয়েছে। নির্বিচারে ১১২ জনকে সরাসরি
গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
`
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী কি করে এগুলা
অস্বীকার করতে পারলেন? নিজে নারী হয়ে অন্য
নারীদের ধর্ষিত হওয়ার ঘটনাগুলা কিভাবে
অস্বীকার করেন?
সেনাবাহিনীর অভিযান যদি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে
হয়,তাহলে বেসামরিক লোকজনের ঘর বাড়ি কেন
পুড়ছে?
অসহায় নারীদের কেন জঙ্গীর দোহাই দিয়ে ধর্ষন
করা হচ্ছে।
`
জঙ্গি নিধনের নাম করে অসহায় রোহিঙ্গা নিধন
হচ্ছে। বর্বতা এতটাই যে,ওখানে জাতি সংঘের
কোন ত্রান সামগ্রী প্রবেশ করাতে দেয়া হচ্ছে
না, সাংবাদিকদের বাধা দেয়া হচ্ছে ঢোকতে।
'
অং সাঙ সুচি কি করে এত বড় মিথ্যাটাকে আড়াল
করে অসহায় মানুষদের বিপক্ষে গেলেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে সুচি বরাবরই নিজেকে আড়াল
করে এসেছেন। এসব মানুষ কি করে নোবেলের
যোগ্য হয়,তাও আবার শান্তিতে। যাদের ভেতর
মানবতাবোধ বলতে কিচ্ছু নেই। ক্ষমতালোভী সুচি
সেনাবাহিনীর তোষামোদ করছে যেন
সেনাবাহিনী তার সরকারের সাথে কোন বিরোধ
না গড়ে তোলে, আর এদিকে রোহিঙ্গা
মুসলিমদের নির্যাতনে বর্বর থেকে বর্বর হচ্ছে
সেনাবাহিনী।
'
বিশ্ব নেতারা চুপচাপ, হিউম্যান রাইটস এখন
বিজি আছে। সেখানকার অসহায় মানুষদের
কান্না কারো কাছে পৌছায় না। হাজার হাজার
রোহিঙ্গারা মানুষ না, ওদের জন্ম নেয়াটাই এখন
দোষ হয়ে দাড়িয়েছে স্বার্থপর এ পৃথিবীতে।
ওদের নিধন কাজ চলছে শান্তিতে নোবেল
বিজয়ী সুচির দেশে।
অনতিবিলম্বে সুচির নোবেল কেড়ে নেয়া হোক,
সে নোবেল পাওয়ার যোগ্যতা রাখে না। ইতি
মধ্যে অনেকেই নোবেল ফিরিয়ে নেবার জন্য
স্বাক্ষর করেছ।এমন রক্তপিপাসু স্বার্থপর
মানুষদের কেবল ঘৃনাই করা যায়। তীব্র ঘৃনা।
ধিক্কার জানাই মানবতাকে। ধিক্কার জানাই
শান্তি পথিক নামক কিছু ক্ষমতা লোভীদের।
[ তার নোবেল বিজয়ী ফেরত নিতে দাবী জানাতে! https://www.change.org/p/take-back-aung-san-suu-kyi-s-nobel-peace-prize ]
মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের সাথে ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের তুলনা চলে,
আর বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের তুলনা চলে আমেরিকার সংখ্যালঘু ইহুদীদের সাথে
গত কয়েকদিন ধরে রোহিঙ্গা সমস্যা বৃদ্ধির পর থেকে বাংলাদেশের নাস্তিক ও হিন্দুরা ‘রোহিঙ্গাদের তুলনা করছে বাংলাদেশের হিন্দুদের সাথে’। দাবি করছে- দু’টো দলই নাকি নির্যাতিত। আমার মনে হয় তারা পাঠক শ্রেনীকে মিসগাইড করার চেষ্টা করছে।
আসলে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের তুলনা করা উচিত ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের সাথে। কেননা উভয়ই একইভাবে নিগৃহিত, নিপীড়িত ও নির্যাতিত। উদাহরণ দিলে বুঝতে সুবিধা হবে।
রোহিঙ্গাদেরকে সরকারি ভাবে নিধন করা হচ্ছে, তাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, রোহিঙ্গারা নাকি বাংলাদেশী, তারা বাংলাদেশে চলে যাক। আবার ভারতেও কিন্তু একই অবস্থা। ভারতেও বাংলাভাষী মুসলমানদের বাংলাদেশী বলে দাবি করছে ভারতের স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী এবং প্রায় ২ কোটি মুসলমানকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। (http://bit.ly/2g84JOg)
বলাবাহুল্য, যেখানে ভারত সরকার বাংলাদেশের হিন্দুদেরকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলে (http://bit.ly/2guqGdG), সেখানে শুধু মুসলমান হওয়ার কারণে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি কতটা হিংস্র সাম্প্রদায়িকতা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশের একজন মন্ত্রী হিন্দুদের মালাউন বলেছে বলে দাবি করে (কোন দলিল দেখাতে পারেনি তারা) কত আন্দোলন করলো হিন্দুরা, সেখানে ভারতের খোদ স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী প্রকাশ্যে মুসলমানদের তাড়িয়ে দেয়ার কথা বলছে, একমাত্র জঙ্গলের গোমূত্রখোর জঙলীদের পক্ষেই তা বলা সম্ভব।
গণহত্যার বিষয়টিও একইরকম। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতে মুসলিম নিধনে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ। অপরদিকে বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকে হিন্দু বিরোধী দাঙ্গার সংখ্যা কত ? কতজন হিন্দুকে দাঙ্গা করে হত্যা করা হয়েছে ? আমি জানি স্বাধীনতার পর কোন হিন্দু দাঙ্গার কোন খবর দিতে পারবে না। যা দিতে পারবে তা হলো মন্দির ভাঙ্গার খবর। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে অধিকাংশ মন্দির ভাঙ্গার ঘটনা বানোয়াট । সেগুলো সাম্প্রদায়িক রং লাগিয়ে প্রকাশ করা হয়। আমার মনে হিন্দুরা হিসেবে ধরা খাবে তখনই, যখন তারা মন্দির ভাঙ্গার খবর দিতে পারবে, কিন্তু হতাহতের কোন খবর দিতে পারবে না। অথচ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় গণহত্যার বিষয়টি স্বাভাবিক। কিন্তু রাতের আধারে (!) অলৌকিকভাবে মন্দির যখন ভাঙ্গে তখন স্বাভাবিক প্রশ্ন উঠে, মন্দির যখন ভাঙ্গলো তখণ হিন্দুরা নিহত হলো না কেন ?
যাই হোক, এবার আসি বাংলাদেশের হিন্দুদের ক্ষেত্রে। যারা এখন বাংলাদেশে আছে তারা জানে আওয়ামী সরকারের আমলে হিন্দুরা হচ্ছে সুপার-মাইনোরিটি। সুপার মাইনোরিটি বলা হয় আমেরিকার ইহুদীদেরকে। ইহুদীরা আমেরিকার প্রশাসন-চাকুরীসহ সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যায়গা পায়। তাদেরকে ভিভিআইপি পার্সন হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। কেউ তাদের আঘাত করলে, গালি দিলে ঐ ব্যক্তিকে এমনভাবে হেনস্থা করা হয় যা অন্য কোন অপরাধে করা হয় না। সব রাজনৈতিক নেতা ওদেরকে তেল দেয়, নির্বাচনের সময় সবাই বলে- “ক্ষমতায় গেলে ইহুদীদেরকে আরো সুবিধা দেয়া হবে।” ঠিক একই অবস্থা বাংলাদেশেও। সরকারী চাকুরী, প্রশাসনসর্বত্র গণহারে হিন্দু। জনংসংখ্যার ২ থেকে ৩%, কিন্তু চাকুরী-প্রশাসনে ২৫%। হিন্দুদের বিরোধীতা করলে সে যেই হোক, আওয়ামীলীগ হোক আর মন্ত্রীমিনিস্টার হোক তাকে চরমভাবে হেনস্থা ও অপমান করা হয় (অনেক ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে)। সব রাজনৈতিক নেতা হিন্দুদের সারা দিন তেল দেয় । তবে আমেরিকা আর বাংলাদেশের পার্থক্য হচ্ছে, আমেরিকায় ইহুদীরা অর্থনীতি ও জ্ঞানে এগিয়ে খ্রিস্টানদের শাসন করে , আর বাংলাদেশে আওয়ামী সরকার ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে ভারতের পা চাটে, আর সেই পা-চাটার একটা সিস্টেম হচ্ছে হিন্দুদের ঘাড়ে তোলা।
বাংলাদেশের হিন্দুরা যদি নির্যাতিতই হতো তবে বাংলাদেশে ৩০ হাজার পূজা মণ্ডপ হওয়া সম্ভব ছিলো না, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পূজা মণ্ডপ (বাগেরহাটে) হওয়া সম্ভব ছিলো না , পৃথিবীর সবচেয়ে উচু পূজা মণ্ডপ (নোয়াখালী) বাংলাদেশে হতো না। বাংলাদেশের হিন্দুরা যদি নির্যাতিতই হতো তবে ভারত থেকে দূর্গা পূজা করতে হিন্দুরা বাংলাদেশে আসতো না, বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতো।
বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, বসতে দিলে শুতে চায়। শুতে দিলে ঘুমিয়ে যায়'। বাংলাদেশের হিন্দুদের হয়েছে সে অবস্থা। ৪৭ এ থাকতে দিয়েছেন, এখন ঘাড়ে চড়ে বসেছে। মুসলমানদের বেকার করে চাকুরী হাতিয়ে নিচ্ছে। মুসলমানদের তাড়িয়ে জমিজমা দখল করছে। আর প্রায় মুসলমানদের রাষ্ট্রধর্ম তুলে দিতে মামলা করছে।
তারপরও যারা দাবি করছে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা আর সংখ্যালঘু হিন্দু এক, তারা গোমূত্র খোর ছাড়া আর কিছু না।
#stopmuslimkilling
#stopmuslim
বিষয়: বিবিধ
১৪৬১ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
I just signed the petition "Sheikh Hasina: Open the borders for Rohingya's" and wanted to see if you could help by adding your name.
Our goal is to reach 100 signatures and we need more support. You can read more and sign the petition here:
https://www.change.org/p/sheikh-hasina-open-the-borders-for-rohingya-s-b1586c78-81f5-4d3f-8980-1fb2392fb984?recruiter=638197193&utm_source=share_petition&utm_medium=email&utm_campaign=share_email_responsive
মন্তব্য করতে লগইন করুন