ভারত কেন ধর্ষণের সর্গরাজ্য।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ওমর ফারুক ০৭ অক্টোবর, ২০১৬, ১১:৩৮:৪৫ রাত
গাইবান্ধা জেলায় ক্লাস-৬ এর মুসলিম ছাত্রী ইতি আক্তার সীমা’কে ধর্ষণ করেছে সুন্দরগঞ্জ ডিগ্রী মহিলা কলেজের হিন্দু শিক্ষক অশোক কুমার সরকার। সীমার অবস্থা এখন খুব খারাপ, সে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লাড়ছে। এ অবস্থায় গ্রেফতার হওয়া হিন্দু শিক্ষক আশোক কুমার সরকারের ফাঁসি চেয়ে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী-শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসীসহ সর্বস্তরের জনগণ।
খবরটি গাইবান্ধায় বেশ তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় মিডিয়ায় খবরটি এসেছে, কিন্তু এত আন্দোলনের পরও মেইনস্ট্রিম মিডিয়া খবরটি প্রচার করছে না। কারণ ধর্ষক একজন হিন্দু শিক্ষক।
(বিস্তারিত: ক) http://bit.ly/2djE6mE , খ) http://bit.ly/2djDcXE , গ) http://bit.ly/2cWG1Bu )
আরো পড়তে পারেন- বাংলাদেশে হিন্দু শিক্ষক কর্তৃক মুসলিম ছাত্রী ধর্ষণের মহোৎসব-
১. গত কয়েক বছর আগে মিডিয়া তোলপাড় করা ভিকারুননিসা নুন স্কুলে লম্পট হিন্দু শিক্ষক পরিমল জয়ধরের কথা অবশ্যই সবার মনে আছে। এই লম্পট হিন্দু শিক্ষক স্কুলের পাশে বাসা ভাড়া করে প্রাইভেট পড়ানোর নাম দিয়ে ছাত্রীদের নিয়মিত সম্ভ্রমহরণ করত, তা ভিডিওতে ধারন করে রাখত এবং সুযোগ বুঝে বার বার ব্ল্যাকমেইল করত। সে সময় পরিমল ছাড়াও ভিকারুননিসা নুন স্কুলে নারী ঘটিত অপকর্মের জন্য আরো ৫ হিন্দু শিক্ষকের নাম আসে। এরা হলো বরুণ চন্দ্র বর্মণ, বিষ্ণুপদ বাড়ৈ, বাবুল কুমার কর্মকার, বিশ্বজিৎ চন্দ্র মজুমদার ও প্রণব কুমার ঘোষ। (দৈনিক প্রথম আলো, ৬ জুলাই, ২০১১)
২. রাজধানীর তেজগাঁও সিভিল এভিয়েশন হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিন্দু ধর্মালম্বী রতন কুমার পাল ছাত্রী-শিক্ষিকা ও মহিলা অভিভাবকদের উপর দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানি করে আসছিল। এই লম্পট বিভিন্ন ভয়ভীতি ও লোভ দেখিয়ে বহু ছাত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে। (দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা গত ৩১শে জুলাই, ২০১১)
৩. চট্টগ্রাম সিটির তিন স্কুলে হিন্দু শিক্ষকরা ধরা পড়ে ছাত্রী নির্যাতনে। এই তিন লম্পট হিন্দু শিক্ষক হলো- কৃষ্ণকুমারী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সুমন কান্তি শীল, লালখান বাজার শহীদনগর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রণধীর দাস এবং ফতেয়াবাদ শৈলবালা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের আশীষ রাহা। শুধু চট্টগ্রাম স্কুল না, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চন্দন কুমার পোদ্দার নামক এক হিন্দু শিক্ষক তার বাসার কাজের মেয়েকে সম্ভ্রমহরণ করার সময় ধরা পড়ে। এ ঘটনা নিয়ে চবিতে ব্যাপক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। (খবর: ২১শে এপ্রিল ২০১১ দৈনিক প্রথম আলো)
৪. ভোলা জেলার লালমোহনে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে সম্ভ্রমহরণ করে অমূল্য দাস নামক এক হিন্দু শিক্ষক (খবর: দৈনিক আমারদেশ, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৩)।
৫. গত ৮ই মে, ২০১২ ভোলা জেলার লালমোহনে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক বাবু ভব সিন্ধুর বড়িতে এক ছাত্রী পরীক্ষা পাশের মিষ্টি নিয়ে আসলে তাকে শ্লীলতাহানী করে ঐ হিন্দু শিক্ষক। (সূত্র: সামাজিক ওয়েবসাইট)
৬. ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বোরহানউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১১ সালে ঐ স্কুলের ১০ম শ্রেণীর ৪ ছাত্রীকে সম্ভ্রমহরণ করে ধরা পড়ে শিশির কুমার দে নামক এক হিন্দু ধর্ম শিক্ষক। (২৪শে জুলাই, ২০১১ বিজয় নিউজ২৪ এ প্রকাশিত হয়)
৭. ঝালকাঠি জেলার পাওতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধ হিন্দু শিক্ষক রনজিৎ নট্ট ৫ম শ্রেনির এক ছাত্রীকে নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে সম্ভ্রমহরণ করে। এতে ঐ মেয়েটি সন্তানসম্ভাবা হয়ে পড়ে । (খবর: বাংলানিউজ২৪ডটকম, ১৪ই জানুয়ারি ২০১২)
৮. পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের হিন্দু শিক্ষক ড. অলোক কুমার বহু দিন ধরে যে কেলেঙ্কারি করছিল তা ফাঁস হয়ে যায় এক মোবাইল টেপের মাধ্যমে। এক ছাত্রীর সাথে দীর্ঘ ১৮ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে মোবাইল কথপোকথনে অলোক কুমার কিভাবে সেই মেয়েকে প্রলোভন দেখায় এবং একই সাথে কিভাবে ফুসলিয়ে বহু মেয়ের সর্বনাশ করে সে নিজেই সেখানে তার বিষদ বর্ণনা দেয়। সেই আলাপে নিজেকে লাম্পট্য জগতের রাজা বলেও দাবি করে হিন্দু শিক্ষক অলোক। (খবর: ইউকেবিডি নিউজ, ৪ঠা জুন, ২০১২)
৯. টাঙ্গাইলে, দেলদুয়ার উপজেলার দাড়িয়াপুর মেজর জেনারেল (অব) মাহমুদুল হাসান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার সাহা (৫৫) ওই বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে নির্যাতন করে তার ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলের জন্য। এই ঘটনায় সন্তানসম্ভাবা হয়ে পড়ে মেয়েটি। (খবরটি দৈনিক জনকণ্ঠে ২৮শে জুলাই ২০১১ তে প্রকাশিত হয়)
১০. মাগুড়া জেলার মুহম্মদপুরের ভাবনপাড়া গ্রামে টিউটোরিয়াল পরীক্ষা নেবার কথা বলে ভজন কুমার নামে এক স্কুল শিক্ষক পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে সম্ভ্রমহরণ করে। (দি এডিটর, ১৬ই জুলাই ২০১১) ১১ নোয়াখালী জেলার কবিরহাটে শংকর চন্দ্র ভৌমিক (৩৮) নামের এক হিন্দু স্কুলশিক্ষক তার মালিকানাধীন স্টুডিওতে ছবি তুলতে গেলে ৩৭ বছর বয়সী এক মহিলাকে শ্লীলতাহানী করে। এই ঘটনায় ধরা পড়লে ঐ শিক্ষককে ছয় মাসের সশ্রম কারাদ- দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। (দৈনিক জনকণ্ঠ, ২০শে জুলাই, ২০১১)
১২. বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়নের কালবিলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে নির্যাতন করে সতিশ চন্দ্র গাইন নামক এক হিন্দু শিক্ষক। এতে উক্ত হিন্দু শিক্ষকে বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ। (বাংলানিউজ২৪, ১৪মে ২০১২)
১৩. লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট মিল্লাত একাডেমির হিন্দু শিক্ষক মিহির দাস কর্তৃক মুসলিম ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে ছাত্র-ছাত্রীরা। তারা মিহির দাসের শাস্তি চায়। ইতিমধ্যে প্রতিবাদস্বরূপ ক্লাস বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা। (সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক, ৫ই জুন, ২০১৬)
১৪. বরিশালে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিলো হিন্দু শিক্ষক স্বপন মণ্ডল (৪ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫)
তাই সাবধান, আপনার মেয়েকে ভুলেও হিন্দু শিক্ষকের কাছে পাঠাবেন না।
বিষয়: বিবিধ
১৪৭৮ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হিন্দুরা এরকম কাজ করা থেকে নিজেদেরকে বের করে আনতে পারে না ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন