পশ্চিমা গণমাধ্যমে ‘নতুন ধর্মযুদ্ধে’র যে একপক্ষীয় সংবাদ @ ( #WWROIslam
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ওমর ফারুক ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১১:১১:৫০ রাত
গত ১১ নভেম্বর
প্যারিসে সন্ত্রাসী
হামলার রেশ কাটতে
না কাটতেই
‘সন্ত্রাস'-এর দাপটে
আফ্রিকার ছোট্ট দেশ
মালিও হঠাৎ চলে আসে
সংবাদের শিরোনামে।
যদিও সাধারণ মানুষের
একটা বড় অংশ
জানতই না এই ‘মালি'
নামক দেশটি পৃথিবীর
ঠিক কোন প্রান্তে।
হঠাৎ কেন সেখানে এত
বড় একটা সন্ত্রাসী
কাণ্ড ঘটে গেল? তবে
সাধারণভাবে মানুষের
ধারণা, মালির ঘটনা
সন্ত্রাসবাদীদের এক
ঘৃণ্য কীর্তি।
এতে সবাই
সন্ত্রাসীদের
মুণ্ডুপাত করল। একথা
ঠিক, সন্ত্রাসের
নিন্দা হওয়াটা
অবশ্যই জরুরি, তা সে
পৃথিবীর যে প্রান্তেই
ঘটে থাকুক না কেন?
কিন্তু একই সঙ্গে
এটাও তো দেখা দরকার
যে, সেই সন্ত্রাসের
পেছনে আরও কী ঘটনা
রয়েছে। এই সন্ত্রাস
কি নিছকই একতরফা
কারও অপকীর্তি,
নাকি তার পিছনে
আরও বড় কোনও
সন্ত্রাস রয়েছে?
মুশকিল হচ্ছে,
আমাদের এই সংবাদ
জানানোর দায়িত্ব যারা
নিয়েছে সেই মহান
সংস্থাগুলি নিজ-নিজ
দেশ ও জাতির স্বার্থে
তাদের সংবাদের ঝাঁপি
উপুড় করে দুনিয়ার সব
কিছু সকলের চোখের
সামনে আদৌ তুলে
ধরতে চায় না।
ফলে পৃথিবীর একটা
বড় অংশই আমাদের
কাছে অন্ধকারে ঢাকা
থেকে যায়। পশ্চিমা
দুনিয়ার
সংবাদমাধ্যমগুলো
সেইটুকুই শুধু প্রচার
করে যা সেই সব দেশের
স্বার্থের পক্ষে
অনুকূল। আর তাদের
স্বার্থের সামান্যতম
পরিপন্থী কিছু ঘটলে
সেই খবর চলে যায়
জঞ্জালের ঝুড়িতে।
এই রকম উদাহরণ
অজস্র দেওয়া যায়,
যার সর্বশেষ নজির
হয়তো আফ্রিকা
মহাদেশের মালি নামক
ছোট্ট দেশটির
সাম্প্রতিক ঘটনাবলি।
এখানে বলে রাখা ভালো
যে, আমাদের সমস্ত
সংবাদমাধ্যম দেশের
বাইরে বাকি দুনিয়ার
খবর পাওয়ার জন্য
সাধারণত নির্ভর করে
বিভিন্ন
আন্তর্জাতিক সংবাদ
সংস্থার উপর, যারা
পৃথিবীর নানা
প্রান্তের যাবতীয়
ঘটনার খবরাখবর
প্রতিনিয়ত সরবরাহ
করে থাকে৷
দীর্ঘদিন ধরে তিন
বৃহৎ সংবাদ সংস্থা
আমেরিকার
‘এপি' (Associated Press),
ব্রিটেনের
‘রয়টার্স' (Reuters) আর
ফরাসি দেশের
‘এএফপি' (Agence France
Presse) আন্তর্জাতিক
সংবাদের দুনিয়ায়
মাতববরি করছে
দশকের পর দশক ধরে।
এরা জানালে মানুষ
খবর জানে, এরা
ভাবালে মানুষ ভাবে,
এরা হাসালে মানুষ
হাসে, এরা কাঁদালে
মানুষ কাঁদে। যেমন,
প্যারিসের
সন্ত্রাসবাদী হানায়
শতাধিক মানুষের
মৃত্যুর পর এই ত্রয়ী
মিলে এমন
কান্নাভেজা খবরের
বন্যা বইয়ে দিল যে,
এত দূরে বসেও আমরা
একটু-আধটু না কেঁদে
থাকতে পারলাম না।
নিরীহ মানুষজনের
এমন মর্মান্তিক
মৃত্যুর পর কান্নায়
কোনও দোষ নেই৷ বরং
মানবিক হৃদয়ে সেটাই
স্বাভাবিক।
প্রশ্ন হলো,
আন্তর্জাতিক সংবাদ
সংস্থাগুলো প্যারিস ও
মালির সন্ত্রাসী
ঘটনা নিয়ে দিনভর
গোটা দুনিয়াকে কান্না-
কান্না আর আতঙ্কের
খবরে ভাসিয়ে দিয়েছে,
তারা কি মালি নামক
দেশটিতে গত প্রায়
তিন বছর ধরে কী
কাণ্ড চলেছে সেই
খবর বিস্তারিতভাবে
কখনও জানানোর
প্রয়োজন মনে করেছে?
এমন একটা ভাব
দেখানো হচেছ যেন
সন্ত্রাসটা
একতরফাই চলছে।
যত দোষ ইসলামি-
সন্ত্রাসীদের। হ্যাঁ,
অবশ্যই এরা দোষী,
এরা অপরাধী। যে
কোনও কারণেই হোক,
এভাবে মানুষ হত্যা
কিছুতেই মেনে নেওয়া
যায় না। এই সব
সন্ত্রাসী হত্যার
আগে কী ঘটছে, তা-ও
তো দুনিয়াকে জানানো
উচিত। কিন্তু এই
আন্তর্জাতিক সংবাদ
সংস্থাগুলো সেভাবে
কখনওই জানায়নি।
বরং একপেশে খবর
সরবরাহ করে দুনিয়ার
মানুষকে বিভ্রান্ত
করা হয়েছে। এই সংবাদ
সংস্থাগুলি নিরপেক্ষ
থাকলে মালিতে
ফ্রান্স গত প্রায় তিন
বছর ধরে কী
সন্ত্রাস চালাচ্ছে
এবং তাকে কোন-কোন
দেশ নানাভাবে
সহযোগিতা করছে,
সেই সমস্ত সংবাদও
একই রকম বড়
আকারে মানুষের কাছে
আসতে পারত। তা
কিন্তু আদৌ আসেনি।
সোজা কথায়,
প্যারিসের পর
মালিতেও যে
সন্ত্রাসের ঘটনা
ঘটেছে তা আচমকা
কিছু নয়। ইসলামি
গোষ্ঠীর (‘Mojwa' অর্থাৎ
.. ‘Movement for Oneness
and Jihad in West Africa')
অগ্রগমন ও সন্ত্রাস
ঠেকানোর নাম করে
ফ্রান্স তার প্রাক্তন
উপনিবেশের পুতুল-
সরকারের অনুরোধে গত
২০১২ সালের ২০
ডিসেম্বর থেকে
সামরিক অভিযান
চালিয়েছে।
২০১৪ সালের ১৫ জুলাই
পর্যন্ত প্রথম দফার
যে অভিযান চলে তার
একটা নামও দেওয়া
হয়েছিল–‘সারভাল' (
Serval–এক ধরনের
আফ্রিকান বিড়াল)।
তারপর ২০১৪-র
আগস্ট থেকে শুরু হয়
‘বারখানে' (Barkhane) নাম
দিয়ে দ্বিতীয় দফার
সামরিক অভিযান।
আকাশ ও স্থলপথ, দু'-
দিক দিয়েই চলে
ফরাসি সেনাবাহিনীর
লাগাতার আক্রমণ। এই
সেনা অভিযানে
ইসলামি গোষ্ঠীর পাঁচ
শীর্ষ নেতার মধ্যে
তিনজনই নিহত হন।
তাদের নাম (১) আবদেল
হামেদ আবু জেইদ, (২)
ওমর ওল্ড হামেহা এবং
(৩) আবদেল করিম।
আর দুই নেতা মোখতার
বেল মোখতার ও ইয়াদ
আগ ঘালি কোনওরকমে
প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে
যান–একজন লিবিয়ায়,
অন্যজন
আলজিরিয়ায়।
মালিতে এই সামরিক
অভিযানে ফ্রান্সের
পক্ষ থেকে
সর্বাধুনিক যেসব
যুদ্ধবিমান নিয়োগ করা
হয়েছিল তার মধ্যে
ছিল মিরেজ, কেসি
১৩৫
স্ট্র্যাটোট্যাংকার, সি
-১৬০ ট্রান্সল, রাফালে
ফাইটার জেট, হাফরাং-
ইউএভি ইত্যাদি।
পাঠানো হয়েছে
পদাতিক সেনাও।
এয়ারবাস এ-৩১০ আর
এয়ারবাস এ-৩৪০,
অর্থাৎ বড়-বড়
যাত্রীবাহী বিমানে
ফরাসি ঘাঁটি থেকে
সৈন্যদের পাঠানো
হয়েছে মালি নামক ওই
ছোট্ট দেশটিতে
ইসলামি বাহিনীকে
ঠেকাতে। এরা নিশ্চয়ই
হাতে বাইবেল আর
গলায় তুলসীর মালা
পরে খ্রিস্টনাম আর
কৃষ্ণনাম জপ করতে
করতে সেখানে যায়নি।
কিন্তু এই ফরাসি
সেনাবাহিনী
আকাশপথে আর
স্থলপথে কত মানুষের
মৃত্যু ঘটিয়েছে তার
হদিশ কোথাও নেই। ওই
সুদূর আফ্রিকার খবর
কেই-বা আর রাখবে?
যাদের দায়িত্ব
বিশ্বকে এই সব
সংবাদ পরিবেশন
করার, তারা তো বরাবর
একচক্ষু হরিণের
ভূমিকা পালন করে
চলেছে।
নিজ-নিজ দেশের
সরকারের অপরাধের
খবর পাঠিয়ে এরা
নিজেরা ‘অপরাধী' হতে
চায় না। তাই ওবামা
আর ওঁলাদরা শত
সন্ত্রাস করেও পার
পেয়ে যান। মিডিয়ার
প্রচারের গুণে অথবা
জোরে আসল
সন্ত্রাসীরাই হয়ে
যান সন্ত্রাসের
প্রতিবাদী,
প্রতিরোধী এবং
পরিত্রাতাও। সত্যিই
কী বিচিত্র এই
দুনিয়া। পশ্চিম
এশিয়ার সিরিয়ার
পাশাপাশি উত্তর
আফ্রিকার মালির
মতো দেশে ফ্রান্সের
আগ্রাসী সেনা
অভিযানের প্রধান
সহযোগী অবশ্যই
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
এবং তার সঙ্গে
ব্রিটেনও। ইউরোপে
ফ্রান্সের
প্রতিবেশীরা,
ইউরোপীয় ইউনিয়নের
সদস্যরাও প্রায় সবাই
একযোগে এসে
দাঁড়িয়েছে ফ্রান্সের
পাশে। তাদের মধ্যে
রয়েছে বেলজিয়াম,
জার্মানি,
নেদারল্যান্ডস, স্পেন,
সুইডেন, ডেনমার্ক
এবং আটলান্টিকের
ওপারের দেশ কানাডাও৷
এদের সকলেরই নাকি
একটাই আতঙ্ক,
নাকের ডগায় ‘ইসলামি
সন্ত্রাসীরা' জাঁকিয়ে
বসলে তাদের দেশের
নিরাপত্তার কী হবে!
সুতরাং আগেভাগেই
তাদের তাড়াও। মাথা
তোলার সুযোগই দিও না।
সম্ভাব্য সন্ত্রাসের
আশঙ্কায় অথবা
সন্ত্রাসের ধুঁয়া তুলে
আগাম সন্ত্রাস। এ
যেন শুরু হয়েছে এক
নুতন ধর্মযুদ্ধ–
ইউরোপীয় খ্রিস্ট আর
আফ্রো-এশীয় মুসলিম
ধর্মের মানুষের
সংঘাত। এর শেষ
কোথায় কে জানে!
কিন্তু পশ্চিমি সংবাদ
সংস্থা এত খবর
আমাদের দেয় না।
সিরিয়া-ইরাক তবু
পশ্চিম এশিয়ার দেশ
বলে তাদের খবর
সবসময় এড়িয়ে যেতে
পারে না। সেই খবরেরও
অধিকাংশ আসে হয়
বিকৃত হয়ে, নয়তো
একপেশে। পশ্চিমি
সংবাদ সংস্থাগুলিই
আসলে ‘বিক্রিত' হয়ে
রয়েছে তাদের নিজ-
নিজ দেশের
মালিকদের কাছে।
স্বাধীনভাবে সব খবর
দেওয়ার মতো
অবস্থাতেই তারা আর
নেই। তাই কোথাও
ফরাসি বা মার্কিন
‘ড্রোন' হানার খবর
দেওয়া হয় এমনভাবে
যেন তা খুব গর্ব করার
বিষয়। ড্রোন যে মানুষ
মারতেই হানা দিচ্ছে,
সাধারণের কাছে সেই
বার্তাই ঠিকমতো
পৌঁছায় না।
আর পৌঁছলেও তার
মধ্যে এমন একটা ভাব
থাকে যেন এই কাজ
যথার্থ– যা হয়েছে,
বেশ হয়েছে। কিন্তু
পাল্টা মার এলে
‘সন্ত্রাস সন্ত্রাস'
বলে কান্নার রোল তুলে
দেওয়া হয় মানুষের
সমর্থন ও সমবেদনা
কুড়ানোর জন্য।
সংবাদমাধ্যমে সংবাদ
আর ছবির বন্যা বয়ে
যায় তখন। কত রক্ত
আর অশ্রূ বয়ে যায়
সেই সব ছবিতে।
কিন্তু আকাশ থেকে
বিমানবাহিনী বা
ড্রোন, অথবা স্হলপথে
সেনা যখন মানুষ
মারতে যায় তখন
একবারও কি মনে হয়
না যে, যাদের মারা
হচেছ তাদেরও শরীরে
রক্ত আছে, তাদেরও
পরিবার-পরিজনের
অশ্রূ আছে। স্বজন-
বিয়োগব্যথায় তাদের
চোখেও অশ্রূর বন্যা
বইতে পারে। সহজ
কথায় বললে, দুনিয়ার
খবরের জন্য যে
পশ্চিমি
সংবাদমাধ্যমের উপর
আমরা সকলে নির্ভর
করে থাকি, আস্থা
রাখি অগাধ, তারা
বিভ্রান্ত করছে গোটা
বিশ্বের মানুষকে।
অসত্য, অর্ধসত্য
সংবাদ পাঠিয়ে মানুষের
সহজাত আবেগকে ভুল
পথে পরিচালিত করে
দিচ্ছে। প্রথম বিশ্বের
বাইরে এই সব
ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র
দেশকে এরা বরাবরই
অবহেলার চোখে দেখে।
এশিয়া-আফ্রিকা-
লাতিন আমেরিকার
অনগ্রসর দেশ তো
বটেই, এমনকী
উন্নয়নশীল দেশের
মানুষের খবরও এদের
কাছে ব্রাত্য। তাই
মালির মতো অশিক্ষা
আর দারিদ্র্য কবলিত
দেশে সামরিক
অভিযানের কথা,
হত্যালীলার কথা
তাদের সংবাদে আসে
না। কিন্তু পাল্টা
আক্রমণ যখন হয়,
তখন ‘সন্ত্রাস
সন্ত্রাস' বলে আকাশ-
বাতাস ফাটানো
আর্তনাদ চলে।
বেলজিয়াম
সন্ত্রাসের আতঙ্কে
ভুগলে দিস্তা-দিস্তা
খবর আসে, কিন্তু তার
এই আশঙ্কা কেন, সে
কথা কখনও মানুষকে
জানতে দেয় না।
লুকিয়ে রাখে তার
অপরাধ। আমাদের
দুর্ভাগ্য, সংবাদ জগতে
এই অন্ধকার থেকে
মুক্তির কোনও পথ
এখনও আমাদের সামনে
নেই।
যদিও দুনিয়া অনেক
বদলে গিয়েছে,
যোগাযোগ ব্যবস্থায়
বিপ্লব এসেছে। গোটা
দুনিয়া এক লহমায় চলে
আসতে পারে হাতের
মুঠোয়। তবু আমাদের
সংবাদের জন্য মুখ
চেয়ে থাকতে হয়
গুটিকয়
সংবাদমাধ্যমের দিকে।
কেন বারে-বারে এই
পশ্চিমি একপেশে
খবরের শিকার হতে
হবে অবশিষ্ট
বিশ্বকে?
প্রতিকারের কি
কোনও উপায় নেই?
বিষয়: বিবিধ
১৬২৪ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অতি সহি ধার্মিক হতে গিয়ে আজ মুসলিমরা কয়েক ডজন উপদলে বিভক্ত হয়ে গেছে। এবং নিজেরা নিজেরা মারামারিতে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। অতচ হিন্দু ধর্মের এত বর্নশ্রেনী থাকা সত্বেও তারা আজ এক শ্রেনীতে অন্তভুক্ত হতে যাচ্ছে।
আমাদের উচিত হবে সহি ইসলাম ভিত্তিক আন্দোলনে না গিয়ে মুসলিম কমিউনিটি ভিক্তিক আন্দোলনে যাওয়া। যাতে সব মুসলিম এক হতে পারে।
(আপনার লেখাটি পড়তে খুব কষ্ট হয়েছে কারন এক লাইনে ২-৩ ওয়ার্ডের বেশি লেখেন নি।)
আমি কি বলেছি ইসলাম মিডিয়া নির্ভর নির্ভর ধর্ম? আমি বলেছি যে মুসলিম কমিউনিটির স্বার্থে মিড়িয়া দরকার। তাছাড়া মানব জাতির কাছে ইসলামের বার্তা পৌছাতেও মিড়িয়া দরকার আছে। বর্তমান যুগে মিডিয়ার বিকল্প নাই। মিডিয়ার অভাবে আজ মুসলিমরা নির্যাতিত হয়েও টেররিস্ট ট্যাগ খাচ্ছে। বানানো হচ্ছে সন্ত্রাসী।
মন্তব্য করতে লগইন করুন