ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের অসম্প্রদায়িক কান্ঠ । বিশ্বমানবতাই আঘাত নয় কেন ?

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ওমর ফারুক ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৪:০৩:০৫ বিকাল

আমাদের দেশে অনেক সুশিল কে দেখি ধর্মের কথা বললেই ভারতের উদহারণ দেই । ভারতে নাকি সব ধর্মের অনুসারিরাই নিরাপদ !!

হ্যা ! সবাই নিরাপদ তবে হিন্দু হলে । আপনারা নিশ্চই জানেন গত কয়েকদিন পূর্বে দুশত মুসলিম কে কী ভাবে হিন্দু ধর্মে কনভার্ট করছে । আর ওরা "ঘর ওয়াফসি"

(ঘরে ফিরে আসে/ Back to home) নামে কী আবস্থা করতেছে তা আপনাদের অজানা নয় । আবার তার মাঝেই এক নেতা ঘোষনা দিয়েই দিছে "২০২১ সালের মধ্যেই এক ধর্ম এক দেশ সেটাই হল হিন্দুদের ভারত । এমন কী তার জন্য আর্থ সংগ্রহ করতেছেন । তারা এ জন্য নির্দিষ্ট ধর্মের জন্য নির্দারীত দামও । পারবে কী ইসলামকে রুখতে ??

কেন পারবে না

এই খানে চোখ রাখুন

আর নিচের তথ্য গুলো দোখুন ।

  • নোট ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টীতে দেখবেন ।


  • ভারতের সম্প্রতি

    উগ্রবাদী হিন্দু

    সংগঠন বিশ্বহিন্দু

    পরিষদের (ভিএইপি)

    শীর্ষ নেতা অশোক

    শিঙ্ঘোল বলেছে,

    “প্রত্যেক হিন্দু

    পরিবারের উচিত

    কমপক্ষে ৫টি করে

    সন্তান নেয়া,

    নয়তো অতিশীঘ্রই

    ভারতে হিন্দুদের

    সংখ্যালঘুতে পরিণত

    হতে হবে।”

    উল্লেখ্য,

    এ ধরনের

    কথা এই প্রথম নয়,

    এর আগেও উগ্র

    হিন্দুত্ববাদী সংগঠন

    আরএসএস’র জয়েন্ট

    সেক্রেটারি

    দত্তত্রেয়া

    হোসাবেলি

    বলেছিল,

    “হিন্দুদের

    বেশি

    করে সন্তান

    নেয়া উচিত,

    নয়তো খুব শীঘ্রই

    হিন্দুরা ভারতে

    সংখ্যালঘুতে পরিণত

    হতে যাচ্ছে।”

    আরো

    উল্লেখ্য, উগ্র

    হিন্দুত্ববাদী সংগঠন

    আরএসএস’র

    ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য

    মতে,

    ২০৩৫

    সালে ভারতের

    জনসংখ্যা ১৯৭.৭

    কোটি হবে, যার

    মধ্যে অর্ধেক

    তো অবশ্যই

    বরং একটি বিরাট

    সংখ্যাগুরু

    জনগোষ্ঠীতে

    পরিণত

    হবে মুসলমানগণ।

    প্রকৃতপক্ষে

    ভারতে

    মুসলিম

    জনসংখ্যা

    নিয়ে

    সবসময়

    লুকোচুরি

    করে গেছে

    ভারতের

    হিন্দুত্ববাদী

    সরকারগুলো,

    প্রকাশ

    করেনি প্রকৃত

    সংখ্যাটা।

    মিথ্যাচার

    যে কোন

    পর্যায়ে পৌঁছেছে তার

    উদাহরণ

    দেখুন, ২০১০

    সালে ৩রা মার্চ

    হায়দ্রাবাদ

    থেকে

    প্রকাশিত

    ‘ইতিমাদ’ নামক উর্দু

    পত্রিকায় একই

    দিনে দুই জন দুই

    ধরনের বক্তব্য দেয়।

    মনমোহন

    সিং

    দাবি করে,

    ভারতের মুসলমানদের

    জনসংখ্যা ১৭

    কোটি এবং

    হায়দ্রাবাদের

    রাজনীতিবিদ

    আসাদুদ্দীন

    ওয়াইসি

    দাবি করে

    মুসলমানদের

    জনসংখ্যা

    ১৩ কোটি।

    আসলে কেউই

    রাজি নয়

    মুসলমানদের প্রকৃত

    সংখ্যা প্রকাশ

    করতে।

    ২০০১

    সালে

    আদমশুমারি

    করে ভারত সরকার

    দাবি তাদের

    দেশে মুসলিম

    জনসংখ্যা মাত্র

    ১৩.৪%, কিন্তু এ

    দাবি করার পর

    সিএনএন-আইবিএন ও

    হিন্দুস্থান

    টাইমের

    পক্ষ

    থেকে দেশজুড়ে জরিপে

    বেরিয়ে

    আসে

    অধিকাংশ ভারতীয়

    মুসলিম

    জনসংখ্যা

    নিয়ে

    লুকোচুরি ধরে

    ফেলেছে এবং একে

    মিথ্যাচার

    বলে উল্লেখ করেছে।

    ২০১০

    সালে আরেকটি

    জরিপে দেখানো হয়,

    আসামে মুসলিম

    জনসংখ্যা হচ্ছে

    শতকরা ৪০%, অর্থাৎ

    ৫ কোটির মধ্যে ২

    কোটি ৩৫ লক্ষ

    মুসলমান; উত্তর

    প্রদেশের ২২%

    মুসলমান, অর্থাৎ ২৩

    কোটির মধ্যে ৫

    কোটি মুসলমান;

    পশ্চিম বাংলায় ৩০%

    মুসলমান, অর্থাৎ ৫

    কোটির মধ্যে ২

    কোটি ৭০ লক্ষ

    মুসলমান

    এবং

    বিহারে ২০%

    মুসলমান, অর্থাৎ ১৩

    কোটির মধ্যে ২

    কোটি ৬০ লক্ষ

    মুসলমান।

    সহজভাবে

    হাতে

    গুণলেই এ চার

    প্রদেশে দাঁড়ায় ১৩

    কোটি মুসলমান,

    বাকি ২৫ প্রদেশ বাদই

    থাকলো।

    ভারতে

    প্রকৃত

    মুসলিম

    জনসংখ্যা কত:

    ১৯৮৪

    সালে মধ্য

    প্রদেশের

    এমপি

    উবাইদুল্লাহ

    খান আজমী ভারতের

    মুসলমানদের

    জনসংখ্যা

    ২৫

    কোটি বলে উল্লেখ

    করেছিল, যখন

    সারা ভারতের

    জনসংখ্যা ছিল

    ৭৫-৮০ কোটি।

    ২০০২

    সালে গুজরাট

    দাঙ্গার সময়

    উগ্রবাদী হিন্দুরা

    মুসলমানদের

    বিরুদ্ধে

    যে লিফলেট

    ছড়ায় তাদের

    মুসলমানদের

    জনসংখ্যা

    ৩৫

    কোটি বলে উল্লেখ

    করা হয়েছিল।

    আসলে

    জনসংখ্যা

    নির্ণয়ের জন্য

    দরকার

    জনসংখ্যা

    বৃদ্ধির

    হার নির্ণয়

    কিংবা কত

    গতিতে জনসংখ্যা

    বৃদ্ধি ঘটছে। কিন্তু

    সমস্যা হচ্ছে, ভারত

    সরকার নিজেই

    যেহেতু

    চাচ্ছে

    না বিষয়টা

    প্রকাশিত হোক,

    সেহেতু মূল হিসাব

    সবসময় গোপন

    থেকে যাচ্ছে।

    দেশের

    মূল

    জনসংখ্যা বৃদ্ধি

    হিসাব করে ভারতের

    ক্ষেত্রে আলাদাভাবে

    মুসলমানদের

    জনসংখ্যা

    প্রকৃত

    বৃদ্ধির হার বের

    করা কঠিন। কারণ

    ভারতে বিভিন্ন

    জাতির

    পাশাপাশি

    বসবাস।

    কিন্তু

    পাকিস্তানে

    ১৯৪৭

    সালের পর থেকে প্রায়

    শতভাগ

    মুসলিম

    বসবাস। সে হিসেবে

    পাকিস্তানের

    জনসংখ্যা

    বৃদ্ধি দেখে

    প্রকৃত হিসাব বের

    করা সোজা।

    ১৯৪৭

    সালে

    পাকিস্তানের

    জনসংখ্যা ছিল ৩

    কোটি এবং ২০৫০

    সালে তা দাঁড়াবে

    কমপক্ষে ৩০

    কোটিতে। তাহলে ১০৩

    বছরে জনসংখ্যা বেড়ে

    হয়

    ১০ গুণ,

    শতকরা হিসাবে ৯০০

    %। অর্থাৎ মুসলিম

    জনসংখ্যা প্রতি ১০০

    বছরে ৯ গুণ, ৫০

    বছরে ৪.৫ গুণ এবং ৩০

    বছরে ২.৭ গুণ হয়।

    এখন ভারত-

    পাকিস্তান খুব

    কাছাকাছি হওয়াতে

    দুই দেশের মুসলিম

    জনসংখ্যা বৃদ্ধির

    হার খুব একটা বিভেদ

    হতে পারে না। [২০১১

    সালে প্রকাশিত পিউ

    রিসার্চের এক

    গবেষণায় দেখা গেছে,

    আগামী ২০ বছর

    সারা বিশ্বে অন্যান্য

    ধর্মগুলোর

    যে

    হারে জনসংখ্যা

    বৃদ্ধি করবে তার

    থেকে দ্বিগুণ

    গতিতে বৃদ্ধি করবে

    মুসলমানরা।]

    উগ্রবাদী

    হিন্দুদের

    হিসেব মতো, ২০০২

    সালে মুসলিম

    জনসংখ্যা যদি ৩৫

    কোটি হয়, তবে ১২

    বছর পর সেই

    সংখ্যা দাড়ায়

    কমপক্ষে ৫০ কোটি।

    কিন্তু এর কম হওয়ার

    প্রশ্নই উঠে না।

    তবে,

    আজমী

    সাহেবের

    মতে ১৯৮৪

    সালে মুসলমান

    জনসংখ্যা যদি ২৫

    কোটি হয়, তবে ৩০

    বছর পর ২০১৪

    সালে ১২৫

    কোটি ভারতীয়’র

    মধ্যে ৬৫.৫

    কোটি মুসলমান

    থাকাটাই স্বাভাবিক।

    অর্থ্যাৎ

    ভারতে

    মুসলমানদের

    সংখ্যা কম

    করে হলেও প্রায় ৬৫

    কোটি।

    উল্লেখ্য,

    ভারতে

    মুসলমান

    জনসংখ্যা

    অস্বাভাবিক

    বৃদ্ধি

    পাওয়ার

    কারণেই দাঙ্গার

    মাধ্যমে মুসলমানদের

    গণহারে শহীদ

    করে জনসংখ্যার

    হ্রাসের

    চিন্তা করা হয়,

    জন্ম

    নিয়ন্ত্রণের

    মাধ্যমে মুসলমানদের

    জনসংখ্যা কমানোর

    জন্য কার্যক্রম

    চালানো হচ্ছে,

    হিন্দুদের

    জনসংখ্যা

    বৃদ্ধির

    জন্য বারবার উৎসাহ

    দেয়া হচ্ছে,

    নির্বাচনের

    সময়

    ভোট পাওয়ার জন্য

    হিন্দুত্ববাদী

    নরেন্দ্র

    মোদি সে

    মুসলমানদের

    সাথে কোলাকুলি

    করছে, মমতা মাথায়

    ঘোমটা দিয়ে

    মুসলমানদের

    সাথে

    মোনাজাত

    করছে, আর রাহুল

    গান্ধী টুপি পরে

    মসজিদে মসজিদে

    ঘুরছে।

    ভারতে

    মুসলিম

    জনসংখ্যা যদি কমই

    হতো তবে এ

    ঘটনাগুলো ঘটতো না।

    আসলে

    ভারতের

    মুসলমানদেরকে

    হাতির

    মতো

    বানিয়ে রাখা

    হয়েছে, যে হাতি তার

    বিশাল কানের জন্য

    বিরাটকায় শরীর

    দেখতে পারে না।

    যদি সে তা পারতো,

    তবে অবশ্যই দুনিয়ায়

    তার কর্তৃত্ব

    প্রতিষ্ঠা করতো।

    ঠিক তেমনি ভারতের

    মুসলমানরা যদি বুঝতে

    পারত

    তাদের

    জনসংখ্যা এখন

    হিন্দুদের থেকেও

    বেশি তবে তারা

    অনেক আগেই

    হিন্দুদের

    হটিয়ে

    ভারতের

    কর্তৃত্ব দখল

    করে নিতো।

    মহান

    আল্লাহ পাক

    মুমিনদের উসীলায় ভারতের

    মুসলমানগণ উনাদের

    সেই কুওওয়াত দান

    করুন।

    (আমিন)

    [ [ ফেইসবুকে আমি MA Omar Faruk

    ] ]

    বিষয়: বিবিধ

    ১২৭৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


     

    পাঠকের মন্তব্য:

    295734
    ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:০৯
    সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
    ২০ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:০১
    239396
    মোহাম্মদ ওমর ফারুক লিখেছেন : ধন্যবাদ @ সুশীল
    295764
    ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫২
    হতভাগা লিখেছেন : খুবই চিকন ও অনেক লম্বা পোস্ট
    ২০ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:০২
    239397
    মোহাম্মদ ওমর ফারুক লিখেছেন : হুম ।

    মন্তব্য করতে লগইন করুন




    Upload Image

    Upload File