বিয়ে করতে না পেরে ভণ্ড বৈদ্য ভুতটা কারবার! রাতের অন্ধকারে ঘরের চালে বড় বড় ইট এসে পড়া, বাড়ির কোণায় কোণায় আগুন জ্বলে উঠা, ঘরের জিনিসপত্র হঠাৎ উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটছে।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ওমর ফারুক ২২ নভেম্বর, ২০১৩, ০৭:১০:১৯ সন্ধ্যা
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার
পূর্ব বৈরাগে বেশ
কিছু
আজগুবি কারবার
ঘটে চলেছে গত তিন
দিন ধরে। রাতের
অন্ধকারে ঘরের
চালে বড় বড় ইট
এসে পড়া, বাড়ির
কোণায় কোণায় আগুন
জ্বলে উঠা, ঘরের
জিনিসপত্র হঠাৎ
উধাও হওয়ার
ঘটনা ঘটছে।
পরিস্থিতির শিকার
প্রবাসী মনির
আহমদের পরিবার
ভয়ভীতি ও
অশান্তিতে দিন
যাপন করছে।
বিষয়টি পুরো এলাকায়
এতটাই চালু
হয়েছে গত বুধবার
থেকে মনির আহমদের
বাড়িতে উৎসুক
মানুষের ভীড় লেগেই
আছে। ঘটনার
বাস্তবতা জানতে গতকাল
বৃহস্পতিবার
দুপুরে সরেজমিন
পরিদর্শনে যান
আনোয়ারা থানার
অফিসার ইনচার্জ
(ওসি) মোঃ হুমায়ুন
কবির ও স্থানীয়
ইউনিয়ন পরিষদ
চেয়ারম্যান নওয়াব
আলীসহ বিভিন্ন
ব্যক্তিবর্গ। এমন
ভুতুড়ে কারবারে হতবাক
তারাও।
এলাকাবাসীর
সাথে কথা বলে জানা যায়,
পূর্ব বৈরাগের খোশাল
তালুকদার বাড়ীর
প্রবাসী মনির
আহমদের পরিবারের
এক মেয়ের
বিয়েকে কেন্দ্র
করে এই
ভুতুড়ে কারবার শুরু
হয়। তার দুই ছেলে দুই
মেয়ে । বড়
মেয়ে আরিফার
বিয়ে ঠিক হয়েছিল
২০১০ সালে। কিন্তু
কথা পাকাপাকি হওয়ার
পর
সে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার
উপক্রম হলে সরল
বিশ্বাসে তারা শরণাপন্ন
হয় পশ্চিম পটিয়ার
শাহ্ মীরপুর গ্রামের
মোহাম্মদ মাহফুজ
নামে এক বৈদ্যের।
সে বিয়ে পুনঃস্থাপনের
জন্য তদবিরের
আশ্বাস
দিয়ে মেয়েকে তার
কাছে নিয়ে আসার
কথা বলে। এক
পর্যায়ে মাহফুজ
নিজেই
আরিফাকে বিয়ের
প্রসত্মাব দিয়ে বসে।
এ নিয়ে দীর্ঘদিন
ধরে তার সাথে দেন
দরবার চলে। এর
মধ্যে চন্দনাইশে বিয়ে হয়ে যায়
আরিফার। আর
মাহফুজও
বিয়ে করে বছর আগে।
এর পর
থেকে প্রতিনিয়ত
বৈদ্য মাহফুজের
নানা হুমকি ধমকিতে অসহায়
এ পরিবার। আর
আরিফার বিয়ের পর
থেকে মনির আহমদের
পরিবারে অদ্ভুত সব
ঘটনা ঘটে চলছিল।
ঘরের সুসজ্জিত
মূল্যবান জিনিসপত্র
এক
জায়গা থেকে অন্য
জায়গায় চলে যাওয়া,
হারিয়ে যাওয়া জিনিস
আবার ফিরে পাওয়ার
মত
ঘটনা ক্রমাগতভাবে ঘটছিল।
শুধু তাই নয়
নানা অশান্তি ও
অস্থিরতার
মধ্যে পুরো পরিবারের
দিন কাটলেও প্রথম
দিকে তারা বিষয়টি সেভাবে আমল
দেয়নি। গত কয়েক
দিন ধরে ঘরের
চালে ঝড়ের মত বড়
বড় ইট
উড়ে এসে পড়া শুরু
হলে কৌতূহলের
সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ
বুধবার থেকে শুরু হয়
ঘরের বিভিন্ন কোণায়
কুণ্ডলি আকারে আগুন
ধরে যাওয়ার কারবার।
এমনকি বৃহস্পতিবার
দুপুরে স্থানীয়
ইউপি চেয়ারম্যান
নওয়াব আলী,
স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ,
ও এ প্রতিবেদক
সরেজমিন
পরিদর্শনের সময়ও
দেখেন ঘরের ভেতর
একটি ছাতায় দপ
করে আগুন জ্বলার
দৃশ্য। এ
প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান
নওয়াব আলী বলেন,
লোকমুখে শুনে আমি বিষয়টি মোটেও
বিশ্বাস করিনি।
কিন্তু এলাকায়
এসে যা দেখলাম
তাতে কোন
ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছি না আর
নিজের চোখের
সামনে আগুন জ্বলার
দৃশ্য বিশ্বাস
না করেও উপায় নেই।
ওসি হুমায়ুন কবিরও
একই মন্তব্য
করে বলেন,
বিজ্ঞানে ভুতের
কোন অসিত্ত নেই।
আজগুবি এসব
ঘটনা কেন
ঘটছে তা খতিয়ে দেখার
চেষ্টা করছি।
আরিফার
মা রাজিয়া বেগম
জানান, পশ্চিম
পটিয়ার শাহ্মীরপুরের
ভণ্ড বৈদ্য মাহফুজ
আমার মেয়েকে জোর
করে বিয়ে করতে না পেরে দুবছর
ধরে তার
নানা ষড়যন্ত্র ও
হুমকি ধমকির
মধ্যে চরম
অশান্তিতে দিন
কাটাচ্ছি।
সে নানাভাবে আমাদের
পরিবারকে অশান্তির
মধ্যে রেখেছে।
প্রতিনিয়ত
মোবাইলে ভয়ভীতিও
দেখায়। আমার
পরিবারে এ
ঘটনা সৃষ্টির নায়ক
ভণ্ড বৈদ্য মাহফুজ।
আমি তার শাসিত্ম
দাবি করছি।
বর্তমানে আমার
অসহায়
পরিবারকে তার
ষড়যন্ত্র
থেকে রক্ষার জন্য
সকলের
সহযোগিতা কামনা করছি।
বিষয়: বিবিধ
১১৯১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন