নতুন পে-স্কেলঃ এক বিরাট শুভঙ্করের ফাঁকি।

লিখেছেন লিখেছেন তাবাসসুম তাহরিমা ০৭ মার্চ, ২০১৪, ০৭:২৭:০২ সকাল

✔ বিভিন্ন সময়ে সরকার সরকারী/আধা-সরকারী কর্মচারীদেরকে নতুন পে-স্কেল দিয়ে থাকে। আমার পর্যবেক্ষণে এ একধরণের নিষ্ঠুর প্রহসন বৈ আর কিছুই নয়। নতুন পে-স্কেল যে কোনো কর্মচারীর জন্য বস্তুত আশীর্বাদ না হয়ে অভিশাপরূপেই আবির্ভূত হয়।

✔ দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতির ফলে জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করা যখন কর্মচারীদের সাধ্যাতীত হয়ে যায়, তাদের নাভিশ্বাস উঠে যায়, তখন অনেক দাবী জ্ঞাপন ও আন্দোলন-কর্মসূচীর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার নতুন একটি পে-স্কেল প্রদান করে। সকলে আশা করে, বর্ধিত বেতনে কর্মচারীবৃন্দ বর্ধিত ব্যয় মোকাবেলায় সক্ষম হবে।

✔ অথচ, বাস্তবে তা হয় না। নতুন পে-স্কেল ঘোষণার সাথে সাথেই দেখা যায় সকল বাজার-দর, বাড়িভাড়া, যানবাহনাদির ভাড়া সহ সকল কিছু নতুন পে-স্কেলের বরাত দিয়ে একলাফে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় আরেকদফা বৃদ্ধি পায়। ফলে সাংসারিক জীবনযাত্রার মোট ব্যয় যে পরিমাণ বাড়ে, তা প্রায়শ বেতনের বর্ধিতাংশের চেয়ে অধিকতর।

✔ ফলে নতুন পে-স্কেল লাভ কর্মচারীদের জন্য একটি শুভঙ্করের ফাঁকি রূপেই আবির্ভূত হয়। তাদের অবস্থা হয়, 'ফুটন্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত উনুনে পতন' মাত্র।

✔ এরূপ নতুন পে-স্কেল প্রদান কেবলমাত্র মুদ্রা-স্ফীতিকে ত্বরান্বিত করতেই সহায়তা করে।

✔ উপরন্তু, নতুন পে-স্কেলের বরাত দিয়ে জীবনযাত্রার যে ব্যয়-বৃদ্ধি ঘটে, দু-পক্ষের মাঝে 'ক্রসফায়ার'-এ পড়ার মতো, এর ভোগান্তির অসহায় শিকারের পরিণত হন যারা সরকারী/আধা-সরকারী চাকুরী ভিন্ন অপরাপর পেশায় নিয়োজিত।

✔ উপসংহারঃ এমতাবস্থায়, সকল দিক বিচারে, বাজারদর, যানবাহনাদির ভাড়া, বাড়ি-ভাড়া প্রভৃতির নিয়ন্ত্রণই একমাত্র সমাধান হতে পারে।

বিষয়: বিবিধ

১৮৫৩ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

188222
০৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:৪৯
সজল আহমেদ লিখেছেন : ধন্যবাদ।
০৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:২৩
139648
তাবাসসুম তাহরিমা লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
188335
০৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:৪৫
নিউজ ওয়াচ লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১০ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৮
141061
তাবাসসুম তাহরিমা লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
188344
০৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:৫৭
হতভাগা লিখেছেন : গত ২০১১/২০১২ সালে ৪ বার জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছিল । ফলে পরিবহন খরচ বহুগুনে বেড়ে গেছে ।

পরিবহন খরচ বেড়ে গেলে সব কিছুর দাম বাড়ে । যেহেতু পরিবহন খরচ একবার বাড়লে আর কখনই কমে না সেহেতু এর ফলে বৃদ্ধি পাওয়া বাকী জিনিসগুলোর দামও আর কখনও কমে না । এমন কি তেলের দাম বিশ্ব বাজারে কমলেও একবার বৃদ্ধি পাওয়া পরিবহন খরচের দাম আর কমে না ।

অন্য যে কোন কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়লেও পরে এক সময় তা নেমে আসে । যেমন , মাস কয়েক আগে পিঁয়াজের দাম ছিল ১২০-১৫০ টাকা/কেজি । এখন তা ৩০-৪০ টাকায় নেমে এসচে ।

দেখা যায় যে তেলের দাম প্রতি বছর বেশ কয়েকবার বাড়ে , সে অনুপাতে বেতন ৫ বছরেও বাড়ে না । এতে বাড়তি খরচের সাথে ৫ বছর আগের বেতনে কোনভাবেই কুলিয়ে ওঠা যায় না । ফলে বিকল্প পন্থা বেছে নিতে মানুষ এক প্রকার বাধ্য হয় ।

বেতন বাড়ানো উচিত তেলের দামের সাথে পরিবহন খরচ বৃদ্ধির প্রতি নজর রেখে তার সাথে সামন্জস্য রেখেই । বছরে যদি ৫০ বার তেলের দামের বৃদ্ধি পায় এবং সাথে পরিবহন খরচও , তাহলে তার সাথে বেতনও ৫০ বার যে কোন রেন্জে বাড়ানো উচিত । এতে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি নিয়ে মানুষের এত হাউ কাউ শুনতে হবে না ।
১০ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৯
141062
তাবাসসুম তাহরিমা লিখেছেন : বেশ যুক্তিযুক্ত কথা বলেছেন। ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File