২৮শে ফেব্রুয়ারীঃ চিরস্মরণীয় একটি শোক দিবস।

লিখেছেন লিখেছেন তাবাসসুম তাহরিমা ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৬:৫৯:৩০ সন্ধ্যা

আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী সাহেবের ফাঁসীর রায় ঘোষণার প্রতিবাদে সারা দেশব্যপী বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠা জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীবৃন্দ ও সাঈদী-ভক্ত বিক্ষুব্ধ জনতার উপর বাকশালী পুলিশ-র‍্যাব-বিজিবি নির্বিচারে গুলি চালিয়ে বিগত বছরের এ দিনে সারা দেশে প্রায় ২০০ জনকে এক দিনে হত্যা করেছিলো।

জালিম-সরকারের খুনী-বাহিনীর হাতে যারা শহীদ হয়েছেন, আল্লাহ যেনো তাঁদের শাহাদাতকে কবুল করে তাঁদের জান্নাতবাসী করেন।

তাঁদের আত্ম-ত্যাগের প্রতিফল-স্বরূপ আজ সারাদেশে জামায়াত-শিবিরের প্রতি সাধারণ মানুষের হৃদয় উজাড় করা ভালোবাসা ও সমর্থন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং উপজেলা নির্বাচনে সংগঠনের প্রার্থীদের জয়-জয়কারের মধ্য দিয়ে তা প্রতিফলিত হচ্ছে।

শহীদদের আত্ম-ত্যাগ দুনিয়া ও আখেরাতে কখনোই বৃথা যেতে পারে না। আমাদের জন্য এ শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা রূপেই ২৮শে ফেব্রুয়ারীর আগমন।

বিষয়: বিবিধ

১১৬৬ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

184511
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০২
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : ২৮শে ফেব্রুয়ারী গণহত্যা দিবস
................ ব্লগার প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন
তথাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিশ্ব বরেণ্য মুফাসসিরে কোরআন বাংলাদেশের অন্যতম আলেম আল্লামা দেলায়ার হোসেন সাঈদীর রায় ঘোষনার দিন অর্থাৎ ২৮শে ফেব্রুয়ারী ২০১৩ তারিখ। সকাল থেকে পুলিশ ও সরকারের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী গুলি করে সাধারণ জনগণ ও জামায়াত শিবির নেতা কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলী চালায়।বেলা ২টায় বিশ্ববিখ্যাত আলেম আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির আদেশ ঘোষণা করেছিল ট্রাইব্যুনাল। সাথে সাথেই ৫৬ হাজার বর্গমাইলের দেশের সমগ্রে প্রতিবাদে গর্জে উঠে। দেশের মুসলমান সম্প্রদায়ের সাথে অনেক হিন্দু নারী –পুরুষ ও প্রতিবাদে রাস্তায় নামে।।তখন পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসিদের গুলি করার গতি ও বেড়ে যায়। পুলিশ ও আয়ামীলিগের সন্ত্রাসীরা যেভাবে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে দেশের জনগণ কে , সেটাকে একমাত্র গণহত্যা ছাড়া গনতন্ত্রের ভাষায় কিছু বলার নেই। তাদের গুলি চালানো দেখে মনে হয়েছে সরকার পুলিশকে হুকুম দিয়ে রেখেছে বিক্ষোভ ও মিছিল দেখলেই গুলি করার ,দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনীকে প্রস্তুত রেখেছিল সাধারণ মানুষের উপর আক্রমন চালানোর জন্য। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আরেক জাময়াত নেতা কাদের মোল্লার রায় কে কেন্দ্র করে নাস্তিক ব্লগার ,বাম ও সরকার দলীয় ছাত্র সংঘঠন শাহবাগে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতেছিল ।আর সেই বিক্ষোভকারীদের বিরিয়ানি দিয়েছিল আওয়ামীলীগ নেতাদের বিভিন্ন প্রতিষ্টান এমনকি সুর উঠেছিল সরকারী তহবিল থেকে সরাসরি বিরিয়ানি দিয়েছে, শাহবাগে নগদ টাকা বিতরণ করতেও দেখা গেছে,সরকার দলীয় প্রভাবশালী নেতাদের শাহবাগে সরব উপস্তিতি ছিল যা টেলিভিশনের মাধ্যমে দেখা গেছে ।এমপি মন্ত্রীদের শাহবাগে উপস্তিতি এবং টাকা ও বিরিয়ানি পেয়ে ততাকথিত বিক্ষোভকারীরা আইন অমান্য করে দাবি করেছিল,ততাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন যারা তাদের বিচার নয় যেভাবেই হউক ফাঁসি দিতে হবে। আদালতের ওপর এ অন্যায় হস্তক্ষেপ ও সরকারের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে শাহবাগের নাস্তিক দের সাথে সুর মিলয়ে সমর্থন ,এমপি ,মন্ত্রীর প্রকাশ্যে ঘোষনার মাধ্যমে আল্লামার ফাঁসির রায় দেওয়া হয় । অন্য দিকে বিচারের মান নিয়ে প্রশ্ন বিশ্ব ব্যাপী। আল্লামা সাঈদী ভক্ত ও জামায়াতে ইসলামী এই রায় কে বিচারের মোড়কে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের আয়োজন বলে বলেছিল।দেশের মানুষ মনে করে স্কাইপি কেলেঙ্কারির মাধ্যমে পদত্যাগী বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেছিলেন যে "গভর্নমেন্ট গেছে পাগল হইয়া, তারা একটা রায় চায়" সেই রায় হতে হবে ফাঁসি, অন্য কিছু নয়। সেই প্রেক্ষিতে নাটক মঞ্চস্থ হয় শাহবাগে। যে নাটকের মূল কাজ ছিল বিচারের নামে আটক জাতীয় নেতাদের ফাঁসির রায় ও তা কার্যকর। মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করে দেশে ছড়িয়ে দেয়া প্রতিহিংসা, ঘৃণা আর বিদ্ধেষের মাধ্যমে জাতিকে করা হয় বিভক্ত। সেই কাজ সম্পন্ন হতেই আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির ঘোষণা আসে । দেশের মুসলমানের মনে আঘাত আসে সেই রায়ে। একজন বিশ্ববরেণ্য আলেম কে দেল্যা রাজাকার নামে ফাঁসির রায় দেশের মুসলমান সহ কোনো ধর্মের মানুষই মেনে নিতে পারেনি। নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্ধেষীদের কথায় সরকার একজন ইসলামী ব্যক্তিত্বকে ফাঁসি দিয়ে দিবে সেটা মেনে নিতে পারেনি।বিচারের নাটক সাজিয়ে আল্লাহর মনোনিত ধর্ম ইসলামের প্রচারে যে মানুষটি তার সারা জীবন অতিবাহিত করেছে তার ফাঁসি দেওয়ার পায়তারা করার কৌশল বুঝে দেশের ধর্ম বিশ্বাসী জনগন ঘরে বসে থাকেনি ।কদু চোর ,কাপড় চোর ,লাকড়ি চোর ,বউ পিটানোর মামলার আসমিদের দিয়ে মিথ্যে সাক্ষী বানিয়ে যে মানুষটির হাতে হাত রেখে অন্তত ৬০০ অমুসলিম মুসলমান হয়েছে তাকে হত্যার পায়তারা দেশের মুসলমান সাভাবিক হিসেবে নেয়নি। তাইতো দেশের মুসলমানরা প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নেমেছিল নিরস্ত্র তাদের মুখে ছিল আল্লাহু আকবার স্লোগান তাদের দাবি ছিল এই রায় মানি না ।কিন্তু সরকারের প্রশাসন ও গুন্ডা বাহিনী এ কি করেছিল ?দেশের জনগনকে দেশের মানব সম্পদকে পাখির মত গুলি করে মেরে দেশের ইতিহাসে গণহত্যার কলংকলেপন করেছে। বিজিবি, র্যা ব, পুলিশ, আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর যুব লীগ ও ছাত্র লীগের সশস্ত্র ক্যাডার এব নাস্তিক-মুরতাদ শাহবাগীদের লেলিয়ে দিয়েছিল সরকার নিরস্ত্র ইসলাম প্রিয় জনগনের পেছনে। তারা মেতে উঠেছিল গণহত্যার উত্সবে। রক্তে লাল করে দিয়েছিল দেশের মানচিত্র ,জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিয়েছিল অসখ্য বাড়ি-ঘর, ব্যাংক, হাসপাতাল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।এক এক করে প্রায় ৭০ টি লাশ ফেলে দিল বাংলাদেশের জমিনে। রায়ের পরবর্তী এক সপ্তাহে প্রায় ২০০ জন নিরীহ মানুষ কে হত্যা করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের ৪১ বছরে এক দিনে এত মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু ২০১৩ সালের ২৮ শে ফেব্রুয়ারী সেটা হয়েছে । কেন এই গণহত্যা ?কেন এত হিংসাত্মক আচরন ?কেন এই রক্তের বন্যা ?দেশের জনগণ প্রতিবাদ করতেই পারে সেটা তার অধিকার ।সেই অধিকার জন্ম সুত্রে কেনা অধিকার ।সেই অধিকার ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে রক্তের পরিবর্তে পাওয়া অধিকার , ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে হাসিল করা অধিকার । সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে এই দুনিয়ায় কারো রক্ষা হয় নি ।ইতিহাস সাক্ষী হিটলার, মুসোলিনি মার্কোসক ,পিনোচেট ,হোসনি মোবারক, রেজা শাহ পাহলভি, গাদ্দাফি, সাদ্দাম হোসেন কারো রক্ষা হয় নি।শেখ হাসিনার আওয়ামী সরকারের ও রক্ষা হবে না ,ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না।আল্লাহার বিচার থেকে কেউ রক্ষা পায়নি।ইনশাআল্লাহ্‌ এই জালিম সরকারও পাবেনা।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১১
136563
তাবাসসুম তাহরিমা লিখেছেন : সুন্দর লিখেছেন।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৫
136575
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আমার ব্লগ বাড়ি আপনি যান না কেন ?
184558
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৩৮
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আমাদের ধমনীতে শহীদের রক্ত, এই রক্ত কখনো বৃথা যেতে পারে না, সেই রক্ত কখনো পরাজয় মানে না।, ধন্যবাদ
০১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৪৩
136864
তাবাসসুম তাহরিমা লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
184613
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৩৮
সজল আহমেদ লিখেছেন : ধন্যবাদ
০১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৪১
136862
তাবাসসুম তাহরিমা লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
184673
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:১৪
সালাহ খান লিখেছেন : সাঈদী একটা ব্যক্তি নয় , একটা ইতিহাস । বাংলার সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ধর্মপ্রচারকদের মাঝে সফল এই সাঈদি সাহেব । আসলে ওনার আসল দোষ হল উনি স্পষ্টভাষী।যাহোক , বাকশাল যা করেছে , এটা তাদের পুরনো পরিচয়কে নতুন করে নতুন প্রজন্মের কাছে জানান দিয়েছে , তাই এটা নিয়ে অবাক হবার কিছু নেই , যাহোক , লিখনীর জন্য শুভেচ্ছা রইল
০১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৪৩
136863
তাবাসসুম তাহরিমা লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File