ধর্মের ঘ্যানর ঘ্যানর বাদ দিয়ে আসুন আমার আনেক পছন্দের একটি গান শুনি................................
লিখেছেন লিখেছেন গৃহস্থের কইন্যা ১৩ মার্চ, ২০১৪, ১২:২৬:০৩ রাত
এপাড়ে মুখর হল কেকা ঐ......................
বিষয়: বিবিধ
১৮১৬ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এখন আপতত তুমি বাইচ্ছা ছেলের মতোঁ ফিডার খাও-
আসুন সবাই একে ফিডার খাওয়াতে সাহাজ্য করতে-
দুনিয়াতে এখন যারা বাহ্মন, আগের জনমে এরা আরো ভাল আছিল।
এখন যারা ধোপা, আগের জনমে এরা মিথ্যাবাদী আছিল।
এখন যারা নাপিত, আগের জনমে এরা চোর-ছেঁচড় আছিল।
এখন যারা কামার, আগের জনকে এরা সিঁদ-কাটা আছিল।
এখন যারা যুগী, আগে জনমে এরা ডাকাত আছিল।
সেই হিসেবে
এখন যারা চোর, পরের জনমে তারা তেলাপোকা হইয়া জন্মিবে,
এখন যারা ডাকাত, পরেরর জনমে তারা গুয়ের পোকা হইয়া জন্মাইবে।
এখন যারা ঘুষ খোর, পরের জনমে তারা ছারপোকা হইবে।
তাইলে,
বইলতে পারবেন কি?
এখন যারা বাহ্মন পরে তারা কি কি হইবে?
এখন যারা গাইন্যা মানে শিল্পী তারা কি হইবে?
তবে সকল কথার এক কথা আমনেরে কিন্তু পুনরায় আসিতেই হইবে প্রয়োজনে কেউচ্ছা মানে কেঁচো কিংবা কৃমি হয়েও।
মতলব বুঝেন নাই,
এখন যারা কেঁচো, কৃমি, আঠালী আগের জনমে তারা মানুষ আছিল <:-P <:-P <:-P <:-P <:-P <:-P <:-P <:-P <:-P
ধর্ম একটা আলাদা বৈশিষ্ট।
প্রত্যেক বস্তুর নিজস্ব একটা ধর্ম আছে যেমন আছে বাতাসের।
বাতাসের ধর্ম হলো মাঝে মাঝে ঠান্ডা হাওয়া দেয়া মাঝে গরম হাওয়া দেয়া মাঝে মাঝে এমন হাওয়া দেয়া যাতে ঘরবাড়ি নছনছ করা ইত্যাদি।
প্রত্যেক বস্তুর যেহেতু ধর্ম আছে সেহেতু মানুষেরো একটা ধর্ম আছে কোন মানুষ ইসলাম ধর্মকে গ্রহন করেছে কোন মানুষ হিন্দু ধর্মকে গ্রহন করেছে ঠিক একই ভাবে খৃষ্টান, ইয়াহুদি ইত্যাদি ধর্ম যার যার সুবিধামত গ্রহন করতেছে
তাই কোন ধর্মের ব্যপারে কটাক্ষ করে নিজেকে আধুনিক বলার বৈশিষ্ট প্রকাশ করার মানেই নেই
আমরা ধর্মকে অনেক ভালবাসি , আমরা চাই ধর্মের বিধিবিধান মেনে চলতে। কারন ধর্ম শিক্ষা দেয়া যত প্রকার খারাপ তার কাছ থেকে দুরে থাকতে আর ভাল কাজের প্রতিযোগিতা করতে।
হ্যা এমনো ঘটেছে যে কিছু ধর্মীয় ব্যক্তির দ্বারা অধর্মের কাজ সংঘটিত হয়েছে যা খুব দুঃখ জনক।
তবে এই কারনে কোন ধর্মকে দোষারুপ করা যাবেনা
যেমন একটি তরবারীর ধর্ম হচ্ছে জবাই করা
এখন কসাইরা গরু,মহিষ, ছাগল, ভেড়া জবাই করার জন্য কিনে নেই, আবার অন্যেরা মানুষেও জবাই করে থাকে
আপনে একটু চিন্তা করুন এতে তরবারীর কোন দোষ আছে
নাকি যে জবাই করেছে তার দোষ
ইন্টারনেট আমরা ব্যবহার করি
সেখানে দুধরনের অপশন রয়েছে
যারা ভাল কিছু দেখতে চায় তারা দেখতে পারবে
আর যারা খারাপ অশ্লিল কিছু দেখতে তাও তারা দেখতে পারবে
এখন যারা খারাপ কিছু দেখতেছে তারা খারাপ নাকি ইন্টারনেট খারাপ
আসলে একটা বস্তুর কেবল একটা দিকই আছে আর সেটা হলো ভাল দিক
কিন্তু ব্যবহার কারীরা দুই দিকে টানা টানি করে বিতিক্রিয়া করে।
নিজের ধর্মকে প্রধান্য দিতে গিয়ে অন্য ধর্মকে হেয় করার কোন মানে হয়না,
ধর্ম যার যার এই দেশ সবার
সুতরাং ধর্মকে নিয়ে কোন প্রকার কটুক্তি করা আদৌ ঠিক নয়
যেই মহিলা কামারের দোকান খুইলা বইসা পড়ছে, সেই মহিলার দোকানে গীতা পাঠ না করিয়া জোতা পাঠ করুন, কামে আসবে। জানিনা জোতা পাঠের কথা হুনছেন কিনা, এটা এক ধরনের মগুর, যেখানে যেমন সেখানে তেমন কইরা মাইরে হয়। বে আক্কেল বইলা বেশী কতা হুনাইয়া ফেলছি, মাফ কইরা দিয়েন।
তারপর কতা হইল এই গান শুইনা মানুষের আর ভাল লাগেনা। যখন মহিলারা নিজেদের ঢাকিয়া চলিত, তখন কবি শিল্পীরা গাইয়া গাইয়া মহিলাদের না দেখা জিনিষ বর্ণনা করিত। এখন মহিলাদের সব রাস্তাঘাটে দেখা যায়, তাই গান শুনার দরকার পড়েনা। তাই দেশে নতুন ধরনের গায়কের জনম হইছে, খুশী হইবার চাইলে, আনন্দ পাইবার চাইলে এই গায়কের গান শুইনা লন।
সতর্কতা, এই শিল্পীর গান শুনিবার আগে পস্রাব পায়খান কইরা লন, পেটে এসব নিয়া গান শুইনা কাপড়ে চোপড়ে করলে আমার কুন দুষ নাই। কইয়া দিলাম কিন্তু
কাম টু দ্য পয়েন্ট।
বলা হয় পাপ কার্যের জন্য মানুষ পরের জনমে অন্য প্রাণী, জীবজন্তু, সাপ বিচ্ছু হয়ে জন্ম নেয়।
তাহলে - দিন দিন পাপ বেড়েই চলছে? আবার মানুষ এর সংখ্যাও বেড়ে চলছে?
তাহলে তো পূর্ণজন্ম তত্ত্ব শতভাগ ভুল প্রমাণিত। কারণ পাপ যে হারে বাড়ছে তাহলেতো সব মানুষ পরের জনমে সাপ, বিচ্ছু, জন্তু এসব হয়ে জন্মানোর কথা এবং মানুষের সংখ্যা কমে যাওয়ার কথা। তা না হয়ে দিন দিন মানুষ বাড়ছে কেন?????
আপনি বলেছেন : "আসুন, ইসলাম গ্রহন করুন। দেখবেন, মনের যত পরশ্রীকাতরতা সব ভালবাসায় পরিণত হবে। ভাল থাকবেন।"
আপনি ইসলান গ্রহন করার আহব্বান জানিয়েছেন! মধুময় প্রস্তাব বটেই!! কিন্তু ইসলাম ধর্ম বর্জনকারীর নির্মম শিরছ্ছেদ করার ইসলামী দাঁতাল হায়না কতটা বিপদজ্জনক সে বিষয়ে আপনি কিছু বলেন্নি। ছোট বেলায় পড়েছি- "দুষ্ট লোকের মিষ্টি কথায় ভুলিতে নেই"
সর্বশেষে বলতে চাই- ঐতিহাসিক ভাবেই ইসলামের ইতিহাস রক্তক্ষয়ের ইতিহাস। নবী মোহাম্মদের ঘনিষ্ট সাহাবী ওমর, ওসমান, আলী প্রতিপক্ষ মুসলিমদের হাতে আপঘাতে করুন মৃত্যু বরন করেছেন। আলী-আয়শা, আলী-মিয়াবিয়া, হোসেন-ইয়াজিদ............ পরস্পরের সাথে ক্ষমতার দ্বন্দকলহ, অবিশ্বাস, হিংসা, ষড়যন্ত্রের কারনে সহস্র মুসলমানের রক্ত ঝেড়েছে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হছ্ছে- এদের সবাই ছিল সাচ্ছা মুসলমান, নবী পরিবারের সদস্য এবং বনীর ঘনিষ্ট সাহাবী। সুতরাং ইসলামে পরশ্রীকতরতা নেই কথাটি নিতান্ত কৌতক ছাড়া আর কিছু হতে পারে না।
বিতর্কে অংশগ্রহন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন