বিদ্যাদেবী, জ্ঞানের দেবী- সরস্বতী......................
লিখেছেন লিখেছেন গৃহস্থের কইন্যা ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৩:২৩:০৮ রাত
গতকাল ছিল সরস্বতী পুজা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি অন্যতম প্রচলিত পূজা। সরস্বতী দেবীকে শিক্ষা, সংগীত ও শিল্পকলার দেবী ও আশীর্বাদাত্রী মনে করা হয়। বাংলা মাঘ মাসের ৫মী তিথিতে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা, সংগীত ও শিল্পকলায় সফলতার আশায় শিক্ষার্থীরা দেবীর পূজা করে থাকে।
বিষয়টি কাকতালিয় কিছু না, শতভাগ নিশ্চিত হয়েই বলা যায়- আশীর্বাদাত্রী দেবী সরস্বতীর কারনেই আমাদের উপমহাদেশে জ্ঞান, বিদ্যা, শিক্ষায় হিন্দু ধর্মালম্বীরা মুসলিমদের চেয়ে অগ্রগামি। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখাযায় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ গাঙ্গেয় পূর্ববাংলায় গড়ে উঠা স্কুল-কলেজের শতকরা ৯৯ ভাগই হিন্দুদের অবদান। আমার বড় দাদার লেখা ডাইরীতে পড়েছি তাদের আমলে স্কুল-কলেজে হিন্দুরাই ছিল মেধা তালিকার শীর্ষে।
আমাদের দেশের মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীরা দেবী সরস্বতীর কথাটি মাথায় রেখে জ্ঞান অর্জনে ব্রতি হলে অচিরেই তাদের জ্ঞান-মেধা আরও উন্নত হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। ধন্যবাদ।
বিষয়: বিবিধ
২৫০০ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কৃশ্নের ১৬,১০৮ টা বউ ছিল....
সংস্কৃতি ভাষায় মহা বিশ্নের নাম বিশ্ব- ব্রহ্মান্ড। বাংলা ভাষাও বিশ্ব- ব্রহ্মান্ড বলা হয়। অন্ড বা আন্ডা মানে ডিম। হিন্দিতে ডিমকে আন্ডাই বলা হয়। আবার পুরুষের বিশেষ দুটো কোষকে অন্ডকোষ বলে। আপনারা কেউ কি জানের ব্রহ্মান্ড শব্দের উৎপত্তির সাথে মহাবিশ্ব সৃষ্টির ইতিহাস জড়িত?
ব্রহ্ম হল ভগবানের অপর নাম। একদা ব্রহ্ম কৌতুহলে একটি প্রতিকৃতি সৃষ্টি করেন। ব্রহ্মের বানানো প্রতিকৃতি টা এক সময় ব্রহ্মের কাছে পছন্দ হয়ে যায়, ফলে ব্রহ্ম সেটার ভিতরে প্রাণের সঞ্চার করেন। প্রাণ পেয়ে প্রতিকৃতিটি একটি মহিলার রূপ ধারন করেন। মূলত ব্রহ্ম নিজের অজান্তে একটি মহিলাই বানিয়েছেন। ব্রহ্ম তখন এই মহিলার প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়েন। ব্রহ্ম অবশেষে তার নিজের সৃষ্ট মহিলাকে জোড় করে গর্ভবতী করে। ব্রহ্ম তথা ভগবান দ্বারা গর্ভবতী হয়েছে বলে সৃষ্ট মহিলার নাম হয় ভগবতি!
যাই হোক ভগবতি গর্ভবতী হল কিন্তু ছয় হাজার বছর পরেও প্রসব হবার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা। ব্রহ্ম তথা ভগবান রাগ করে মর্ত ছেড়ে স্বর্গে চলে যান। আরো ছয় হাজার বছর পরে হঠাৎ করে ভগবতী প্রসব বেদনা শুরু হয়। ব্রহ্ম তথা ভগবানের দেহে শিহরণ সৃষ্টি হয়, তিনি পুনরায় মর্তে ফিরে আসেন কিন্তু ভগবতীর প্রসবের কোন কুল কিনারা নাই, শুধু বেদনাই অনুভুত হচ্ছে। ভগবান স্বর্গে ফিরে গেলেন। আরো ছয় হাজার বছর পড়ে খবর আসল ভগবতি প্রসব করেছেন। ভগবান খুশিতে টগবগ হয়ে মর্তে ফিরে আসেন, ভগবতির প্রসবকৃত সৃষ্ট দেখার জন্য ভগবানের তাড়া সইছিল না। তিনি ভগবতির কাছে আসলেন এবং তাজ্জব হয়ে দেখলেন ভগবতী একটি বিশাল আকৃতির আণ্ডা প্রসব করেছেন! আটার হাজার বছর অপেক্ষার পর ভগবতি একটি বিশালকায় আন্ডা প্রসব করেছেন এটা দেখে ব্রহ্ম তথা ভগবানের মেজাজ গেল তিরিক্ষী হয়ে।
ভগবতি আন্ডা প্রসব করলেও মূলত আন্ডার অধিকারী ব্রহ্মই ছিল। তাই প্রচন্ড গোস্বায় ব্রহ্ম আন্ডাটি হাতে তুলে নিয়ে ফুটবলের মত করে বিশাল একটি লাথি মারেন। ব্রহ্মের প্রচন্ড লাথিতে আন্ডা চৌচির হয়ে পড়ল।
আন্ডার যে অংশ উপরে উঠে গেল তা দিয়ে আকাশ সৃষ্টি হয়েছে।
আর যা নীচে পড়ে গেল তা দিয়ে জমিন সৃষ্টি হয়েছে।
যেহেতু ব্রহ্মের লাথির আঘাতে ব্রহ্মের আন্ডা থেকেই মহাবিশ্ব সৃষ্টি, সেহেতু মহা বিশ্বের অপর নাম ব্রহ্মান্ড।
এই ভগবতি মনে হয় আন্ডাডা পারছিল
বেআক্কেল, ফাটাফাটি দিছেন।
@গৃহস্তের হিজড়া কইন্যা
আর কৃষ্ঞ রাধার মিলনে চাক্ষস প্রমাণ আছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন