সাধু সাজা যাদের স্বভাব

লিখেছেন লিখেছেন উড়ন্ত মন ২৮ নভেম্বর, ২০১৩, ১০:৫৪:১৬ সকাল

বিএনপি-জামাত এ দেশকে কি বানিয়েছে সেটা এদেশের জনগন খুব ভালোভাবে জানে। আর আওয়ামী লীগ এখন কি করছে সেটাও এদেশের জনগনই শুধু না সারা বিশ্ববাসী দেখছে।আর জামাত এ দেশকে ভালোবোসে না এই দেশকে স্বীকারই করে না এটা বামপন্থীদের কথা মানে আওয়ামী লীগের কথা।

যদি স্বীকারই না করবে তাহলে জামাতের আমীর এবং সেক্রেটারী জেনারেল মন্ত্রীত্ব পাওয়ার পর এক টাকা দুর্নীতি করেনি। যা এই আওয়ামী লীগ সরকার প্রমান করতে পারেনি। তারা দুই মন্ত্রী বলেছিল দূরবীন দিয়ে খুজলেও আমাদের এই দুই মন্ত্রনালয়ে দূর্নীতি খুবে পাবে না।

সরকার কিন্তু বসে ছিল না, সরকার চেষ্টাও করেছিল কিন্তু পারেনি। আর আওয়ামী লীগের এমন কোন মন্ত্রী নেই যে দূর্নীতির সাথে জড়িত নাই। আর রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত তো ধরা খাওয়ার পরও আওয়ামী লীগ নেতাদের বচন শুনতে শুনতে কানে ঝালাপালা লেগে গেছে।

আবার আওয়ামী লীগ কথায় কথায় বলে তারা এ দেশকে স্বাধীন করেছিল তারা ছাড়া আর কেউ এই দেশকে ভালোবাসে না এটা একটা ফাল্তু কথা। এটা যারা বলে তারা কতটুকু দেশকে ভালোবাসে সেটার প্রমান বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্ববাসী খুবভালো ভাবে দেখছে।

আর এই সরকারের বিরুদ্ধে আওয়মী লীগের কোন মন্ত্রী এমপি কোন কথা বললেই তো আবার তাকে কিভাবে সাইজ করা যায় সেটাও বর্তমান সরকার প্রমান দিয়েছে প্রথমে সোহলে তাজকে দিয়ে। একজন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কে কিভাবে লাঞ্চিত করেছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী নেতারা ?

বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রীসভায় তার ফুফাতো ভাই শেখ সেলিমকে আশ্রয় দেননি। কারণ এই শেখ সেলিমের কারণেই তাকে জেলের ভাত খেতে হয়েছে। কিন্তু শেখ সেলিমের ক্ষমতা তাতে কমেনি। তিনি আগের মতোই তার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। ঘটনার সূত্রপাত বিমানবন্দরে। একটি চোরাচালান আটকে দেয় পুলিশ। সোহেল তাজ পুলিশের ভূমিকা সমর্থন করেন। কিন্তু ফোন আসে শেখ সেলিমের কাছ থেকে। ছেড়ে দিতে হবে চোরাচালানকারীকে। কারণ চোরাচালানকারী তার আত্মীয়। সোহেল তাজ তার আদেশ মানেননি। তখন সেলিম সোহেল তাজের অফিসে যান। সেখানে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শেখ হেলাল সন্ত্রাসীদের নিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর অফিসে যান। সেখানে সন্ত্রাসী ও শেখ সেলিম শেখ হেলাল সোহেল তাজকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেন। মারধরের এক পর্যায়ে পুলিশ এসে সোহেল তাজকে বাঁচায়।

এ অবস্থায় সোহেল তাজ বিচার চান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। কিন্তু পরিবারের কাছে জিম্মি প্রধানমন্ত্রী কোনো বিচার করতে পারেননি। তাই সোহেল তাজ মানসম্মান রক্ষা করতে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এটাই সোহেল তাজের পদত্যাগ নাটক। জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন, যে দেশে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের নেতার হাতে মার খান সে দেশে অন্যদের অবস্থা কী?

সর্বশেষ লাঞ্চিত করার পেরেকটা ঢুকালো আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য গোলাম মওলা রনির গায়ে।

তারপরও এত বড় বড় কথা বলে এই বামপন্থি আওয়ামী সরকার। যা এদেশের মানুষ আশা করেনি।

বিষয়: বিবিধ

১৫৯৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File