ড. আমর খালেদঃ আরব বিশ্বে ইসলামী নবজাগরণে তরূণদের আলোক প্রদ্বীপ
লিখেছেন লিখেছেন আহমাদ আল সাবা ১৯ অক্টোবর, ২০১৫, ০৫:৪০:০৫ বিকাল
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আমর খালেদ মধ্যপ্রাচ্যের সর্বাপেক্ষা ও প্রথম ব্যক্তিত্ব হিসেবে খ্যাতির শীর্ষে রয়েছেন ইসলামের সেবক, প্রচারক ও অনুপ্রেরণামূলক বক্তৃতা ও সামাজিক কার্যক্রমে সফলতার শীর্ষে থাকার জন্য।
সুন্দরভাবে পড়তে অত্র আর্টিকেলটির পিডিএফটি দেখুন – http://tinyurl.com/o8k7ysh
আমর খালেদ একজন মুসলিম টিভি ব্যক্তিত্ব, ধর্মপ্রচারক, মোটিভেশলান বক্তা ও সমাজসেবক। আরববিশ্বে রয়েছে তার লাখ লাখ দর্শক। আরববিশ্বের আশহত লক্ষ লক্ষ্ যুবকদের আশার প্রদীপ হয়ে শুরু করেছিলেন এবং তার সামাজিক কার্যক্রম The Life Makers (Development Through Faith) প্রজেক্টটি; সেই আশাহতদের আশার আলো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কয়েকটি দেশে, লক্ষ তরুণদের মাঝে। হাস্যরসসমৃদ্ধ এই ব্যক্তি শিক্ষা দেন ভালোবাসা ও দয়ার।
তার ওয়েবসাইট প্রায় ২০টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে, বিভিন্ন ভাষায় তার লেকচার নিয়ে কথা হয় এবং বলা হয় অপেরা উইনফ্রের চাইতে বেশি মানুষ তার ওয়েবসাইটে ভিজিট করে (বার্ষিক ২০ লক্ষ ভিজিটর)। এগুলো হওয়ার অন্যতম আরেকটি কারণ হলো তিনি নিজেকে অন্যদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম ভাবেন, যেখানে সবার অধিকার রয়েছে নিজেকে তুলে ধরার, কাজে নামার, আশাহতদের আশার আলো পাবার।
The 500 most Influential Muslims, 2011 অনুযায়ী The Top 50 এর ২১ তম। The New York Times Magazine এর ২০০৬ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তিনি আরববিশ্বের “The world’s most famous and influential Muslim television preacher” এবং তাকে টাইম ম্যাগাজিনে বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালীদের একজন (১৩তম) হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তিনি আরববিশ্বের তরুণদের সফলভাবে দেখান যে বর্তমান বিশ্বে আমরা যেসব আধুনিক সামাজিক বিষয়াবলীর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি, সেগুলোর সমাধানে দরকার ধর্মের প্রাসঙ্গিকতা।
তিনি ক্লাসিক্যাল স্কলারদের থেকে ভিন্ন পদ্ধতিতে আগানোর চেষ্টা করেন। তিনি মনে করেন কেবল অভিশাপ, আর জাহান্নামের ভয় দেখানো নয়, বরং আমাদের দরকার ঈমান ও আমালের প্রতি মানুষকে অনুপ্রেরণা দেওয়া, তাদেরকে ভালবাসার কথা বলা।
একাউন্ট্যান্ট এর চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি ধর্ম ও সামাজিকতার মিশ্রণে ধর্মীয় অনুপ্রেরণার মাধ্যমে হয়ে উঠেন আরববিশ্বের টেলিভিশন ও সামাজিক কাজের মুসলিম আইকন হিসেবে।
লাইফ মেকার মডেলের মাধ্যমে আমর খালেদ মুসলিমদেরকে অনুপ্রাণিত করেন ইসলাম দিয়ে সমাজ ও জীবনের উন্নয়ন এবং পরিবর্তনের জন্য।
যুবক শ্রেণীর ওপর আমর খালেদের প্রভাব অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক – উভয়ভাবেই; মুসলিম উম্মাহ নির্বিশেষে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যেই বিশাল জনগোষ্টী নারী ও যুবতীরা হিজাব করতো না, তারা তার হিজাবের ওপর লেকচার শুনে রাতারাতি-ই হিজাব করা শুরু করে দিতো; অথচ তারা এর আগে হিজাব পরিধাণের চিন্তাও করতো না।
আমর খালেদের প্রাথমিক শ্রোতা আরববিশ্বের ১৫-৩৫ বছরের বয়সীরা। তিনি বিশ্বাস করেন যে এই বয়সের মানুষেরাই ইসলামী বিশ্বে পরিবর্তনের জন্য সর্বাপেক্ষা বেশি উপযোগী।
তিনি টিভি শো করেন প্রতি রামাদানে এবং একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ টপিকে আলোচনা রাখেন। রামাদান মাসে সকলেই মোটামুটি ভালো সময়ের মধ্য দিয়ে যায় এবং এতে অনুপ্রাণিত করার উত্তম সময় হিসেবে তিনি একে বেছে নিয়েছেন।
তিনি টিভি শো করেন প্রতি রামাদানে এবং একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ টপিকে আলোচনা রাখেন। রামাদান মাসে সকলেই মোটামুটি ভালো সময়ের মধ্য দিয়ে যায় এবং এতে অনুপ্রাণিত করার উত্তম সময় হিসেবে তিনি একে বেছে নিয়েছেন। আমর খালেদের অনেকগুলো টিভি শো রয়েছে।
আমি রিসোর্সগুলো নিচে পিডিএফ বা লিংক আকারে দেবো। সেখান থেকে ডাউনলোড করতে পারেন।
শেষ কথা, একটু স্বপ্ন …বাংলাদেশের মত স্থানে, বিশেষত বাংলাভাষায় যদি কুরআনের ওপর তার সিরিজ, আল্লাহর নামগুলোর প্রাত্যহিক উজ্জীবতা ও জীবন্ত সিরাহ থেকে সমকালীন স্ট্রাটেজি, পরিকল্পনা ও কর্মের উদ্দীপনাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যায়, কেউ প্রকাশনায় নিয়ে আসেন বাংলাভাষায়, অনেক বড় কাজ হতো এই ক্ষেত্রে। আশা রাখি কেউ আসবে, আল্লাহতো তার কাজ কাউকে না কাউকে দিয়ে করিয়ে নেন, কাউকে তার সেবার সৌভাগ্যে জড়িয়ে নেন…কেউ আসবে…আল্লাহর পথ থেমে থাকে না, সৌভাগ্যবান কেউ হবেই ইন শাআ আল্লাহ।
এখানে অতি অল্প দেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত দেখুন এই লিংক এ - http://tinyurl.com/q8ha5zl
বিষয়: বিবিধ
১২৪০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার দেয়া লিংকগুলো আমার নেটে কাজ করছেনা
বাংলাদেশে তো ঠিকই কাজ করে।
এই ঠিকানায় গিয়ে দেখতে পারেন কাজ হয় কি না -
alsabanow.wordpress.com অথবা
http://alsabanow.blogspot.com/
নতুবা প্রক্সি সাইট ইউজ করেও দেখতে পারেন ভাই। জাযাকাল্লাহ খাইর।
কেবল অভিশাপ, আর জাহান্নামের ভয় দেখানো নয়, বরং আমাদের দরকার ঈমান ও আমালের প্রতি মানুষকে অনুপ্রেরণা দেওয়া, তাদেরকে ভালবাসার কথা বলা চমৎকার কথা !
শুকরিয়া শেয়ার করার জন্য!
জাযাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন