ইসলাম উপলব্ধিঃ রিসোর্সের সিস্টেম্যাটিক গ্রন্থায়ন

লিখেছেন লিখেছেন আহমাদ আল সাবা ২৮ এপ্রিল, ২০১৫, ১০:৫২:৫৪ সকাল

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম



দু’টি কথা...


বর্তমানে তরুণদের নিকট ইসলামের দাওয়াত অনেক ভালোভাবে পৌছানোর কারণে অনেকেই ইসলাম প্র্যাক্টিজ করা শুরু করেছে। উত্তরাধুনিক বিশ্বের মাঝে এত অন্যায়, শোষণ ও শূন্যতা, বঞ্চনা ও সমাধানহীনতা যেন তরুণদরকে নিজেদের ফিতরাতের মূলে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ইসলামের পবিত্রতা, সৌন্দর্য ও এক আল্লাহর তাওহীদের ছাঁয়াতলে।কিন্তু এ পথ চলার মাঝে ভালো রিসোর্সের অভাবে অনেকেই ইসলামকে সঠিকভাবে, মধ্যমপন্থায়, স্কলারদের জ্ঞানগভীর আলোচনা না পাওয়ার কারণে ঠিকমত মানতেও পারে না। এসব ভাই-বোনদের কথা বিবেচনা করেই আমার চলার পথে যেগুলো ভালো মানের রিসোর্স পেয়েছি সেগুলো একটা সংকলন করে এখানে দেওয়া হলো। আপনারা চাইলেও আরো ভালো রিসোর্স এর খোজ দিলে এটাকে আরো উন্নত করা যাবে।

কোন দল বা সংগঠনের কথা চিন্তা করে এ রিসোর্সসমূহের কালেকশন করিনি। এখানে এমন সংগঠন বা দলের রিসোর্স রয়েছে যাদের অনেক মূলনীতির সাথে আমি একমত নই কিন্তু তাদের এমন রিসোর্স রয়েছে যেগুলো আমাকে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে নিয়ে যেতে, ইসলামকে ভালোভাবে উপলব্ধি করতে সহায়তা করেছে। আমার উদ্দেশ্য কোন দল-সংগঠন বা কোন ব্যক্তিকে খুশি করা নয়, বরং যার কাছে চরম পাওয়ার জন্য ইসলাম পালন করার চেষ্টা করি তাঁর সন্তুষ্টির বিষয়কে সামনে রেখেই নিয়তের পরিচ্ছন্নতার দিকে ধাবিত হয়েছি।

ইসলামের প্রাথমিক ও মৌলিক উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর হেদায়েতের মাধ্যমে তাঁর আদেশ-নিষেধ পালনের মধ্য দিয়ে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন।

সুতরাং আমার এ রিসোর্সসমূহ সংকলনের মৌলিক উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই করা হয়েছে অর্থাৎ প্রাথমিকভাবে নিজের কল্যাণের পথ খোঁজা-মৌলিক বিষয়াবলী মেনে আল্লাহর পথে চলার জন্য সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা পাওয়া।

এখানে প্রথম ৫টি ক্যাটেগরির রিসোর্স ধারাবাহিকতা রক্ষা করেই করা হয়েছে। সুতরাং এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে শিখতে পারলে অনেক উপকৃত হওয়া যাবে আশা করি ইন শাআ আল্লাহ।

শেষে আমি PDF & Doc File দিয়ে দিচ্ছি। আপনারা যেকাউকে এটি সহজেই দিয়ে দিতে পারবেন অথবা নিজেরাও ফাইল সুবিধামত ব্যবহার করতে পারবেন।

বর্তমানে নিম্নোক্ত ক্যাটেগরিগুলোতে রিসোর্স মোটামুটি দেওয়া হয়েছে।


দু’টি কথা...

1. জ্ঞানার্জনের পূর্বের ধাপ- কিছু শেখার পূর্বেই কিছু শেখা দরকার

2. ইসলাম উপলব্ধির জন্য প্রাথমিক ও মৌলিক রিসোর্স

3. সিরাহ ও ফিকহুস সিরাহর বই ও লেকচার এবং অন্যান্ন

4. কোরআন ও তাফসীর

5. হাদীস ও সুন্নাহ

6. বাংলা ইসলামিক ওয়েবসাইট ও ব্লগ

7. ইংরেজি ইসলামিক ওয়েবসাইট

8. অডিও-ভিডিও লেকচার রিসোর্স(English)

9. অডিও-ভিডিও লেকচার রিসোর্স(বাংলা)

10. ইসলামিক কোর্স করা যায় এরকম সাইট

11. ইসলামিক রিমাইন্ডার্স(Short Video Clips)Eng.+বাংলা

12. Muslim women speakers

13. বাচ্চা-কাচ্চা সংকলন

14. ফিকহ

15. বর্তমানে ফিকহী প্রশ্ন করুন এখানে

16. ইসলামি বই রিসোর্স সাইট (বাংলা)

17. ইসলামি বই রিসোর্স সাইট (English)

18. কোরআনের ভালো তেলাওয়াত

19. Learning Through Fun

PDF ও Doc ফাইল

আপডেট এবং আপনাদের সহায়তা

লেখাটি দীর্ঘ হওয়ায় এবং ব্লগিং কয়েকটি জায়গায় দীর্ঘ সময় দিয়ে সাজানো সম্ভব হলো না বলে আমি এখানে লিংকটি শেয়ার করছি...এখান থেকে সাজানো-গোছানোভাবেই ইন শাআ আল্লাহ-

http://alsabanow.blogspot.com/2015/04/blog-post.html

তবুও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক এখানে তুলে ধরছি...কয়েকটি ক্যাটেগরির

সিরাহ ও ফিকহুস সিরাহ বই


1. অনেকেই হয়তো জীবনী পড়েই নি-তারা হয়তো ইসলামের এইখান থেকে একটু, ঐখান থেকে একটু নিতে নিতে ইসলামকে পূর্ণভাবে মিলাতেই পারছে না...মনে হয় ইসলাম পরিপূর্ণ নয় বা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

2. আপনি রাসূল (সা)এর একটা বা দুইটা জীবনী পড়ে ভাবছেন যাক, রাসূল(সা)এর জীবনী জানতে পারলাম।

3. অনেকেই জীবনী পড়েছেন কিন্তু বাস্তবিক জীবনে এখন কীভাবে প্রয়োগ করবেন সেটা খুঁজে পাচ্ছে না!!

1 নং পয়েন্টে - এসব বিবেচনায় এনেই স্কলাররা কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক খোঁজে পেলেন। রাসূল (সা) এর পূর্ণাংঙ্গ জীবনী না পড়লে তাঁর পক্ষে ইসলামকে পূর্ণাংঙ্গ ও ধারাবাহিকতা খোঁজে পাবে না-বলতে পারেন তাঁর কাছে ইসলামের অনেক অসামঞ্জস্যতা ধরা পড়বে-যেহেতু কোরআন-সুন্নাহতে ধারাবাহিকতা নেই আর সেইজন্য রাসূল (সা) এর জীবনীই এই কোর’আন-সুন্নাহর ধারাবাহিক দলীল হওয়ায় এটি পড়ার মধ্য দিয়েই ইসলামের প্রাথমিক সূচনা হতে পারে, হতে পারে পূর্ণাঙ্গ ধারাবাহিক সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রাথমিক ও মৌলিক সিলেবাস।

2 নং পয়েন্টে - একটি বা দুইটি জীবনী যারা পড়েছেন তাদের ক্ষেত্রেও অনেক সমস্যা তৈরি হয়। সুন্নাহ অনুযায়ী রাসুল (সা) এর জীবনীকে প্রায় ১১-১৩ বিভিন্ন ভূমিকায় ভাগ করা যায়। নবী হিসেবে, রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে, মানব হিসেবে, কনসালট্যান্ট হিসেবে...। এভাবে প্রত্যকটি ডাইমেনশন যদি না জানেন তবে রাসূল (সা)কে কীভাবে পূর্ণাংঙ্গভাবে জানতে পারলেন? মানে ইসলামকে কীভাবে পূর্ণাংঙ্গরুপে জানতে পারলেন? কেবল এদিক থেকেই নয়, বরং ১১-১৩ এর সাথে আরো বর্তমানকালে জীবনী লেখাতে আরো কিছু বিষয়যুক্ত হয়। এর মাঝে আধ্যাত্বিক জীবনী, যুক্তিভিত্তিক জীবনী, তুলনামূলক জীবনী, পশ্চিমাদের অভিযোগখন্ডনমূলক জীবনী। এভাবে কেউ লিখেছেন রাসূল(সা)কে ভালোবেসে, কেউ লিখেছেন যুক্তি দিয়ে, কেউ লিখেছেন পূর্ণাঙ্গ জীবনের শিক্ষাগুলো নিয়ে।
এসবগুলো ডাইমেনশন জানার মধ্য দিয়েই আপনি রাসূল(সা)এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী তথা ইসলামের পূর্ণাংঙ্গ রুপ দেখতে পারবেন বিশাল আকাশের মত রুপ হওয়া সত্বেও।


3 নং পয়েন্টে – রাসূল (সা) এর জীবনী এযাব অনেক সিরাহ লেখা হয়েছে। এ সিরাহগুলো ছিল ইতিহাস এবং সানাদ নির্ভর। কিন্তু পরবর্তীতে যখন উম্মাহর মাঝে ইসলামী কর্মী থাকা সত্বেও তাদের মাঝে প্রাণ খোঁজে পাওয়া গেল না তখন স্কলাররা নতুন করে ভাবতে শুরু করলেন, কেন? তখন তাদের মাঝে অনেকেই বুঝতে পারলেন যে সমস্যা ইসলামের নয়, সমস্যা আমাদের উপলব্ধিতে, সমস্যা ইতিহাসকে জীবন্ত না করা, আজকের দিনের মুহাম্মাদ(সা)এর অভাব। আজকের দিনে মুহাম্মাদ(সা)থাকলে কি করতেন? এখন তো আর মক্কা-মদিনার সেই সহজ সামাজিক জীবন-ব্যবস্থা নেই। তাই এই জটিল সামাজিক জীবন-ব্যবস্থায় তিনি কি করতেন? অর্থাৎ ইতিহাস নির্ভর জীবনী নয়, আমাদের দরকার সেই জীবনীর বর্তমানের বাস্তবিক প্রয়োগের দিক-নির্দেশনা। সেখান থেকেই স্কলারদের অবদানে উঠে আসে নতুন জীবনী, ইতিহাসের অতীতকালের সাথে লেগে থাকা জীবনী নয় বরং বাস্তবিক জীবনে আজকের দিনে কীভাবে রাসূল(সা)কে এর শিক্ষাগুলোকে উপলব্ধি করব ও প্রয়োগ করবো- সেই থেকে ‘ফিকহুস সিরাহ’র যাত্রা।

তবে বাংলাদেশে দুংখ ও দূর্ভাগ্য এটাই যে ফিকহুস সিরাহর ধারণা স্কলাররাও কম দিয়েছেন আমাদের- ফিকহুস সিরাহর অনুবাদ মাইক্রোস্কোপ দিয়ে একটা পাওয়া যেতে পারে, তাও পূর্ণাঙ্গ নয় বা সব কিছুকে কাভার করে নি বা সম্ভব হয়নি!! এর ফলে আমরা ইসলাম নিয়ে কথাও বলি আবার ফেইসবুকের কমেন্টে, মতবিরোধে, অন্য দলের লোকদের প্রতি...যাক আর না বলি; এগুলো সবাই মোটামুটি জানে। মূল কথা হলো আমরা এখনো রাসূল(সা)কে বুঝতে পারিনি, উপলব্ধি করতে পারিনি, ইসলামকে হৃদয়ংগম করতে ব্যর্থ হয়েছি।

এখানে এই তিনটা ডাইমেনশনকে লক্ষ্য রেখেই রিসোর্সগুলো দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে যদি ১০টি ফিকহুস সিরাহ অনুদিত থাকত- কত বড় রিসোর্স-ই না হতো!!...একজন সেকুলার বা নাস্তিক বা অমুসলিমকে দেওয়ার মত কোন ভালো জীবনী আছে?যা দেখে মনে করবে আজকের দিনের এই মুহাম্মাদ(সা)এর শিক্ষাই পারে দুনিয়ায় ন্যায়বিচার, সুস্থ সমাজ ও প্রশান্তি আনতে। বোধ হয় নেই, আরবের একজন মানুষের ইতিহাস আজকের উন্নততর ও জটিল প্রাযুক্তিক সমাজে সেকেলেই মনে হয়, তাঁর প্রাসঙ্গিকতা খোঁজে পাওয়া দুষ্কর...




হাদীস ও সুন্নাহ


আমাদের মত আমজনতা হাদীস নিয়ে গবেষণার জন্য হাদীস পড়ি না, সেটা স্কলারদের কাজ। বিশুদ্ধভাবে হাদীস জেনে সুন্নাহ অনুযায়ী মানতে পারাটাই আমাদের কাজ। এক্ষেত্রে প্রথমে বুখারী, মুসলিম শেষ না করে(তবে কিছু চ্যাপ্টার তো পড়া যেতেই পারে যা বাস্তবিক জীবনের জন্য এখনই প্রয়োজন-ঈমান, তাওহীদ, জ্ঞান, সালাত ইত্যাদি)বরং জীবন গঠনের জন্য, চারিত্রিক সৌন্দর্যের মাধুর্যে ইসলামকে ভালোভাবে পালন করার জন্য “রিয়াদুস স্বালেহীন” সর্বাপেক্ষা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।সাথে মাওলানা আব্দুর রহীম(র)এর “হাদীস শরিফ” তিনখন্ডে সুন্দর ব্যাখ্যাসহ আছে। আর রয়েছে ইমাম নববীর(র)গুরুত্বপূর্ণ ৪০টি হাদীস।

সুন্নাহকে সঠিকভাবে না বুঝলে কী হবে জানেন? রাসূল(সা)একটি কাজ করেছেন ব্যক্তি হিসেবে, সেইটা যদি সুন্নাহতে আনেন তবে কী সমস্যা হবে বুঝতে পারছেন?...কেউ হয়তো বলবে আমরাও ১১টা বিয়ে করতে পারবো!

সাহাবারা(রা)দের মাঝেও বিয়েতে তালাক হতো, অন্য সাহাবার(রা)এর বিয়ের প্রস্তাবকে নাকোচ করে দিতো...আপনি যদি রাসূল(সা)এর জীবনীর মাঝে পার্থক্য করতে না পারেন তবে বিয়ের গুণাবলীর হাদীসকে নবী হিসেবে ফররজ করে দিবেন যে যার মাঝে দ্বীনদারিতা দেখা যাবে সে কালো-ফর্সা, লম্বা-খাটো যাইহোক, বিয়ে করতেই হবে!! তাইলে রাসূল(সা)এর জমানায় সাহাবারা(রা)কেন অন্যের বিয়েকে নাকচ করতেন?!! তাদের ঈমান কম ছিল? নাকি আমরা সুন্নাহ বুঝতে পারিনি!! বলেছিলাম না রাসূল(সা)এর জীবনী ১১-১৩টি বিভাগে ছিল। বিয়ের ক্ষেত্রে রাসূল(সা)ছিলেন পরামর্শদাতা, নবী নন। একারণে রাসূল(সা)এর অনেক পরামর্শ সাহাবারা নিতেন না(বদর যুদ্ধে ঘাটি কোথায় হবে বা ওমর(রা)অনেক পরামর্শই নেন নি রাসূল (সা)-কারণ সেগুলো নবী হিসেব দেননি)। সুতরাং যারা হাদীসকে দলীল হিসেবে সুন্নাহ বলে চালিয়ে দেন তারা একটু বিকৃতির মহাবিপদের কথা চিন্তা করুন। স্কলার থেকে নেন, স্কলার থেকে- পরকালের অনেক ভয়াবহ বিপদ থেকে বেঁচে যাওয়া যাবে।

বাংলা ভাষায় কিছু ভালো ইসলামিক ওয়েবসাইট



আমার ওয়েবসাইট সিরিজের একটি উদ্দেশ্য ছিল ‘স্কলারদের কাছ থেকে শিখা’, ভালো লেখক যারা, যে বিষয়গুলো নিয়ে লিখেছেন, সে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা।

বিশেষত যে সব বিষয়গুলো শরিয়ার জ্ঞানের সাথে সরারসরি সম্পর্কযুক্ত, ইসলামের একাডেমিক বিষয়, সেগুলো স্কলার ছাড়া সাধারণ অনলাইন/ফেইসবুক/বা ব্লগের লেখকদের কাছ থেকে না নেওয়া।


ইংরেজি ভাষায় কিছু সেরা ইসলামী সাইট


বাংলা ভাষায় যে সব ইসলামী ওয়েবসাইট রয়েছে সেগুলোর সাথে ইংরেজী ভাষার ওয়েবসাইটের সর্বাপেক্ষা যে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় সেটা হল স্কলার(আলেম)লেভেলের ও গুনগত পার্থক্য। অর্থাৎ বাংলা ভাষার ওয়েবসাইটগুলো পরিচালিত হয় ও লেখক হল আমাদের মত কিছু মানুষ(যদিও কিছু লেখা স্কলারদের থেকে অনুবাদ কিন্তু সেটা অপ্রতুল)সেখানে ইংরেজী ওয়েবসাইটগুলো পরিচালিত, দেখাশুনা, এডিট সবই হয় স্কলারদের অধীনে।

অডিও-ভিডিও লেকচার রিসোর্স



ভিডিও লেকচারের ক্ষেত্রে আমি বলব- জীবন গঠনের জন্য আপনার প্রাথমিকভাবে কিন্তু বুদ্ধিবৃত্তিক বা জ্ঞানগর্ভমূলক একাডেমিক আলোচনা দরকার নেই। দরকার এমন দাঈ বা স্কলারদের রিসোর্স যেগুলোর মাধ্যমে জীবনকে গঠন করা যায়, চারিত্রিক সৌন্দর্যে আচ্ছাদিত করা যায়, খুশুর সাথে ইখলাসপূর্ণভাবে ইবাদাত করা যায়। এজন্য আমার অভিজ্ঞতা অনুসারে বলতে পারি এরকম লেকচার যারা দেন তাদের মাঝে – Nouman Ali khan, Abdun Nasir Jangda, Yasir Qadhi, Kamal El Mekki Salem Al-Amry, Majed Mahmoud, Yasir Fazaga, Imam Siraj Wahhaj, Mirza Yawar Baig, Mokhtar Maghraoui, Omar Suleiman, Taqfique Chowdhry, Yasmin Mogahed, Mufti Ismail Menk.

দিনশেষে আপনি কতটুকু জ্ঞানার্জন করলেন, কতটুকু পড়লেন, কতটা বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞান দেখালেন সেটা বড় বিষয় নয়, সবচেয়ে বড় বিষয় হল আপনার ঈমান কেমন হলো, আপনার চারিত্রিক উন্নতি কতটুকু হলো, আল্লাহর সাথে আপনার কতটুকু আত্মিক উন্নতি হলো।

“নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের শরীরের দিকে তাকাবেন না, তোমাদের আকৃতির দিকেও না কিন্তু তিনি তাকাবেন তোমাদের অন্তর ও আমালের দিকে” – মুসলিম শরীফ



...সুতরাং আমি বা আপনি কতটুকু স্মার্ট বোরখা পড়া বা দাড়ি রাখার দিক থেকে, সেটা আল্লাহ কখনই আগে দেখবেন না...আগে দেখবেন আপনার মাঝে কতটুকু পবিত্রতা, চারিত্রিক সৌন্দর্য, ঈমানী দৃঢ়তা ছিল...এবং কাজে এদের প্রভাব কিরুপ ছিল। সুতরাং জীবনের প্রায়োরিটি বুঝার চেষ্টা করা উচিৎ আমাদের...এটাই যেন শিক্ষা দেয় ইসলামি শিক্ষার রিসোর্সসমূহ।

-----

আমার ব্লগে কিছু লেখা আপডেট করা হয়েছে। এই ব্লগে আপডেট করতে পারিনি। আপডেট করতে গেলে ফরম্যাট ভেংগে যায়। যার ফলে এত বড় ব্লগ নতুন করে ঠিক করা সম্ভব হয়ে উঠে না। তাই আপডেট আমার এই ব্লগেই পাওয়া যাবে।

http://alsabanow.blogspot.com/

বিষয়: বিবিধ

১২৫৯ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

317285
২৮ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ১২:০৩
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : সম্ভবত খুব গুরুত্বপূর্ণ লেখা পরে সময় করে পড়ব ইনশাআল্লাহ।
২৮ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:৫৯
258496
আহমাদ আল সাবা লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ ভাই। হয়তো বা কাজে লাগতেও পারে।
317295
২৮ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৮ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:০২
258497
আহমাদ আল সাবা লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই। Happy
317307
২৮ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৬
সাদাচোখে লিখেছেন : মাশাআল্লাহ্‌। চমৎকার উদ্যোগ এবং ভাল একটি কাজ। আল্লাহ আপনার পরিশ্রম গ্রহন করুন এবং কাল কেয়ামতের কঠিনতম সময়ে - এ উদ্যোগকে এক্সেপ্ট করে বিনা বিচারে আপনাকে বেহস্ত নসীব করুন।

২৮ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:১৬
258506
আহমাদ আল সাবা লিখেছেন : আল্লাহুম্মা আমীন।
আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করুন।

জাযাকাল্লাহ খাইরান, ফিদ দারাইন।
317310
২৮ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০৪
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম!

চমৎকার উদ্যোগ! মাশা আল্লাহ! ঘুরে এলাম আপনার ব্লগস্পটে! আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন! আমিন!
২৮ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:১৭
258508
আহমাদ আল সাবা লিখেছেন : ওয়ালাইকুম সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

আল্লাহ আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দিন।

জাযাকাল্লাহ খাইরান।
317313
২৮ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:১২
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : জীবনে চলার পথে কিছু অতি প্রয়োজনীয় রত্নের প্রয়োজন যা আলোকিত করবে আমাদেরকে; যা আমাদের সম্মুখে অন্ধকারাচ্ছন্ন পথে আলোর দিশারী হয়ে সিরাতাল মুস্তাকিমের দিকে ধাবিত করবে। খুব চমৎকার বলেছেন!
317318
২৮ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১৯
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আল্লাহ আপনার পরিশ্রমকে সার্থক করুন
২৮ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:৩৪
258513
আহমাদ আল সাবা লিখেছেন : আমীন। জাযাকাল্লাহ ভাই।
317325
২৮ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:৫২
সালাম আজাদী লিখেছেন : খুব প্রশংসনীয়
২৮ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:৩৫
258514
আহমাদ আল সাবা লিখেছেন : ধন্যবাদ, ভাই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File