“বিয়েঃ স্বপ্ন থেকে অষ্ট্র প্রহর”
লিখেছেন লিখেছেন আহমাদ আল সাবা ০৮ আগস্ট, ২০১৪, ০৭:৩৮:১৩ সকাল
বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম
বিয়ে বিষয়টি আমাদের জীবনের একটা বিরাট ও সমস্ত জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই এই বিষয়ে যদি আমরা ভালো করে জেনে নিই, তবে এর মাঝে সুখের বৃষ্টিপাত দেখতে পাবো ইন শা আল্লাহ। আর যদি এ ব্যাপারে অনভিজ্ঞের মত এগিয়ে যাই, তাহলে এটা সুখের বৃষ্টির মত না হয়ে হয়ত জাহান্নামের একটি অংশ হয়ে দুনিয়াতেই দুংখের বাহনে দাড়াতে হবে।
এই বিয়ে নিয়েই আজকের মুসলিম সমাজের ভাঙ্গা মেরুদন্ডের চাহিদার আলোকে রচিত “বিয়ে : স্বপ্ন থেকে অষ্টপ্রহর” যা লিখেছেন শাইখ মির্জা ইয়াওয়ার বেগ।
বিয়ে আমাদের জীবনে স্বপ্ন থাকে, কিন্তু উপযুক্ত পরামর্শের অভাবে এটা মুয়াদ্দাতাহ(প্রচন্ড ভালবাসা) ও রাহমাহ(দয়া)-এর পরিবর্তে তিক্ততার রুপ ধারণ করে। । স্বপ্ন থেকে বাস্তব জীবনে বিয়েকে কিভাবে সুন্দর করে গড়ে তুলা যায়, কিভাবে একে এক সুগভীর ভিত্তির উপর দাড় করানো যায় বিয়ের আগ থেকেই, এবং একটি স্বাস্থকর সম্পর্কের বুনিয়াদের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা যায় সে সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন শাইখ। এত ছোট্ট বইতে, এত সুন্দর করে, এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহকে তুলে ধরেছেন যেন একটি ছোট্ট ফুলের মাঝে অসংখ্য পাপড়ীর আগমনে এর সৌন্দর্য বহুগুনে বৃদ্ধি করেছে!!
বই হিসেবে আমার কাছে মুসলিম বিবাহের কাউন্সেলিং বিষয়ক উত্তম একটি সংযোজন মনে হয়েছে(বিবাহের পুর্বে, মাঝে এবং এরপরেও)। এর আগে মাওলানা আব্দুর বা ইউসুফ আল কারাযাভী এর বিবাহ নিয়ে বই দেখেছি এবং বিস্তারিত কিন্তু শুধুমাত্র কাউন্সেলিং বিষয়ে এই বইটি অসাধারণ মনে হয়েছে যা বিবাহ নিয়ে অনেক বই এর মাঝে একটি নতুন মাত্রার ও ইউনিক সংযোজন।
পৃথিবীতে মুসলিম কাউন্সেলিং ব্যক্তি মনে হয় খুবই কম...একারণে Yasir Fazaga এর লেকচারগুলো দেখার সময় ভাবতাম এরকম কাউন্সেলিং যদি মুসলিম দেশসমূহের থাকত তবে তারা কতটা ধ্বংসের হাত থেকেই না বাঁচত; বিশেষত যুবক-যুবতী শ্রেণী এবং পরিবার ভাংগনের ধ্বংস থেকে!
সে হিসেবে বিবাহ পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী হিসেবে প্রধান আলোচনার দাবি রাখে বইটির গুরুত্ব হিসেবে। এই কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে হয়ত সুখের ঠিকানা পাবেন...বিবাহের মাঝে কষ্টের পরিবর্তে পাবেন সুখের অবগাহন।
লেখক সম্পর্কে বইতে বলা হয়েছে “মির্জা ইয়াওয়ার বেগের জন্ম প্রাচ্যে, জীবনের একটা বড় অংশ তিনি পশ্চিমে কাটিয়েছেন। কর্পোরেট জগতের অনেক ডাকাবুকোর গুরু তিনি। ইসলামের আলোয় আলোকিত এই মানুষটি এমন একটা চশমা দিয়ে দুনিয়াটাকে দেখেন যার জুড়ি নেই। আদর্শিক পা হড়কানো থেকে উদ্ভুত সমস্যাগুলোকে তিনি ঝানু ব্যবসায়ীর চোখ দিয়ে দেখেন, ব্যবচ্ছেদ করেন। এরপর ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে সমাধান সাধেন। আমরা মুসলিমরা বিশ্বাস করি ইসলাম একটি দ্বীন — পরিপূর্ণ জীবন বিধান। এর ব্যত্যয় হলে জীবনে ঝামেলা আসবেই; আর সে সমস্যার সবচেয়ে সুষ্ঠু সমাধান ইসলামই দিতে পারে। আমাদের সমাজের একক-পরিবারের বাঁধগুলো যে আজ ভাঙ্গতে শুরু করেছে তা মেরামতের উদ্যোগ না নিলে ব্যক্তিগত জীবন থেকে যেমনি শান্তি হারিয়ে যাবে, ভবিষ্যত প্রজন্মও বিপদের মুখে পড়বে।”
বইটি থেকে কিছু চুম্বক অংশ উদ্ধৃত করছিঃ
ভালোবাসা সৃষ্টি হয় সম্মান থেকে। আমরা এমন কাউকে ভালোবাসতে পারি না যাকে আমরা সম্মান করি না। তাই, স্বামী-স্ত্রী দু’জনের জন্য খুব প্রয়োজনীয় একটি ব্যাপার হলো পরস্পরের ভালো গুণগুলোর প্রতি সচেতন দৃষ্টি দেওয়া এবং ভুলগুলোকে ক্ষমা করে দেওয়া। স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের আয়নার মতন, তারা যা দেখে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করলেও কেবল ভালো বিষয়গুলো স্মৃতিতে ধরে রাখে। যখন নতুন কোনো ছবি এই আয়নার সামনে আসে তখন তা স্মৃতিতে থাকা আগের ভালো ছবিগুলোর সাথে মিলিয়ে ভালোটা রেখে দেয়। একটা গল্প পড়েছিলাম যেখানে বলা হয়েছিল আমাদের বন্ধুদের ভালো গুণাগুলো যেন পাথরের উপরে খোদাই করে রাখি। আর তাদের ভুলগুলো বালিতে লিখি। একটি দীর্ঘদিন ধরে রয়ে যায় এবং অপরটি বাতাসের প্রথম ঝাপটাতেই উড়ে যায়
যখন ১০মিনিট কথা বলার পর দুজনের কারও আর বলার কিছু থাকে না; বরং একত্রে সময় কাটানো বলতে টিভির সামনে বসে থাকা, অথবা পত্রিকা পড়ায় রূপান্তরিত হয় তখন আপনি ধরে নিতে পারেন আপনাদের দাম্পত্য সম্পর্কে রোগ ঢুকেছে। সুখী দাম্পত্য সম্পর্কে একে অন্যের সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য একটা ব্যাকুলতা থাকে।
অনুরাগ প্রকাশে কিছু পাগলামি করুন:
জীবনসঙ্গীকে ফুল অথবা পছন্দনীয় কিছু উপহার দিন। কিন্তু তা কেবল জন্মদিন বা বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে নয়। তথ্য-প্রযুক্তির এ যুগে দিন-তারিখের এসব ছকবাঁধা জিনিস আজকাল আর কাউকে যত্ন করে মনে রাখতে হয় না, যন্ত্রগুলোই আমাদের মনে করিয়ে দেয়। বরং সম্ভব হলেই উপহার দিন। সবসময় যে বড়ো উপহার দিতে হবে এমনও নয়; বরং উপহার দেওয়ার ভাবনাটাই মূল বিষয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন যে তোমরা উপহার দাও, কারণ তা পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা বাড়িয়ে দেবে। সুতরাং একে অন্যকে উপহার দিন। যখন আপনি কিছু দিনের জন্য দূরে থাকেন, অথবা কদিন কাজে ডুবে থাকার কারণে মানসিকভাবে দূরত্ব সৃষ্টি হয়—তখন উপহার দারুণ কাজ করে। উপহার সুন্দর দাম্পত্য জীবনকে জুড়ে রাখে আঠার মতো। আর হ্যাঁ, উপহারটি আপনার সঙ্গীকে একান্তে দিবেন। উপহারটিকে র্যাপিং পেপারে মুড়িয়ে, রঙিন ফিতে দিয়ে বেঁধে, সুগন্ধী লাগিয়ে একগুচ্ছ ফুলসহ তার হাতে তুলে দিন। ঘটনাটিকে স্মরণীয়, বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ও সৃজনশীল করুন।
জীবনসঙ্গীকে সময় দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাকে বঞ্চিত করে বন্ধুদের সাথে অকারণ আড্ডাবাজিতে সময় নষ্ট করা মোটেই উচিত নয়। এমন কিছু বিষয় তৈরি করে নেওয়া দরকার যা উভয়েরই পছন্দের। একে অন্যের কাজের মাঝে আনন্দ পাওয়ার বিষয়টা শিখে নেওয়া উচিত। সবধরনের ভালো কাজেই পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। কোনো বিষয় আপনার পছন্দ না হলে আপনি আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন। তবে তা অবশ্যই হতে হবে একান্তে; আগ্রহ ও যত্নের সাথে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো প্রতিরক্ষা প্রাচীর গড়ে তোলা ঠিক নয়। এ সম্পর্কের ভিত্তি হওয়া উচিত পরস্পরের প্রতি গভীর আস্থা ও বিশ্বাস। আবেগ অনুভূতির বিষয়ে একে অন্যের প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়া আবশ্যক।
“দুজনে মিলে একটি ভাষা তৈরি করে নিতে পারলে খুবই ভালো। এ ভাষা হবে চোখের ভাষা, হৃদয়ের ভাষা, ইশারা-ইঙ্গিতের সমন্বয়ে তৈরি একান্ত নিজস্ব একটি ভাষা। সময়ের পরিক্রমায় এ ভাষা যেন জাদুর মত কাজ করে। কিছু না বলেও স্বামী বা স্ত্রী বুঝে নেয় একে অপরের মনের কথা।“
“পুরুষের মূল দায়িত্ব উপার্জন করা ও পরিবারের সদস্যদের জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি অন্যান্ন আর্থিক দায়িত্ব পালন করা। অন্যদিকে নারীর মূল দায়িত্ব হচ্ছে ঘরকে একটি সুন্দর সুখের নীড়ে পরিণত ক্রয়া এবং সন্তানদের লালন-পালনের দিকে খেয়া রাখা। আমি জানি এটা অনেকের কাছে সেকেলে মনে হতে পারে। আমি তাদের বলব আধুনিক কালের এই ইয়াপ্পি-পাপ্পি সংস্কৃতির ভয়াবহ পরিণতির দিকে একবার তাকিয়ে দেখুন, তাহলে আপনি খুব শিগগিরই মূলের দিকে ফিরে আসবেন”
“মূল দায়িত্ব পালনের পর পুরুষকে বাসার কাজগুলোতেও যথাসাধ্য সাহায্য করতে হবে...একইভাবে একজন স্ত্রী তাঁর মূল দায়িত্বগুলো পালনের পর যদি স্বামীর কাজে সহযোগিতা করেন সেটা নিশ্চয়ই প্রশংসার দাবি রাখে...দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেওয়াটা খুবই ভালো একটা গুন। সব করতে না পারেন, যে কাজটি ভালো লাগে সেটি অন্তত করুন; তবুও কাজ করুন। সংসারের কাজে কার কী ভূমিকা থাকবে, তাঁর স্বচ্ছতা থাকা একটি সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য অপরিহার্য। কারণ এটা যদি স্পষ্ট না থাকে তাহলে সেটা নিয়ে এমন দ্বন্ধ সৃষ্টি হতে পারে যা দুজনের জন্য সম্পর্কে প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করবে ”
আমাদের অনাগত ও এই সময়ের বিবাহের বন্ধনগুলো হোক পবিত্র, সুখী ও আগামীর আদর্শের পথে অনুপ্রেরণা। ‘বিয়ে : স্বপ্ন থেকে অষ্টপ্রহর’ বইটি আমাদের সেই পথে ধাবিত করার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে একজন রোগীর ডাক্তারের ভূমিকায়। বইটি প্রচারণায় সিয়ান পাবলিকেশন্স অনলাইনেও রেখেছে। যারা বিদেশ আছেন তারাও কিনতে পারবে ইন শাআ আল্লাহ।
বিয়ের মতো অনবদ্য একটি আশীর্বাদ দুঃসহ অভিশাপে পরিণত হতে পারে যদি বিয়ের আগের ও পরের কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করা না হয়। কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী সাজানো দাম্পত্য জীবন শুধু স্বামী-স্ত্রীর উপরই নয় বরং গোটা সমাজের উপর আল্লাহর অনুগ্রহ বয়ে আনে। বিয়েকে পার্থিব জীবনের সুখ ও পরিপূর্ণতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করার ক্ষেত্রে প্রধান বিষয়গুলো এই বইতে আলোচিত হয়েছে। একজন আন্তরিক পাঠক বইটি থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করলে সুখী-সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ জীবন যাপনে সক্ষম হবেন, ইনশাআল্লাহ।
সূচী
- ভূমিকা
- ইসলামে বিয়ে…
- বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু বিষয়
- বিবাহিত জীবনকে সুখী করার উপায়
১) সুন্দর দাম্পত্য জীবনের বৈশিষ্ট্য কী?
২) দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার কি কোনো সূত্র আছে?
৩) একটি দাম্পত্য জীবনকে কীভাবে সফল করা যায়?
৪) অসুখী দাম্পত্য জীবনে কীভাবে সুখ ফিরিয়ে আনা যায়?
৫) মনের মানুষ বলতে কি কিছু আছে?
৬) সুখী দাম্পত্য জীবনের পেছনে কী কী বিষয় ভুমিকা রাখে?
৭) দাম্পত্য জীবনে বাবা-মা এবং শ্বশুর বাড়ির লোকদের কতটুকু জড়ানো উচিত?
৮) সাংসারিক জীবনে পরস্পরকে কীভাবে ছাড় দেওয়া যায়?
৯) মানুষ কখন তার বৈবাহিক জীবনের ব্যর্থতা বুঝতে পারে?
১০) একটা সংসারে স্বামী-স্ত্রীর মূল দায়িত্ব কী? স্বামী ও স্ত্রীর জন্য কি এগুলো আলাদা?
১১) দাম্পত্য জীবনকে সুখী করার পেছনে মূল দায়িত্ব কার?
১২) ইন্টারনেটে পাত্র-পাত্রী পছন্দ ও বিয়ে!
১৩) সাত বছর পরে দাম্পত্য সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার কুসংস্কার
১৪) সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য বাচ্চাকাচ্চা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ?
১৫) জীবনসঙ্গীর কাছে নিজের গুরুত্ব ধরে রাখার জন্য কী করা যেতে পারে?
১৬) তর্ক-বিতর্ক করা কি ভালো?
১৭) সংসার সুখী করতে টাকাপয়সা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
১৮) বৈবাহিক সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর কাজ কোনগুলো?
১৯) সংসারে শান্তি বজায় রাখার জন্য কি ছোটখাটো মিথ্যা বলা যাবে?
২০) দাম্পত্য জীবনের সমস্যা নিয়ে কারও সাথে পরামর্শ করলে কি কাজে দেবে?
বই সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ
বইয়ের নামঃ বিয়ে : স্বপ্ন থেকে অষ্টপ্রহর
লেখকঃ মির্জা ইয়াওয়ার বেইগ
প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ২০১৩
সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যঃ ১৩৫ ৳
প্রাপ্তিস্থান ও কুরিয়ারে পেতে -
http://tinyurl.com/mb35h4c
Kindle Version: http://www.amazon.com/dp/B00EY2UR94
আর অবশ্যই বিস্তারিত ইসলামী পরিবার গড়ার জন্য অন্তত পক্ষে কোরান-সুন্নাহ অনুযায়ী বিস্তারিত পড়ার জন্য মাওলানা আব্দুর রাহীম(র) এর বইটি অবশ্য পাঠ্য। এছাড়াও পড়ুন।
• পরিবার ও পারিবারিক জীবন- মাওলানা আব্দুর রহীম(র)
• আদর্শ পরিবার – আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ
• Getting Married Before(পিডিএফ পাবেনপিonislam.net এ )
• আদর্শ বিবাহ ও দাম্পত্ব - আব্দুল হামিদ ফাইযী
পুরো বইটিতে একটা জায়গায় আমার কাছে সমস্যা মনে হয়েছে যা বাংলাদেশের সংস্ক্রৃতির সাথে যায় না। এখানে ব্যালেন্স করা সম্ভব ছিল বইটিতে। হয়তোবা শাইখ ভারতের কালচারের দেখা অভ্যস্ততায় এটা লিখেছেন।
বিবাহউত্তর সমস্যা নিয়ে আমরা যদি একজন কাউন্সেলিং এর কাছে যাই তবে একবার দেখাতেই হয়ত ৪০০-৫০০ টাকা প্লাস মেডিসিন খরচ মিলে আমাদের অনেক টাকা খরচ হয়ে যাবে এবং এটা কিন্তু দাম্পত্য সমস্যার মাঝেই করতে হব। কিন্তু এই ছোট্ট কিন্তু অসাধাণ বই যদি আমরা সবাই বিবাহের আগেই পড়ে নিই তবে আমাদের কতই না উপকারে আসবে!
বিষয়: বিবিধ
২১০০ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আরবের লোকজনের জন্য বইটি বেশী কাজ দিবে বলে মনে করি । ট্রান্সলেট করা যেতে পারে !!
মন্তব্য করতে লগইন করুন