‘পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ’
লিখেছেন লিখেছেন মন সমন ১৪ এপ্রিল, ২০১৪, ০৫:৪৩:০২ বিকাল
আকবর/আকবর দ্যা গ্রেট/মহামতি আকবর
এই শব্দগুলো শুনেনি এবং এই ব্যক্তি সম্পর্কে জানেনা
এমন লোক এই উপমহাদেশে কমই।
এই উপমহাদেশের ইতিহাসে এক বিশাল অধ্যায় জায়গা জুড়ে আছে তার নাম।
আজ হঠাত এই মহামতির কথা খুব মনে পড়ছে।
কেন ?
কারন আজ যে ‘পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ’। আমাদের প্রানের উত্সব । বাংলার উত্সব, বাঙ্গালীর
উত্সব। আর এই উত্সবের সাথে যে মহামতি আকবরের নাম
ওতোপ্রোতভাবে জড়িত।
আমরা এখন যে বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী বাংলা নববর্ষ পালন করছি তা আকবরেরই অবদান। আকবরই প্রথম তার রাজকার্যের সুবিধার জন্য
এইরকম বাংলা বর্ষপঞ্জি তৈরি করেন।
তার শাসনামলে চৈত্রের শেষদিনের মধ্যে প্রজারা তাদের খাজনা দিত এবং পহেলা বৈশাখে তাদের উর্ধস্তনরা তাদেরকে মিষ্টি খাওয়াতেন। সেই থেকে শুরু হয় হালখাতার।
হিন্দুধর্মীরা অনেক আগে থেকেই পহেলা বৈশাখে তাদের বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালন করত যা এখনও চালু আছে। আর মহামতি আকবর সেই অনুষ্ঠানাদিগুলোকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে চালু করেন আরেক নতুন উত্সব ‘বাংলা নববর্ষ’। আর সেই থেকেই শুরু আমাদের এই ‘পহেলা বৈশাখ’এর।
তাই আমাদের বাঙ্গালী জাতির জন্য এই মহামতির অবদান অনেক। যিনি আমাদের এই বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদকে বিকশিত করার, বাঙ্গালী চেতনাকে জাগ্রত করার এই মহান পন্থা বাতলে দিয়ে গেছেন, আসুন তার সম্পর্কে আজ আমরা কিছু তথ্য জানি; যা ইতিহাস তার পাতায় চাপা দিয়ে রাখতে চেয়েছিল।
★★
ভারতের বিখ্যাত "VINDICATION OF AOWRANGEB" গ্রন্থের ১৩ পৃষ্ঠায় সুস্পষ্ট অক্ষরে লেখা আছে যে, "Akbar has over five thousand wives" অর্থাত আকবরের ৫ হাজারেরও বেশি স্ত্রী ছিল।
★★
মহামতি নিজে এক নতুন ধর্ম সৃষ্টি করেছিলেন যার নাম ‘দ্বীন-ই-ইলাহী’। তার এই নতুন ধর্মে তিনি সুর্য উপাসনা চালু করেছিলেন। যা তিনি নিজেও সকাল, দুপুর, মধ্য দুপুর ও সন্ধ্যায় করতেন।
★★
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্’ এই কালেমার পরিবর্তে আকবর তার নতুন ধর্মে কালেমা দিয়েছিলেন ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আকবর খলিফাতুল্লাহ্’।
★★
মহামতির নতুন ধর্মে মদ ও সুদকে তিনি বৈধ করেছিলেন।
★★
তিনি জুয়া খেলাকে তো বৈধতা দিয়েছিলেনই বরং জুয়া খেলার জন্য বড় বড় অট্টালিকা নির্মাণ করেছিলেন এবং কারো জুয়া খেলার টাকা না থাকলে তাকে রাজকোষ থেকে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন।
★★
মহামতি দাড়ি মুন্ডন করা বৈধ বলে আইন প্রণয়ন করেছিলেন।
★★
মহামতি নিজের এবং তার কিছু রাজকর্মচারীদের সুবিধার জন্য মুত্আ নামক এক ধরনের অস্থায়ী বিয়ে চালু করেছিলেন, যেখানে দু-চার দিন বা দু-এক মাসের জন্য একটি বিয়ে করে আবার তাকে তালাক দেওয়া যাবে।
★★
তিনি কঠোর হস্তে মহিলাদের পর্দা প্রথার বিলোপ সাধনের চেষ্টা করেন।
★★
১২ বছরের কম বয়সে ‘খতনা’ দেওয়াকে তিনি নিষিদ্ধ করেছিলেন। সে বড় হয়ে নিজের ইচ্ছায় দিতেও পারে আবার নাও পারে।
★★
মহামতি মৃত মানুষকে কবর দেওয়ার পরিবর্তে পায়ে ইট বেঁধে পানিতে ফেলে দেওয়ার রীতি চালু করেন। আর কবর যদি দিতেই হয় তবে পা পশ্চিম দিকে দিতে হবে বলে আইন করেন।
★★
মসজিদে আজান ও জামায়াতে নামায পড়া নিষিদ্ধ ছিল।
★★
তিনি মুসলমানদের হজ্জ্ব করার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
★★
মহামতি তার নতুন ধর্মে গরু, মহিষ, মেষ, উট ইত্যাদি খাওয়া নিষিদ্ধ করলেও বাঘ, ভাল্লুক, সিংহ ইত্যাদি খাওয়াকে বৈধ করেছিলেন।
★★
তিনি কুরআন বিশ্বাস করতে নিষেধ করতেন।
★★
আকবর তার দরবারে প্রজাদের তাকে সিজদা দেওয়াকে বাধ্যতামুলক করেছিলেন।
★★
তিনি মসজিদকে গুদামঘর এবং হিন্দু প্রজাদের চিত্তবিনোদনের স্থান বানিয়েছিলেন।
★★
তার শাহী মহলে নিয়মিত মুর্তি ও অগ্নিপূজা হত।
★★
সুন্দরী তরুণীদের দাঁড় করিয়ে ছক কাটা ঘরে পাশা খেলতেন আকবর।
★★
তার সময় পতিতালয় বৈধ করা হয় এবং তার উপর কর ধার্য করা হয়।
★★
মহামতি তার সময়ে মুসলমানদের মধ্যে সালামের প্রচলন নিষিদ্ধ করেন এবং একজন আরেকজনের সাথে দেখা হলে ‘আল্লাহু আকবর’ বলার আদেশ দেন, যার অর্থ আল্লাহ্ বড় না বরং ‘আকবরই আল্লাহ’।
— এই হল আমাদের মহামতি আকবর। আজ ভাবতে বড্ড অবাক লাগে যে, ১৫ কোটিরও বেশি মানুষের একটি মুসলমান জাতির নাকি জাতীয় উত্সব এই আকবরেরই চালু করা ‘পহেলা বৈশাখ’।
হায়রে মুসলমান !!!
তাই আসুন আজ আমরা সিদ্ধান্ত নেই, আমরা কি এই আকবরের পথ অনুসরন করে পহেলা বৈশাখ পালন করব নাকি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর অনুসরন করে এর থেকে বিরত থাকব।
কে অনুসরণযোগ্য সেটা মনে হয় আর বলতে হবে না।
আসুন নিজে তওবা করি যে, নিজে জীবনে এইরকম কাজ আর করব না আর পূর্বকৃত ভুলের জন্য আল্লাহ্ তায়ালার কাছে ক্ষমা চাই।
যেই আকবরের চালু করা দিবস আজ কোটি কোটি মানুষ পালন করছে। সেই আকবরের দিবসটি যদি আজ আমার আপনার মত একজন একজন করে বর্জন করতে থাকি আবার একসময় এই কোটি কোটি মানুষও বর্জন করে ফেলবে।
আপনি আমি হয়তবা অনেক বেশি কিছু করতে পারব না, কিন্তু উপরে যিনি আছেন ঐ আল্লাহ্ আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন একদিন করবেনই “ইনশা-আল্লাহ্”।
[সংগৃহিত]
বিষয়: বিবিধ
৯১২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন