আল্লাহ্র ওলী কে ?
লিখেছেন লিখেছেন মন সমন ৩১ মার্চ, ২০১৪, ০৭:৫১:৪০ সকাল
আল্লাহ্র ওলী কে ?
যে ব্যক্তি আল্লাহ্র প্রতি ঈমান রাখবে, তাঁকে ভয় করে তাঁর আদেশ নিষেধ মেনে চলবে এবং তাঁর নবী মুহাম্মদ (সাHappy এর সুন্নাতকে মান্য করে নিজের জীবনকে পরিচালনা করার পাশাপাশি যাবতীয় শির্ক ও বিদআত থেকে বেঁচে থাকবে সেই আল্লাহ্র ওলী বা আল্লাহ্র বন্ধু। ওলী হওয়ার ভিত্তি হচ্ছে তাকওয়া বা আল্লাহ্ ভীতি।
আল্লাহ্ তা’আলা বলেন :
“তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি আল্লাহ্র কাছে সর্বাধিক সম্মানিত যে বেশী আল্লাহ্কে ভয় করে।”
[ সূরা হুজুরাতঃ১৩ ]
“জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহর ওলীদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃচিন্তাগ্রস্ত হবে না। আর ওরা হচ্ছে তারাই যারা ঈমানদার এবং আল্লাহকে ভয় করে চলে।”
[ সূরা ইউনুসঃ ৬২,৬৩ ]
আল্লাহ আরো বলেন :
“যারা ঈমানদার আল্লাহ তাদের ওলী (বন্ধু), তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আনেন।”
[ সূরা বাকারাঃ ২৫৭ ]
তিনি আরো এরশাদ করেন :
“তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (সাHappy এবং মু’মিনরা - যারা সালাত আদায় করে, যাকাত আদায় করে এবং যারা বিনয়ী। আর যে ব্যক্তি বন্ধুত্ব রাখবে আল্লাহ্র সাথে, তাঁর রাসূলের সাথে এবং মু’মিনদের সাথে, (তারা আল্লাহর দলভুক্ত হল এবং) নিশ্চয় আল্লাহ্র দলই বিজয়ী।”
[সূরা মায়েদাঃ ৫৫,৫৬]
আমর বিন আ’স রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি শুনেছি রাসূলুল্লাহ সা: গোপনে নয়; বরং উচ্চৈঃস্বরে বলেছেন, “তোমরা জেনে রাখ, উমুক বংশের লোকেরা আমার বন্ধু নয়; বরং আমার বন্ধু হচ্ছেন আল্লাহ্ এবং নেককার মু’মিনগণ। (অন্য বর্ণনায়) আমার বন্ধু হলেন মুত্তাকী বা আল্লাহ্ভীরুগণ।”
[ বুখারী ও মুসলিম ]
“মু’মিন পুরুষ ও নারীগণ পরস্পর পরস্পরের ওলী-বন্ধু।”
( সুরা তাওবাঃ ৭১ )
“নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে, হিজরত করেছে, নিজেদের জান-মাল দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছে এবং যারা আশ্রয় দিয়েছে ও সাহায্য করেছে তারা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু।”
[ সুরা আনফালঃ ৭২ ]
আল্লাহর প্রতি যার ঈমান যত মজবুত, ভয়-ভীতি, ভালবাসা ও আশা-আকাংখা নিয়ে যে যত বেশী আল্লাহর প্রতি দৃঢ় ভরসা ও আস্থা রেখেছে, তাঁর কাছে সাহায্য ও ক্ষমা প্রার্থনা করেছে, শির্ক ও কুফরী থেকে নিজের ঈমানকে হেফাযত রেখেছে, যাবতীয় ইবাদত নিরঙ্কুশভাবে আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে সম্পাদন করেছে, আল্লাহ্ যাকে ভালবাসেন তাকে ভালবেসেছে, তিনি যাকে ঘৃণা করেন তাকে ঘৃণা করেছে, জীবনের সর্ব ক্ষেত্রে আল্লাহকে ভয় করে চলেছে, আল্লাহ্র নির্ধারিত হালাল-হারামের সীমানাকে লঙ্ঘণ করেনি, নবী সা: এর সুন্নাতকে সবকিছুর উর্ধে স্থান দিয়েছে, নিজের পক্ষ থেকে নতুন কোন ইবাদত সৃষ্টি করেনি, বিদআত-কুসংস্কার থেকে দূরে থেকেছে, মু’মিনদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে, আল্লাহ্র সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মু’মিনদেরকে ভালবেসেছে সেই প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ্র ওলী । এই বৈশিষ্টগুলো যার মধ্যে যে পরিমাণ বিদ্যমান থাকবে, সে সেই পরিমাণ আল্লাহ্র বন্ধুত্ব অর্জন করবে।
বিষয়: বিবিধ
১০১৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন