সপ্ন বাস্তবায়নে নিঝুম দ্বীপ
লিখেছেন লিখেছেন ইসতিয়াক হোসাইন জিপু ২২ মার্চ, ২০১৫, ১১:০৮:৫৭ সকাল
নিঝুম দ্বীপ! সে এক অজানা মায়াবী রহস্যের দ্বীপ।ধীরে ধীরে অবগুষ্ঠন খুলে উন্মোচন করছে নিজেকে। দূর সমুদ্র থেকে হাতছানি দেয় সে। চপলা লাস্যময়ীর মতো ইশারায় কাছে ডাকে যেন।
সমুদ্রের ডাক শুনতে সবাই ছুটে যায় কক্সবাজার। বাংলাদেশে সমুদ্রসৈকত বলতে আমরা বুঝি কক্সবাজার। অথচ নিঝুম দ্বীপের বিস্তীর্ণ সমুদ্র ও তার মায়াবী হাতছানি এখনও অনেককে হাতছানি দিয়ে ডাকে ।
এই দ্বীপটিকে অদ্ভুত এক মায়াবী নির্জনতা ঘিরে রেখেছে ।
সৈকতে দাঁডালে গভীর সমুদ্র থেকে তরঙ্গে ভেসে আসে সমুদ্রের
আহ্বান। হৃদয়ে বেজে ওঠে অপূর্ব সুরের মূর্ছনা।
পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি নিঝুম দ্বীপে জনবসতি শুরু হয়। মূলত হাতিয়ার জাহাজমারা ইউনিয়ন হতে কিছু জেলে পরিবার প্রথম নিঝুম দ্বীপে আসে।
নিঝুম দ্বীপ সংলগ্ন এলাকায় প্রচুর ইচা মাছ (চিংড়ি) ধরা পড়ত
বলে জেলেরা এই দ্বীপের নাম দেয় ইছামতির দ্বীপ। এ দ্বীপের
মাটি চিকচিকে বালুকাময়, তাই জেলেরা নাম দিলেন বইল্যারচর বা বালুর চর। এই দ্বীপটিতে মাঝে মাঝে বালির ঢিবি বা টিলার মতো ছিল বিধায় স্থানীয় লোকজন এই দ্বীপকে বাইল্যার ডেইল বলেও ডাকত।
চিকচিকে মোটা বালুকাময় এ সৈকত ঢালু হয়ে চলে গেছে সমুদ্রের অভ্যন্তরে। প্রতিদিন জোয়ার ও ভাটায় যেন স্নান করায় প্রকৃতি এ বেলাভূমিকে । আর এ বেলাভূমিতে সাগরের ফেনিল ঊর্মিমালা আছড়ে পড়ার অপূর্ব দৃশ্য কারও হৃদয় আলোড়িত না করে পারে না। যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে সমুদ্র। আর অমাবস্যার চাঁদে জোয়ার ভাটায় এর মনোমুগ্ধকর দৃশ্য এক স্বর্গীয় অনুভূতি সৃষ্টি করে।
আশা করি কেউ মিস করবেন না।
বিষয়: বিবিধ
১৩১৫ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই জায়গাতে এখনও যাওয়া হয় নাই।
আর হা, আপনার বর্ণনার ঢং অনেক সুন্দর। ভাল লেগেছে।
কমেন্ট বক্সের ডান পাশে জবাব অপশনে ক্লিক করে তাঁদের উদ্দেশ্যে আপনার মন্তব্য প্রেরণ করুন।
নোয়াখালীর সোনাপুর বাস স্টান্ড
থেকে সুবর্ণ সুপার সার্ভিস বাসে ওঠে
(রিজার্ভ সিএনজি করে) সুবর্ণ চর
উপজেলার মধ্যে দিয়ে সরাসরি
স্টিমার ঘাট /চেয়ারম্যান ঘাটে
যেতে হবে, সেখান থেকে নদী পথে
সিটাক নামের স্টিমারে করে
হাতিয়ায় পৌছাতে হবে, সেখান
থেকে স্থানীয় যানবাহন করে সরাসরি
নিঝুম দ্বীপের স্পটে যাওয়া যাবে।
( বন বিভাগের সহায়তা নেওয়া উত্তম
ভিতরে যাওয়ার ক্ষেত্রে)।
তবে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিস্তারিত বর্ণনা আসা ভালো।
অর্থাত ভাড়া মেকন, কোথায় থাকা যায়, যাতায়াতের বিস্তারিত....
মন্তব্য করতে লগইন করুন