বিশ্ববিখ্যাত 'রিভোনিয়ার মামলা" এর কিছু তথ্য ও মেন্ডেলার 27 বছর কারাবাস।
লিখেছেন লিখেছেন ইসতিয়াক হোসাইন জিপু ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৮:২৯:৫৯ রাত
বিশ্ববিখ্যাত 'রিভোনিয়ার মামলা"
এর কিছু তথ্য ও 27 বছর কারাবাস।
যে মামলায় কিংবদন্তী ম্যান্ডেলাকে যাবজ্জীবন
কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সরকারের প্রধান আইনজীবী ডক্টর
পারসি ইউটার ম্যান্ডেলাসহ
এএনসির নেতাদের অন্তর্ঘাতের
অভিযোগে অভিযুক্ত করেন। এ ছাড়াও
তাঁদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার
অভিযোগ আনা হয়।
ম্যান্ডেলা আদালতে অন্তর্ঘাতের
অভিযোগ স্বীকার করে নেন। কিন্তু
বিদেশী রাষ্ট্রের দালাল
হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকার
বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার জন্য
আনা দেশদ্রোহিতার
অভিযোগটি ম্যান্ডেলা অস্বীকার
করেন।
তিনি আরও বলেন,
শার্পভিলের গণহত্যার পর
তাঁরা অহিংস আন্দোলনের পথ ত্যাগ
করতে বাধ্য হন।এই গণহত্যা,
কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকারকে অবজ্ঞা করে দক্ষিণ
আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র ঘোষণা দেয়া,
জরুরি অবস্থার
ঘোষণা এবং এএনসিকে নিষিদ্ধ
ঘোষণা করার পরে ম্যান্ডেলা ও
তাঁর সহযোদ্ধারা অন্তর্ঘাতমূলক
সশস্ত্র সংগ্রামকেই বেছে নেন।
তাঁদের মতে সশস্ত্র আন্দোলন
ছাড়া অন্য কোনো কিছুই
হতো বিনাশর্তে আত্মসমর্পণের
নামান্তর।
ম্যান্ডেলা আদালতে আরো বলেন,
১৯৬১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর
তারিখে তাঁরা উমখোন্তো উই
সিযওয়ে অর্থাৎ এমকে-এর
ম্যানিফেস্টো লিখেন। এই
সংগঠনের মূল লক্ষ্য
হিসাবে তাঁরা বেছে নেন সশস্ত্র
সংগ্রাম। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিলো,
অন্তর্ঘাতের মাধ্যমে দক্ষিণ
আফ্রিকায় বিদেশী বিনিয়োগকে
তাঁরা নিরুৎসাহিত করবেন, আর এর
মাধ্যমে বর্ণবাদী ন্যাশনাল
পার্টির সরকারের উপরে চাপ
সৃষ্টি করবেন।
জবানবন্দির শেষে ম্যান্ডেলা বলেন, "During
my lifetime I have dedicated
myself to the struggle of the
African people. I have fought
against white domination, and I
have fought against black
domination. I have cherished the
ideal of a democratic and free
society in which all persons live
together in harmony and with
equal opportunities. It is an
ideal which I hope to live for and
to achieve. But if needs be, it is
an ideal for which I am prepared
to die."
ম্যান্ডেলার পক্ষে ব্র্যাম ফিশার,
ভার্নন বেরাঞ্জ, হ্যারি শোয়ার্জ,
জোয়েল জফ, আর্থার চাসকালসন,
এবং জর্জ বিজোস ওকালতি করেন।
মামলার শেষভাগে হ্যারল্ড
হ্যানসন আইনী সহায়তার জন্য যোগ
দেন। কিন্তু মামলায়
রাস্টি বার্নস্টেইন ছাড়া অন্য
সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
তবে ১৯৬৪ সালের ১২ই জুন
দেয়া রায়ে ফাঁসীর বদলে তাঁদের
সবাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
দেয়া হয়।
কারাবাস রবেন দ্বীপের কারাগারের
প্রাঙ্গন। রবেন দ্বীপে ম্যান্ডেলার
কারাকক্ষ। এখানেই বন্দী ছিলেন
দীর্ঘদিন।
ম্যান্ডেলার কারাবাস শুরু হয়
রবেন দ্বীপের কারাগারে।
এখানে তিনি তাঁর ২৭ বছরের
কারাবাসের প্রথম ১৮ বছর কাটান।
জেলে থাকার সময়ে বিশ্বজুড়ে তাঁর
খ্যাতি বাড়তে থাকে।
তথ্য সূত্র : ইন্টারনেট অবলম্বনে ।
বিষয়: বিবিধ
১১২০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন