রক্ত ছড়িয়ে পড়ছে, রক্তে রক্তে ভেসে যাবেই!
লিখেছেন লিখেছেন জেরিন সরকার ০৩ নভেম্বর, ২০১৪, ০২:৪০:৫১ রাত
পুস্পিতার লেখাটি পড়ে ল্যাপটপ'টা আর বন্ধ করতে ইচ্ছে করল না। মনে প্রবল ইচ্ছে জাগলো একটু কিছু লেখার জন্য। হয়ত মন্তব্য করেই শেষ করতে পারতাম, কিন্তু ভেবে দেখলাম মন্তব্যের মধ্যেই হয়ত সেটা সীমাবদ্ধ থাকবে না। তাই পোষ্ট আকারেই লিখতে শুরু করলাম!
পুস্পিতার শেষ কথাটা ছিলঃ
"যাদের আটক করা হয়েছে তারা সবাই বিদেশে চাইলে খুব ভাল ভাবেই উন্নত জীবন যাপন করতে পারতেন। কিন্তু ওই যে ইসলামী বিপ্লবের চেতনা রক্তে ঢুকে গিয়েছে সেই চেতনা তাদের দেশ ত্যাগ করতে দেয়নি। ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা তাদের চুড়ান্ত আঘাত হানা শুরু করেছে। এ অবস্থায় কি আলোর পথে চলা বন্ধ হয়ে যাবে? না বন্ধ হতে পারেনা। বিভিন্ন দেশে এসব কঠিন পথ পাড়ি দিয়েই বিজয় এসেছে। এখানেও আসবে..."
জামায়াতের রাজনীতির সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা না থাকলেও, পুস্পিতার কথার সাথে একমত না হয়ে পারিনা। কিন্তু আরও কিছু কথা যোগ করে যেতে চাই। মালেকের রক্তে যে বাংলাদেশের মাটি উর্বর হয়েছে, সেই বাংলাদেশের রাজপথে আজ হাজার হাজার মালেক শ্লোগান তুলে "নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর"। যে সাব্বিরের রক্তে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহারের সবুজ চত্তর রক্তে ভেসে গেলো সেই রাজশাহীর রাজপথে হাজার হাজার সাব্বির শ্লোগান তুলে "নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর"। যে খুলনা শহীদ বিমানের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল সেই খুলনার রাজপথে হাজার হাজার বিমানের সাথীরা এখন শ্লোগান তুলে "নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর", প্রকম্পিত করে তুলে শহরগুলো।
এখন হাজার হাজার মালেক, সাব্বির, বিমানেরা মিলে লক্ষ লক্ষ মালেক, সাব্বির, বিমান, নোমানী, মুজাহিদ, জসিমদের এক কাফেলা তৈরী করেছে।
সেই কাফেলার এক সঙ্গী কাদের মোল্লার রক্ত আবার ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের জমিনে। এক কাদের মোল্লার রক্ত থেকেই আবার জন্ম নেবে লক্ষ লক্ষ কাদের মোল্লা। যদি আবার এক কামারুজ্জামানের রক্ত ঝরে তবে সেই রক্ত থেকেই আবার জন্ম নেবে লক্ষ লক্ষ কামারুজ্জামান। যদি এক মীর কাশেম আলীর রক্ত বাংলাদেশের জমিনকে উর্বর করতে পারে তবে, সেখান থেকেই আবার জন্ম নেবে লক্ষ লক্ষ মীর কাশেম আলী। এভাবেই এই কাফেলা একদিন কোটি কোটি মালেক, সাব্বির, বিমান, নোমানী, মুজাহিদ, জসিম, কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান কিংবা মীর কাশেম আলীদের পদচারনায় পূর্ন হয়ে প্রতিষ্ঠা করবে ইসলামী সমাজ। রাত যত গভীর হয় ভোর তত নিকটে আসে বন্ধু।
বিষয়: রাজনীতি
১৫৫৩ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধারা রক্ত দিয়েছে আর এখন ঐ রক্তের বদলা নিতেও রক্তই যাচ্ছে।
একেই বলে রক্ত ঋণ । কখনো না কখনো শোধ দিতেই হয়। এই আর কী,ইতিহাসের ধারাবাহিকতা চলছে। মেনে নেয়াই ভালো।
ধন্যবাদ।
লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ১৯ জুন ২০১২, সন্ধ্যা ০৭:৪৫
নিজের মাঝেই ঘুমন্ত ওমর
মিছে খূঁজি বারে বার,
দোয়া মাঙ্গি প্রভূ পাঠাও আজি
ওমরকে আবার।
ভূলে যাই ওমর আমারই মত
নত করেনি কভু শির,
কোরানের রঙ্গে রাঙ্গিয়ে নিজেকে
হয়েছিল দিগ্বী বীর।
যে পথে এগিয়ে ওমর শ্রেষ্ঠ
ভূলে গেছি সেই গলি,
কেবলা বাবার দরগাহে বসে
মিছে সাজি মোরা 'অলী'।
বদর, ওহুদ, খন্ন্দক ছেড়েছি
কোরান বন্দী তাঁকে,
তাসবীহর দানায় জান্নাত খুঁজি
জাগিনা দায়ীর ডাকে।
দুনিয়া ভোগে বড় মরিয়া
মিছে করি ক্রন্দন,
অট্রালিকায় নিভুতে খূঁজি
ভ্রাতৃত্বের বন্ধন।
রক্তে রঞ্জিত দায়ীদের ভূমি
খন্ডিত ফিলিস্তিন,
ইরাক, ইরান, মিশর, বার্মায়
শংকাতে প্রভূর দ্বীন।
এসো আজি মোরা শপথ করে
রাঙ্গি কোরানের রঙ্গে,
প্রভুর কাছে সপে দিয়ে সব
চলি রাসুলের সঙ্গে।
শয়নে স্বপনে চলনে হই
জীবন্ত কোরআন,
জ্বলে পুড়ে হই আলী, ওমর
আবু বকর, ওসমান।
অনেক দিবস যামী,
কাফনের কপড়ে আমাম বাঁধিয়া
এস রাজপথে নামি'৷
মুমিনের জান আল্লাহ নিয়েছে
জান্নাত দিয়ে কিনে,
পাওনা তাহার কেমনে শোধিবে,
তাসবীর দানা গুনে?
"শত শত মালেক ঐ আসছে!
শত শত শাব্বির দেখ হাসছে!!"
রক্তপিচ্ছিল পথ মাড়িয়েই ইসলামের ঝান্দা একদিন মাথা উচু করে উড়বে এই জমিনে! সে দিন বেশী দূরে নয়!
অনড় অবস্হান অামাদের
ঈমানের মজবুতি শপথে
কালেমার পথাকা উড়বে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন