থুথু বাবার নয়া সঙ্গী মিস্ সাথী রহস্যের পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট!
লিখেছেন লিখেছেন জেরিন সরকার ২৩ জানুয়ারি, ২০১৪, ০২:৪৮:৩১ রাত
এরশাদ কাগুর আশেপাশে, বাসায় এমনকি শয়ন কক্ষে নতুন এক সুন্দরী আগন্তুককে দেখে সবাই যখন এই ভেবে ব্যস্ত যে, এরশাদ কাগু আবার বিয়ে করতে চলেছেন। তখন আমি এই রসের খবর মাড়িয়ে আপনাদেরকে রহস্যময় ধারণা দিতে চাই।
আপনারা হয়ত ভাবছেন এরশাদ কাগু নতুন প্রেমে পড়েছেন। হ্যাঁ, প্রেমে পড়ার মতোই মানুষ এরশাদ কাগু এবং যাকে নিয়ে রহস্য সেও কিন্তু প্রেমের ফাঁদে ফেলার মতোই! আসলে তেঁতুল যদি সামনে রাখা হয় তবে বেশিরভাগ মানুষেরই মুখ থেকে লালা ঝরতে পারে এবং এটাই স্বাভাবিক। একজন স্বল্পবয়সী, রূপসী ও আকর্ষনীয় শারীরিক গঠনের অধিকারী নারী যদি রূপসজ্জায় আবির্ভূত হয়ে কোন পুরুষের পাশে সারাক্ষণ অবস্থান করে, এমনকি নিভৃতেও পাশে থাকে তবে তো সেই নারীর প্রতি ওই পুরুষের আকর্ষন তুমুল হতেই পারে, আর যদি সেই পুরুষটি হয় প্রেমিক পুরুষ এরশাদ কাগু, তবে তো কথাই নেই!
খুব সম্ভবত, ঘটনাটি ঠিক তাই-ই ঘটেছে। ভোটের পূর্বে এরশাদকে যখন আটকে রাখা হলো তার বাড়ীর বাহিরে, তখন এই নারীকেই এরশাদের সেবাযত্ন তথা মনোরঞ্জের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল। পার্শবর্তী একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থার পরামর্শে দেশের অভ্যন্তরীন একটি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমেই নির্বাচিত করা হয় এই সুন্দরী রমনীকে। ইনি কোন সাধারণ নারী নন, ইনি প্রশিক্ষিত একজন গুপ্তচর। এই নারী তার প্রয়োজনমতো কৌশল প্রয়োগ করে এরশাদের অতিপ্রিয় হয়ে উঠেছেন মাত্র ক'দিনেই। তাই নারী সংস্পর্শের লোভ সামলাতে না পারা এরশাদ এই নারীকে তার বাড়ীতে এমনকি তার শয়নকক্ষেরও সঙ্গি করেছেন, বাড়ি ফিরেই। এখন থেকে আমরা হয়ত সবসময়েই ওই নারীকে দেখতে পাব এরশাদের সব কর্মকান্ডের সাথে, সব ঘটনার পাশে।
কিন্তু তাতে লাভ কি পার্শবর্তী ওই দেশের? হ্যাঁ, লাভ না থাকলে কি কেউ ইনভেষ্ট করে? নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষনা দিয়েও পরে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়ে ভারতের সব পরিকল্পনাই প্রায় নস্যাৎ করতে বসেছিলেন এরশাদ। এরশাদের মতিগতির তো আর ষ্টেশন নেই! তিনি কখন কি ভাবেন, কি করেন, কেন করেন তা সম্ভবত এক আল্লাহ ছাড়া আর কেউ বোঝার ক্ষমতা রাখে না। তাই ভবিষ্যতে তার মানষিক অবস্থা ও পরিকল্পনা জানতে ও নজর রাখতেই মোটা অংকের বেতনের বিনিময়ে ওই রহস্যময় নারী পরিনত হয়েছেন এরশাদের শেষ বয়সের সঙ্গীতে।
ওই নারী চায় অর্থ, গোয়েন্দা সংস্থা চায় তথ্য, আর এরশাদ কাগু চায় মনোরঞ্জনের পথ্য। খুব সম্ভবত এটাই হলো এরশাদ কাগুর মিস্ সাথী রহস্য। আমি বলছি না ১০০%, তবে ধারণা করছি পোষ্টমর্টেম ৫০-৫০ সত্য!
(আপনাদের মতামত প্রত্যাশা করছি।)
Jerin Sarker
বিষয়: বিবিধ
২৪৪৮ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ছোট বাচ্চারা কান্নাকটি করলে তাকে যেভাবে শান্ত করা হয় , এক্ষেত্রে কাকাকে সেভাবেই শান্ত করা হচ্ছে ।
ভালই বলেছেন।
চাচার চাই ছুড়ি
আছে অনেক টাকা
তাই সাথীর দেখা
চাচা তো বড়া
আছে তো ভাইগ্রা
নির্বাচনে যেতে না চাইলেও তাকে জোড় করে বানানো হয়
আর প্রেমিকা না চাইলেও নতুন চাচিরা জোর করে মন লয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন