এ এক নতুন মাদকের নেশা
লিখেছেন লিখেছেন জেরিন সরকার ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০১:২৬:৩২ রাত
কেউ মদ খেয়ে মাতলামী করে, কেউ গাঞ্জা খেয়ে মাতলামী করে, কেউ হিরোইন খেয়ে আবার কেউ আধুনিক ইয়াবা খেয়ে। বিভিন্ন মাদকের মাতলামীর ষ্টাইল বিভিন্ন রকম। কিন্তু আমরা দেশে আওয়ামীলীগের মাতলামী দেখে বুঝতেই পারছিনা যে এটা কোন মাদকের মাতলামী। কোন মাদক খেয়েছেন আওয়ামীলীগের নীতিনির্ধারকরা?
দেশে একটি নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ব্যতীত কোন দলই অংশ নিবেনা, কারন নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেইং ফিল্ড নেই, এটা গাঞ্জাখোর বা মাতাল ব্যতিত দেশের সব মানুষই জানে। কিন্তু এই বিষয়টিই আওয়ামীলীগের নীতিনির্ধারকরা বুঝতে পারছেন না? নাকি বুঝেও উটপাখির মতো বালুর ভিতর মাথা লুকিয়ে রেখেছে?
এরশাদ নির্বাচনে যেতে চেয়েও ভুল বুঝতে পেরে পরবর্তীতে সরে আসলেন, নির্বাচনে তিনি যাবেন না। কিন্তু এরশাদকে জোর করে নির্বাচনে নিতে কত-ই না প্রাণান্তকর চেষ্টা। অবশেষে এরশাদকে সিএমএইচ এ নিয়ে গিয়ে হাসপাতালের কেবিনে বন্দী করে রাখল সরকার, আর বলল তিনি অসুস্থ। আরে ভাই, অসুস্থ হলে মানুষ স্বেচ্ছায়-ই হাসপাতালে যায়, পুলিশ-RAB দিয়ে ধরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া লাগে না! সদ্য কথা বলতে শেখা বাচ্চাও বোঝে হাসপাতালে কাউকে জোর করে নিতে হয় না। বোঝেনা শুধু মাতালরা। আওয়ামীলীগের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন দুনিয়াতে সবাই নির্বোধ শুধু আমরাই একমাত্র বুদ্ধিমান।
নির্বাচন নিয়ে সরকার যে আচরণ শুরু করেছে, সেটা কোন সুস্থ মানুষের আচরণ নয়, সেটা মাতালের আচরন। প্রত্যেক মাদকের একটি নিজস্ব মাতলামীর আচরণ আছে, কিন্তু আওয়ামীলীগের নীতিনির্ধারকদের আচরন কোন মাদকের সেটা বোঝা যাচ্ছে না। তাই অবশেষে ধারনা করছিঃ গাঞ্জার সাথে ইয়াবা গুড়া করে হেরোইন মিশিয়ে মদের সাথে ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালকরে ককটেল মিশ্রন তৈরী করে পান করছে। যার ফলে সবগুলো মাদকের প্রতিক্রিয়া একসাথে করায় আমরা বুঝতেই পারছিনা যে, আওয়ামীলীগের নীতিনির্ধারকরা কোন মাদকের মাতলামী করছেন।
বিষয়: বিবিধ
১১৪৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন