শ্রদ্ধেয় অভিবাবকরা একটু মাথা খাটান, সতর্ক হউন..

লিখেছেন লিখেছেন জেরিন সরকার ১২ নভেম্বর, ২০১৩, ০৭:৩৬:৪১ সন্ধ্যা

ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায় যুগে যুগে পুরুষের মনোরঞ্জনের জন্য উন্মুক্ত অথবা ঘরোয়া আসরে বাদ্য ও গানের তালে তালে নারীরা বিভিন্নভাবে অঙ্গ-ভঙ্গি করে শরীরের অঙ্গ বিশেষ প্রদর্শন করত। এটাকে নাচ হিসেবে গণ্য করা হতো এবং এই মেয়েদেরকে বাঁঈজি বলা হতো। পুরুষরা শারাব পান করে এবং সেই বাঁঈজি নাচ দেখে তাদের মনের এবং চোখের তৃপ্তি মেটাতো, কখনো কখনো এটা শরীরের তৃপ্তি মেটানোর পর্যায়ে চলে যেতো। এই বাঁঈজি নাচ আজ হতে হাজার হাজার বছর পূর্ব থেকেই চলে আসছে। সাধারনত গরীব, অভাবী পরিবারের সুন্দরী মেয়েদের দ্বারাই এটা করানো হতো এবং মনোরঞ্জনের বিনিময়ে তাদের পারিশ্রমিক দেওয়া হতো। মনোরঞ্জনের ধরণ, নারীর চেহারার সৌন্দর্য ও শরীরের গঠনের উপর ভিত্তি করে পারিশ্রমিকের পরিমান নির্ধরণ করা হতো। এটা কখনোই কেউ স্বেচ্ছায় করতো না, করতে বাধ্য করানো হতো অথবা অভাবের তাড়নায় করতে বাধ্য হতো। সাধারণত ধনী ও চরিত্রহীন পুরুষরাই তাদের মনোরঞ্জনের জন্য নারীদেরকে এভাবে পন্য হিসেবে উপভোগ করত।

বর্তমানে টিভিতে প্রায়শই দেখা যায় মেয়েদের নাচের প্রতিযোগীতা। আমাদের অনেক অভিভাবকরা অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে তাদের মেয়েদেরকে নাচের প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করিয়ে থাকেন। অভিভাবকদের এই বিষয়টি মাথায় রাখা উচিৎ পুরুষরা কেন নাচের অনুষ্ঠান দেখতে আসে, কি দেখতে আসে? আমি পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, আজো পুরুষরা তাদের সেই মনোরঞ্জনের জন্যই নাচের অনুষ্ঠানে আসে, শুধু কৌশলটা একটু বদলেছে। যখন একই সংগে একজন পুরুষ ও একজন নারী নাচে তখন উপস্থিত সব পুরুষের দৃষ্টিই থাকে নারীর দিকে।

তাই বলছি, মেয়েদেরকে নাচের প্রতিযোগীতায় পাঠানোর পূর্বে অভিবাবকদের চিন্তা করা উচিৎ, তারা কি পুরস্কার পাওয়ার আশায় তাদের কন্যা সন্তানদের চরিত্রহীন পুরুষের মনোরঞ্জনের জন্য পাঠাবেন? আসলে ওটা পুরস্কার নয়, পুরস্কারের নামে অর্থের বিনিময়ে মনোরঞ্জন ও আধুনিক বাঁঈজি তৈরী।

-জেরিন সরকার

বিষয়: বিবিধ

৮১৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File