ডাঃ জাকির নায়েক একটা ভন্ড। সে মহিলাদের নবী বলে আখ্যায়িত করেছে !

লিখেছেন লিখেছেন সরল মন ৩০ এপ্রিল, ২০১৫, ১২:১০:১৯ দুপুর

সচেতন মুসলমানরা জানে মিস্টার জাকির নায়েক সে দুই নৌকায় পা রেখে কিভাবে দুই নৌকাই এড়িয়ে চলে। এটা তার মেধার পরিচয় নয়, এটা ভন্ডামী। কারণ সে ঈমান নিয়ে ভন্ডামী করছে।

একটি উত্তর দিন তো, কেউ যদি আপনাকে প্রশ্ন করে আপনার বাবা কয়জন? আপনি হলে বলবেন, 1 জন। কিন্তু মি. জাকির হলে বলবে, আপনি যদি বাবা বলতে গার্জিয়ান বুঝান তাহলে আমার বাবা 5 জন, আর বাবা বলতে উপার্জনকারী বুঝান তাহলে আমার বাবা 3 জন।

আমার কথা বিশ্বাস হল না!

দেখুন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, মহিলাদের থেকে নবী এসেছে কিনা। আর সে কি বলেছে!

সবাই দেখুন, প্রথমে জাকির নায়েক বলেছে, - ‘যদি নবী বলতে আপনি বুঝেন এমন এক ব্যক্তি যিনি আল্লাহর কাছ থেকে বানী গ্রহণ করেন ও যিনি মানব জাতির নেতা হিসাবে কাজ করেন তাহলে আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি ইসলামে আমরা কোন নারী নাবী পাইনি’

সবাই খেয়াল করুন, এরপর সে কি বলেছে। জাকির নায়েক বলেছে, " যদি আপনি নবী বলতে বুঝান আল্লাহর প্রিয় ব্যক্তি তাহলে কিছু মহিলার উদাহরণ হল- বিবিমরিয়াম,আসিয়া,খাদিজা,ফাতেমা(রা)”

এর সপক্ষে ভন্ড ধর্ম ব্যবসায়ী জাকিরের এক অন্ধ ভক্ত বলতে চেয়েছেন, " জাকির এখানে তাদেরকে নবী বলেন নি বরং আল্লাহর প্রিয় ব্যক্তি বলেছে।"

কিন্তু খেয়াল করুন, জাকির নায়েক আল্লাহর প্রিয় ব্যক্তি বলতে কাদের বুঝিয়েছে? নবীদেরকে। আর তারপরই সে সম্মানিত মহিলাদের নাম বলেছে। তার মানে কি দাড়ায়? নবীর অর্থ কি আল্লাহর প্রিয় ব্যক্তি? এই সংজ্ঞা সে নিজেই দিল, তাকে কিন্তু কেউ বলে নি। এরপর সে নিজেই মহিলাদের থেকে উদাহরণ টানল।

এখন আল্লাহর প্রিয় ব্যক্তি তো একজন উম্মতও হতে পারে। অথচ সে ইশারায় মহিলাদের নবী দাবী করল যা তার ভন্ডামীর খোলস খুলে দিয়েছে।

এখন কথা হচ্ছে, নবী বলতে যদি আমি বুঝাই, এমন কথা আসবে কেন? ইসলাম কি বলে সেটা মি.জাকিরের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, সে যদি এটা হয়, সেটা হয় বলে কেন! ইসলাম কি তার মনগড়া?

এমন বেকুবের মত উত্তর দেয়ার কোন মানে আছে!

সে আলাইহাস সালাম না বলায় নাকি নবী দাবী করা হয় না। তাহলে আলাইহাস সালাম বললেই কি নবী দাবী করা হয়? যেমন: হযরত হাওয়া আলাইহাস সালাম, হযরত মরিয়ম আলাইহাস সালাম।

জাকির নায়েক তো ভন্ড আছেই, তার চেলাগুলাও এত মূর্খ কেন!

(সতর্কীকরণ: জাকির পুজারিরা আমার যুক্তি খন্ডনে ব্যার্থ হয়ে গালির কসরত প্রদর্শন করতে পারে!)

বিষয়: বিবিধ

৩৩৯০ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

317603
৩০ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:৪০
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আপনাকে মন্তব্য করতে গিয়ে কেন গালি দিবে। আপনার লেখায় আপনার জবাব রয়েছে। তাই আপনার সম্পর্কে কিছু বলার প্রয়োজন নেই।
৩০ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০২:২৯
258727
আনিসুর রহমান লিখেছেন : Yes Ibn Ahmed I am agree with you
I think he fail to understand the whole picture of Islam
৩০ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০২:৩৬
258728
সরল মন লিখেছেন : সত্য হজম করার শক্তি না থাকলে অনেকেই উক্ত হাতিয়ার প্রয়োগ করেন । জাকির পুজারীরাও আমার পুর্বের লেখাতে তাই করেছেন । ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য ।
০২ মে ২০১৫ সকাল ০৮:৩৪
258817
আনিসুর রহমান লিখেছেন : According to your post Dr zakir explain why woman cannot became a prophet
And what Islam tell about this
He use brainstorm method
Qur'an also teach us brainstorm method, for instant prophet Ibrahim ------- said moon is my god letar on he rejected that such way which good enough proof for Wise people
Please listen again and again
May be its help you to understands Dr zakir method
317610
৩০ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০২:২৭
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ইসলামের জন্য নিজের কাছে জ্ঞান কিছু থাকলে তা প্রচার করুন।
৩০ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০২:৩৯
258729
সরল মন লিখেছেন : যথাসাধ্য চেষ্টা করি ইসলামের সঠিক বাণী প্রচার করতে।ধন্যবাদ
317621
৩০ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০৩:৪৫
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : জ্ঞানগর্ভ লেখা। মনপ্রাণ জুড়ে গেলো।
৩০ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:০৪
258742
সরল মন লিখেছেন : ধন্যবাদ
317630
৩০ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৫:১২
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : মূর্খের সাথে তর্ক না করতে জ্ঞানী ব্যক্তিরা পরামর্শ দিয়েছেন।
৩০ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১১
258770
সরল মন লিখেছেন : চতুর লোকেরা ব্যার্থ হলে
"নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা" টাইপ উক্তি করা করা ছাড়া আর কিছু করার নাই !
317638
৩০ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৭
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ব্লগে কতদিন? ব্লগিং বুঝেন? ভাগ্যিস এই ব্লগে অন্য ব্লগে গেলে সাইজ হয়ে যেতেন কারণ এই ব্লগে অধিকাংশ ব্লগারই নবীন, অনভিজ্ঞ তাই ছাড় পাচ্ছেন। কারো বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ তোলা হয় তখন তা প্রমাণের জন্য তথ্য-উপাত্ত হাজির করতে হয়, সাক্ষী দরকার হয় কারণ মুখের কথার কোন মূল্য নেই। মানুষের মুখ আছে যে কেউ যে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেই পারে। আপনি যখন অভিযোগ করছেন, "জাকির নায়েক বলেছেন, নারীরা নবী হয়েছে" তখন আপনার উচিত ছিল তিনি কবে, কোথায়, কোন জায়গায় ও কোন লেকচারে এসব বলেছেন?" এসব বিষয়ে যথাযত তথ্য-প্রমাণথাজির করা, কিন্তু তা না করে আপনি মুখের জোড়ে চিল্লাচ্ছেন, জাকির নায়েক এইটাই বলছে আমি নিজের কানে শুনছি। এতে কি আপনার জ্ঞানের স্বল্পতা ও মূর্খতা প্রকাশ পায়না??? আপনি যে বিষয় নিয়ে কথা বলছেন আমি সেই লেকাচারের সবগুলো দেখেছি কিন্তু কোথাও তো পেলাম না তিনি এসব বললেন। আপনি কোথায় পেলেন? লোক মুখে কিছু শুনেই তা নিয়ে ব্লগিং শুরু করে দিলেন??? এটা ফেসবুক না এটা ব্লগ এখানে সবাই লাইক কামাতে আসেনা। মাজহাব নিয়ে জাকির নায়েকের কিন্তু মন্তব্য, তাদের অনুষ্ঠান বিষয়ক কিছু ব্যাপার নিয়ে আমার নিজেরও ব্যাপক আপত্তি আছে কিন্তু তাই বলে একজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আরোপ করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত? তার যেটা ভুল সেটা নিয়ে কথা বলেন তাকে ভন্ড প্রমাণ করতে যাওয়াটা সঠিক না।
৩০ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৯:২৬
258788
সরল মন লিখেছেন : "ব্লগে কতদিন? ব্লগিং বুঝেন? ভাগ্যিস এই ব্লগে অন্য ব্লগে গেলে সাইজ হয়ে যেতেন কারণ এই ব্লগে অধিকাংশ ব্লগারই নবীন, অনভিজ্ঞ তাই ছাড় পাচ্ছেন।"

ব্লগে কতদিন ইনফো থেকে জেনে নিন। ব্লগিং না বুঝলে এখানে আসলাম কিভাবে ? সত্য প্রকাশ যারা ঈমানি দায়িত্ব মনে করে তারা স্থান, কাল এবং পাত্রের পরোয়া করেনা। তারা বিশ্বাস করে, "বাতিলরা চায়
আল্লাহর নূর কে ফুৎকার দিয়ে নিভিয়ে দিতে, কিন্তু আল্লাহ পাক উনার নূরকে আরো উজ্জ্বল করবেন। যদিও বাতিলরা তা অপছন্দ করুক না কেন।"
বলা বাহুল্য যে, উক্ত পোস্ট আমি আরো একাধিক ব্লগে দিয়েছি সেখানে জাকির নায়েকের অনেক ভক্তরাও ভূল স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে । জাকীর নায়েক কতৃক ইসলামে মহিলা নবীর বক্তব্য জাকির নায়েকের ভক্তরা অস্বীকার করেনা। বরং তারা জাকিরের এই বক্তব্যকে সঠিক হিসাবে প্রমান প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে। তাই এই পোস্টে রেফারেন্স দেওয়ার প্রয়োজন মনে করিনি। আপনার প্রমাণের দরকার বললেই হত। এতো কথা বলার প্রয়োজন ছিলনা। কারণ অপ্রয়োজনীয় কথা বলার নাম ব্লগিং নয়। আর আপনাদের মত লোকের অনর্থক কথার প্রতি উত্তর দেওয়ার মত সময় এবং রুচি কোনোটাই আমার নাই। এই নিন জাকিরের মহিলা নবী সংক্রান্ত বক্তব্যের রেফারেন্স-
"ইসলামে ৪ জন মহিলা নবী ছিল" ।"
নাউজুবিল্লাহ!
(জাকির নায়েক: লেকচার সমগ্র- ভলিয়ম- ১, ৩৫৫ পৃষ্ঠা)
এবার আপনি প্রমাণ যাচাই করে যা বলার বলুন। শরিয়তের ব্যাপারে মনগড়া কথা বলে তারা ভন্ড বৈ কিছুই নয়। ভন্ডকে ভন্ড প্রমাণ করা যাবেনা এই কথা যারা বলে তারাও ভন্ড।
৩০ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৯:৫৩
258789
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আমি লেকাচারটার ভিডিও ফুটেজ অনেকবার দেখেছি কোথাও এমন বক্তব্য পাইনি। বাংলা অনুবাদ করা বই কে কিভাবে লিখেছে সেটা আমার দরকারও নেই। যতদূর মনে পরে তিনি "ইসলামে নারী নবী কেন আসেননি?" তার ব্যাখ্যা খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছিলেন আর তিনি বলেছিলেন কয়েকজন নারীর কথা যারা মর্যাদায় নবীদের কাছাকাছি। যেমন কোরানে মারিয়াম (আঃ) কে বলা হয়েছে, সে এমন নারী যে পুরুষের চাইতেও উত্তম। তিনি আসিয়া (আঃ), আয়েশা (রাঃ) ও ফাতিমা (রাঃ) এর মর্যাদার বিষয়টা তুলে ধরেছিলেন তিনি আমার বর্ণনামতে নারীকে নবী বানিয়ে দেননি। আর কেন জানি মনে হচ্ছে আপনি যেই বইয়ের রেফারেন্স দিচ্ছেন সেটি নিজেও পড়েননি বরং অন্যের কাছ থেকে ধার করা রেফারেন্সের উপর বিতর্ক সৃষ্টি করছেন। কোন বাদি যদি আদালতে গিয়ে বলে, আমি নিজেই সব দেখেছি তাই সাক্ষীর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করিনি সেটি খুবই হাস্যকর যুক্তি। আপনি একটু বেশি কড়া কথা বলে ফেলেছেন, "ভন্ডকে ভন্ড প্রমাণ করা যাবেনা এই কথা যারা বলে তারাও ভন্ড।"
আমাকে ভন্ড প্রমাণ করার আগে নিজের অবস্হান যাচাই করবেন। মিথ্যা আরোপ মারাত্নক গুনাহ। কথায় সংযত হন।
০২ মে ২০১৫ রাত ০২:৩১
258792
সরল মন লিখেছেন : ঘুম ভাঙাতে চাই@
আপনি বাংলা অনুবাদের বই এড়িয়ে যেতে পারেননা । কারণ এটা সমালোচকদের দ্বারা রচিত নয় বরং এটা জাকির নায়েকে এবং তার আহলে হাদিস গ্রুপের তত্বাবধানেই রচিত হয়। আপনি কি এই মর্মে জাকির নায়েক অথবা আহলে হাদিসের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিবাদলিপি দেখাতে পারবেন জাকিরের লেকচার সমগ্র বইয়ে ভূল বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে?
যদি আমি বইয়ের পৃষ্ঠা স্কেন করে দেখাতে পারি যে, জাকিরের বক্তব্য নিম্নরুপ- "
"যদি নবী বলতে আপনি বুঝেন এমন এক ব্যক্তি যিনি আল্লাহর কাছ থেকে বানী গ্রহণ করেন ও যিনি মানব জাতির নেতা হিসাবে কাজ করেন তাহলে আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি ইসলামে আমরা কোন নারী নাবী পাইনি, আর যদি আপনি নবী বলতে বুঝান আল্লাহর প্রিয় ব্যক্তি তাহলে কিছু মহিলার উদাহরণ হল- বিবিমরিয়াম,আসিয়া,খাদিজা,ফাতেমা(রা)”

তাহলে কি মেনে নিবেন জাকীর আসলেই ভন্ড ?
317642
৩০ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩৫
ইয়াফি লিখেছেন : আপনি নিশ্চয় জেনে শুনে ডাঃ জাকিরকে ভন্ড বলছেন! কারণ একজন মুসলমান অযথা কাউকে অপবাদ দিতে পারেন না। কিন্তু এই ডাঃ জাকিরকে এই বছর ২০১৫ সালে ইসলামের সেবার জন্য সৌদি সরকার মুসলিম বিশ্বের নোবেল হিসেবে খ্যাত ‘বাদশাহ ফয়সাল পুরস্কার’ দিয়েছেন! যে পুরস্কার সাইয়্যেদ মওদুদী (রহঃ) ও সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী (রহঃ) এর মত ইসলামের মহান সেবকরা পেয়েছেন। সৌদি সরকার কি একটুও যাচাই করলেন না তারা ইসলামের কোন সেবার জন্য ২০১৫ সালে ডাঃ জাকিরকে এই পুরস্কার দিলেন?
০২ মে ২০১৫ রাত ০২:১৩
258791
সরল মন লিখেছেন : অপবাদ দেবার কি আছে ? ইসলামের ব্যাপারে যিনি মনগড়া কথা বলেন ভন্ড বৈ সাধু নন। আর হক্ব বাতিলের সার্টিফিকেট বাদশাহ ফয়সাল দেবার কে ? বাদশা ফয়সালের ব্যাকগ্রাউন্ড কতটুকু পরিচ্ছন্ন সেটা বোধ হয় জানেন না। কোনো দেশ বা বাদশার রেফারেন্স দিয়ে হক্ব বাতিল নির্ণয় করা অজ্ঞতার পরিচয় বহন করে ।
318111
০৪ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:১৭
কুশপুতুল লিখেছেন : ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি
কর্মতে রই চুপ
ঝগড়া-ফ্যাশাদ করতে বুঝি
মজা লাগে খুব?

ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি মোটেও করা ঠিক না
ধার্মিক করে ধর্মকর্ম, ঝগড়া ভাল দিক না।

বুঝেছেন এবার?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File