বাংলার মাটি থেকে ইসলাম উঠিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র :
লিখেছেন লিখেছেন সরল মন ০২ মে, ২০১৪, ০২:৫১:১৬ রাত
বাংলার মাটি থেকে ইসলাম উঠিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র :
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক লোকের ইসলাম গ্রহনকে কেন্দ্র করে, হাইকোর্ট থেকে একটি রুল জারি হয়েছে, ইসলাম ধর্মগ্রহণের খবর প্রচার কেন অবৈধ হবে না?"
অর্থাৎ কেউ যদি নতুন ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে তবে এটা প্রকাশ করা বা কাউকে জানানো অবৈধ হবে। নাউযুবিল্লাহ !!!
এটা কি প্রকাশ্যে ইসলামের উপর আঘাত নয়?
এটা কি একজন নওমুসলিমের অধিকার খর্ব করা নয় ?
সর্বোপরি এটা কি ইসলাম অবমাননা করা নয়?
- কারন একজন ব্যাক্তি যদি সে যদি নতুন ইসলাম গ্রহণ করে এবং সেটা যদি সে না জানায় তবে কি করে সে ইসলামী অধিকার লাভ করবে ?
- কি করে ইসলাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানবে ?
- কি করে ইসলামী আমল করতে পারবে ?
- বিয়ে শাদীর বিষয়ে কি করে সুবিধা পাবে ?
-মৃত্যুর পর কবর দেয়ার ব্যাপারে কি করে সুবিধা পাবে ?
- বিভিন্ন ফরজ ওয়াজিব সামাজিক আমলগুলা সে কি করে করবে ?
বরং হাইকোর্টের এই রায় সম্পূর্ণ অবৈধ এবং ইসলাম বিরোধী হয়েছে। বাংলাদেশের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী কোন ব্যক্তি যদি ভিন্ন ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে তবে সর্বপ্রথম নোটারী পাবলিক থেকে তার এই ইসলাম গ্রহন সম্পর্কে ঘোষণা দিতে হয়, নাম এফিডেবিট করতে হয়। এটা তো প্রচলিত আইনের মধ্যেই পরে।
কিন্তু "নতুন ইসলাম গ্রহনের ব্যাপার প্রকাশ করতে না পারবে না" হাইকোর্টের এই বক্তব্য দ্বারা, তাদের উক্ত বক্তব্য প্রচলিত আইনের সাথেই সাংঘর্ষিক হয়েছে। সূতরাং বোঝা গেল হাইকোর্টের উক্ত রুল অবৈধ।
সর্বোপরি উক্ত আইন টা হয়েছে, চরম ইসলাম বিদ্বেষী। এবং মুসলমানদের অধিকারের উপর চরম অবৈধ হস্তক্ষেপ। ইসলাম মানুষকে যে অধিকার দিয়েছে সে অধিকার রোহীত করা হয়েছে এই আইনের মাধ্যমে।
কারন, সংবিধানে বলা আছে রাষ্ট্র ধর্ষ ইসলাম। যদি ইসলামই রাষ্ট্র ধর্ম হয়, তবে একজন ব্যক্তি কেন নতুন মুসলমান হয়ে সেটা প্রচার করতে পারবে না ?
তবে কি হাইকোর্টের এই রায় সংবিধান বিরোধী হলো না ?
মূল কথা হচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে ইসলামকে উঠিয়ে দেয়ার কঠিন ষড়যন্ত্র চলছে। মানুষের ইসলামী অধিকার কেড়ে নেয়ার প্রচেষ্টা চলছে।
কই আজ তো ইসলাম বিদ্বেষীদের প্রতি তো কোন আইন জারি করা হয় না !!
তবে কেন একজন মুসলমানের ধর্মীয় অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ করা হবে ?
কেন তার ইসলাম গ্রহনের বিষয়টা প্রকাশ করতে বাধা দেয়া হবে ?
এটা কি প্রকাশ্য জুলুম না ?
বাংলার মুসলমানরা হাইকোর্টের এই অবৈধ আইন মানতে পারে না। কারন এটা মানলে মুসলিম হিসেবে থাকা যায় না।
আমরা সকল মুসলমান এর তীব্র নিন্দা জানাই। এবং সকলে জোড়ালো দাবি জানাই, অবিলম্বে হাইকোর্টের উক্ত রুল প্রত্যাহার করুক।
কারন জনরোষের শিকার হলে, এইসব কুফরী আইন মুহূর্তের মধ্যে ভেসে যাবে।
এথন সময় জনগনের জেগে ওঠার, নিজেদের অধিকার নিজেরা বুঝে নেয়ার।
বিষয়: বিবিধ
১২৫৯ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন