জু'মার ফজিলত
লিখেছেন লিখেছেন মাহবুব হাসান র ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১২:১৯:৫৯ দুপুর
জুমাবারকে গরিেবর হজ্জের িদন বলা হয় । জু;মার সালােতর রয়েছে অত্যিধক ফজিলত`জুম্মার ফযীলত সম্পর্কিত । এসম্পর্কে রাসুল সা: এর
হাদিস!! জুমার নামাজের ফজিলত
আবু হুরাইরা [রা:] থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ [সা:]
বলেন: জু’মার দিনে যে ব্যক্তি জানাবত
থেকে পবিত্র হওয়ার উদ্দেশ্যে গোসল
করে এবং সর্বপ্রথম মসজিদে নামাজের জন্য গমন করে সে একটি উট
কুরবানী করার সওয়াব পায় । এরপর যে গমন করে সে যেন
একটি গাভী কুরবানী করল । যে তৃতীয়ক্ষণে গমন
করে সে একটি শিং বিশিষ্ট দুম্বা কুরবানী করার সওয়াব পায়। এরপর
যে গমন করে সে যেন
একটি মুরগী দান করল । আর
যে পঞ্চমতম ক্ষণে গমন করে সে যেন একটি ডিম দান
করল । অত:পর ইমাম যখন খুতবা দেয়ার জন্য বের
হন তখন ফেরেশতা মন্ডলী
সওয়াব লেখা বন্ধ করে খুতবা শুনতে প্রস্তুত হয়ে যান ।
[বুখারী-৮৮১ মুসলিম-৮৫০} রাসুল সা: আরো বলেন
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)
থেকেই
বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন,
“যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে ওযু করল,
অতঃপর জুম্মা পড়তে এল
এবং মনোযোগ সহকারে খুতবাহ
শুনল, সে ব্যক্তির এই জুম্মা ও
(আগামী) জুম্মার মধ্যেকার
এবং অতিরিক্ত আরো তিন
দিনের
(ছোট) পাপসমূহ মাফ
করে দেয়া হল। আর
যে ব্যক্তি (খুতবাহ চলাকালীন
সময়ে) কাঁকর স্পর্শ করল,
সে অনর্থক কর্ম করল।” (অর্থাৎ,
সে জুম্মার সওয়াব বরবাদ
করে দিল)। {মুসলিম ৫৮৭, আবূ দাউদ
১০৫০,ইবনু মাজাহ ১০১০} ----------
রাসূল (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,
"জুম’আর সালাতে তিন ধরনের
লোক হাজির হয়-
(১)
এক ধরনের লোক
আছে যারা মসজিদে প্রবেশের
পর তামাশা করে,
তারা বিনিময়ে তামাশা ছাড়
পাবে না। (২)
দ্বিতীয় আরেক ধরনের লোক
আছে যারা জুম’আয় হাজির হয়
সেখানে দু’আ মুনাজাত করে,
ফলে আল্লাহ যাকে চান
তাকে কিছু দেন আর
যাকে ইচ্ছা দেন না। (৩)
তৃতীয় প্রকার লোক হল
যারা জুম’আয় হাজির হয়, চুপচাপ
থাকে, মনোযোগ
দিয়ে খুৎবা শোনে, কারও ঘাড়
ডিঙ্গিয়ে সামনে আগায় না,
কাউকে কষ্ট দেয় না, তার দুই
জুম’আর মধ্যবর্তী ৭ দিন সহ আরও
তিনদিন যোগ করে মোট দশ
দিনের গুনাহ খাতা আল্লাহ
তায়ালা মাফ করে দেন।" [আবু
দাউদঃ ১১১৩]
মুসলিম ভাইরা মসজিদে আসেন ।
আশা করি আপনি তৃতীয় প্রকার
লোক হবেন ।
বিষয়: বিবিধ
১১৮৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ তিনবার ইজতেমা করলে একবার হজের সওয়াব পাওয়া যায় ।
০ শোলাকিয়াতে তিনবার ঈদের নামাজ পড়লে একবার হজের সওয়াব পাওয়া যায়
০ ওমরাহকে ছোট হজ এবং হজকে বড় হজ বলা হয় ।
ইসলামের ৫ স্তম্ভের কোনটির কি কোন বিকল্প আছে ?
জুম্মার নামাজে যে লোক হয় তা পুরো সপ্তাহের বাকী ৩৪ ওয়াক্ত নামাজে মিলে মোট যে লোক হয় তার চেয়ে বেশী ।
এদের প্রায় ৮০% ই আসে লোক দেখানো ভাবে । নামাজের আগে , খুতবার সময় এরা এমন আলাপ করে যে মনে হয় অনেক দিন পর দেখা হয়েছে পুরনো বন্ধুর সাথে। অথচ সারাটা সপ্তাহ তারা একসাথেই উঠবস করে ।
বাংলাদেশের ম্যাক্সিমাম মুসলমানই এরকম । খৃস্টান ও ইহুদীদের মত একটা বিশেষ দিনকে তারা ধর্মীয় রীতি পালন করার জন্য বেছে নেয় ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন