উন্নত চরিত্র গঠনে রাসুল সা. এর আদর্শ মতে চলতে হবে ।
লিখেছেন লিখেছেন মাহবুব হাসান র ২৩ অক্টোবর, ২০১৪, ১২:০৬:৫৪ দুপুর
মুসলিম জাতি আজ কোন পথে চলছে ? কেন আজ তারা পিছিয়ে ?কেন আজ তারা লান্চিত ?
কেন আজ তারা পশ্চিমাদের গোলামি করছে ? কেন তাদের দোয়া আল্লাহর কাছে কবুল
হচ্ছেনা ?কেনইবা ওয়ালা ওয়ালারা ঠাঁইহীনরা আজ তাদের কে মারছে অপমান করছে ?
কেন আজ তারা তারা পিছিয়ে ?কেন তাদের দোয়া কভুল হয়না ? সবগুলো প্রশ্নের
একটাই উত্তর আজ মুসলিম রাসূল সা : কে পরিপূর্ণ ভাবে অনুসরন না করার কারনে ।
আজ রন্ধে রন্ধে বিদয়াত ডুকে পরেছে । আমরা যতটুকু ইবাদত করি তা অমনোযোগের
সাথে করি । পরিপূর্ন ভাবে আল্লাহকে ভয় করে রাসুল সা:কে যেভাবে শিখানো হয়েছে
সে ভাবে ইবাদত করতে হবে তার উত্তম চরিত্রের অনুসরণ করতে হবে । রাসুল সা:
নামায পদ্দতি নিম্নে আলোচনা করা হলো :তাকবীরে তাহরীমা
রসূলুল্লাহ সা. নামাযের জন্যে দাঁড়ায়েই ‘আল্লাহু আকবার‘ উচ্চারণ করতেন।
(এটাকে ‘তাকবীরে তাহরীমা বলা হয়)। তিনি এই তাকবীর উচ্চারণের পূর্বে অন্য
কোনো কিছুই পড়তেন না, বলতেন না, এমনকি নিয়্যতও উচ্চারণ করতেন না। (নিয়্যত
তো হলো মনস্থির করা যা ইচ্ছা [এরাদা] করার নাম)। এ ধরনের কিছুও তিনি বলতেন
না যে, কিবলামুখী হয়ে অমুক ওয়াক্তের এতো রাকাত ফরয নামায ইমাম হিসেবে বা এই
ইমামের পেছনে মোক্তাদি হিসেবে পড়ছি। কিংবা আদায় পড়ছি, বা কাযা পড়ছি। এ
ধরনের কথা তিনি ফরয নামাযেও বলতেন না, (সুন্নত এবং নফল নামাযেও বলতেন না।)
তাকবীরে তাহরীমার পূর্বে এসব কিছু বলা বিদ‘আত। কারণ এগুলোর পক্ষে
রসূলুল্লাহ সা. থেকে কোনো হাদিস নেই। এমনকি সাহাবায়ে কিরামের কোনো বক্তব্যও
নেই। তাবেয়ীগণের কোনো কথাও নেই। এমনকি চার ইমামের কেউই এ সম্পর্কে কিছু
বলেননি। কেউই এমন কিছু বলা পছন্দ করেননি।
তাকবীরে তাহরীমার সময় ‘রফে ইয়াদাইন‘ করা
রসূলুল্লাহ সা. নামায শুরু করার জন্যে ‘আল্লাহু আকবার‘ ছাড়া আর কিছু বলতেন
না এবং আল্লাহু আকবার উচ্চারণের সময় রফে ইয়াদাইন‘ করতেন (দু‘হাত উঠাতেন)।
এজন্যে তিনি হস্তদ্বয়কে কিবলামুখী করে কাঁধ কিংবা কান পর্যন্ত
উঠাতেন।তাকবীরে তাহরীমার পর কি পড়তেন?
তাকবীরে তাহরীমা উচ্চারণের সময় হাত উঠাবার পর হাত নামিয়ে ডান হাত বাম হাতের
পিঠের উপর স্থাপন করতেন। তারপর নামায (সূরা ফাতিহা) শুরু করার পূর্বে
বিভিন্ন রকম দু‘আ করতেন। কখনো এই দু‘আ করতেন:
(আরবী**************)
অর্থ: আমার আল্লাহ! আমার সমস্ত ভুলত্রুটি আমার থেকে দূরে সরিয়ে দাও, যেমন
তুমি দূরত্ব সৃষ্টি করে দিয়েছো পূর্ব আর পশ্চিমের মঝে। আয় আল্লাহ! তুমি
পানি, বরফ আর শীতল জিনিস দ্বারা আমাকে আমার ভুলত্রুটি থেকে ধুয়ে মুছে
পরিস্কার করে দাও। ওগো আল্লাহ! আমাকে আমার গুনাহ খাতা থেকে ঠিক সেরকম ঝকঝকে
ত্বকত্বকে পরিচ্ছন্ন করে দাও যেমন ময়লা ও দাগ থেকে সাদা কাপড় ধবধবে সাদা
হয়ে উঠে।“ তারপর সুরা ফাতিহা পাঠ
সূরা ফাতিহা পাঠ
উপরে বর্ণিত সানা/দু‘আ পড়ার পর রসূলুল্লাহ সা. ‘আউযুবিল্লাহি মিনাশ
শাইতানির রাজিম‘ পড়তেন। অতপর বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম সহ সূরা ফাতিহা
পাঠ করতেন।
সূরা ফাতিহা তিনি কখনো শব্দ করে পড়তেন, আবার কখনো নি:শব্দে পড়তেন। তবে
বেশির ভাগ সময় শব্দ করে পড়তেন। কিন্তু পাঁচ ওয়াক্ত নামাযেই তিনি শব্দ করে
পড়তেন না। আবাসেও নয়, প্রবাসেও নয়। যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাযেই তিনি শব্দ করে
পড়ে থাকতেন, তবে খুলাফায়ে রাশেদীন, অধিকাংশ সাহাবায়ে কিরাম এবং বিশেষ করে
মদীনাবাসীর কাছে তা কী করে অজ্ঞাত থাকতে পারতো? তাই একথা নিশ্চিত যে, তিনি
পাঁচ ওয়াক্ত নামাযেই সূরা ফাতিহা শব্দ করে পড়তেন না।
তিনি যখন সূরা ফাতিহা শব্দ করে পড়তেন, তখন শুরুতে বিসমিল্লাহও শব্দ করে
পড়তেন।
আমীন উচ্চারণ
সূরা ফাতিহা শেষ করে তিনি ‘আমীন‘ বলতেন। সূরা ফাতিহা শব্দ করে পড়লে ‘আমীন‘ও
সশব্দে উচ্চারণ করতেন এবং তাঁর সাথে মুক্তাদিরাও সশব্দে ‘আমীন‘ উচ্চারণ
করতেন।
ক্ষণিক চুপ থাকা
এভাবে কুরআনের কিছু অংশ পরতেন এবং সালামের মাধ্যমে নামায় শেষ করে বিভিন্ন
দোায়া ও এসতেগফার পাঠ করতেন । আসুন আমরা সবাই রাসুল সা: এর নামায পদ্ধতি ও
জীবন পরিচালনা অনুসরণ করি ।
বিষয়: বিবিধ
১১৬৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন