বাংলা সিনেমার ডায়লগ গুলো যদি ঈদের শপিং নিয়ে হতো (রম্য)

লিখেছেন লিখেছেন বিকল কপোট্রন-এক্স রে ২৬ জুলাই, ২০১৪, ১২:৫৮:০০ দুপুর

বাংলা সিনেমায় যদি ঈদের শপিং নিয়ে ডায়লগ গুলো থাকতো তবে সেগুলো কেমন হতো? চলুন দেখে নেই বাংলা সিনেমায় ঈদের শপিং নিয়ে সম্ভাব্য ডায়লগ।

১। নায়ক: চৌধুরী সাহেব টাকা দিয়ে আপনি সব কিনতে পারলেও আমার কাছ থেকে পাখি ড্রেস কিনতে পারবেন না।

চৌধুরী সাহেব: দিয়ে দাও বাবা। মেয়ে খুব জেদ ধরেছে।

২। নায়ক: তোমার এত খরচ করা দেখে বিল গেটসও লজ্জা পাচ্ছে।। নায়িকা: যাহ্!!

৩। নায়ক: মা আমার সব মনে পরে গেছে। আমার স্মৃতি ফিরে এসেছে মা। আমি সখিনার জন্য কেনা পোশাক চিনতে পারছি।

মা: হ্যা বাবা হ্যা। পোশাকের দাম শুনে তুই স্মৃতি হারিয়ে ফেলেছিলি। তোর স্মৃতি ফিরে এসেছে বাবা।

৪। নায়িকা: বাঁচাও। বাঁচাও।। ছেড়ে দে দোকানদার। আমি এ পোশাক কিনবো না।

দোকানদার: নিয়ে যান আপা। একেবারে ফার্স্ট ক্লাস।

৫। নায়ক: মা মা, আমি ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছি।

মা: আজ তোর বাবা বেচে থাকলে এখনই তোকে ঈদের শপিং এ নিয়ে যেত (কান্না)

৬। শয়তান তুই আমার দেহ পাবি তবু পাখি পাবিনা।

৭। এই ছাড়োনা পাখিটা, কেউ দেখে ফেলবে তো।

৮। চৌধুরী সাহেব আমরা গরিব হতে পারি, কিন্তু আমরা মানুষ, আমারাও পাখি ড্রেস কিনতে পারি।

৯। মেমসাহেব আপনারা বড়লোক,

আমরা গরিব। ঈদের পোশাক আপনাদের কাছে খেলনা, ঈদ শেষে ছুড়ে ফেলে দেন।

১০। তোর এত্ত বড় স্পর্ধা, সামান্য

ট্যাক্সি ড্রাইভার হয়ে আমার মেয়ের

সাথে ঈদের শপিং করতে যাস!

১১। এই নির্জন বনে তোকে কেউ

শপিং এ নিয়ে যাবেনা সুন্দরী।

১২। তুমি এইখানে? আর ওইদিকে তোমার মাইয়া বসুন্ধরায় গফুরের লগে শপাং শুপিং করতাছে।

১৩। এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করে লাভ নেই। এমন ভাবে কাজ করবো যাতে শপিংও হবে মেয়েও পটবে।

১৪। মানিক এই তোর হারিয়ে যাওয়া ছোট ভাই রতনের ঈদের পাঞ্জাবী।

১৫। ডাক্তার সাহেব আমি ঈদে কেনা সব পোশাক পরতে পারছি।

আমি আমি সব পরতে পারছি । আপনি টিকটিকির লেজের মত আমার পা গজিয়ে দিয়েছেন।

১৬। আপনাকে কি বলে যে ধন্যবাদ দিবো, সময় মতো আপনি এই পোশাক টি না আনলে আমার ঈদ টাই মাটি হয়ে যেত সাথে প্রেমও।

১৭। তোর সাহসতো কমনা, বামন

হয়ে তুই লাখ টাকার পোশকের দিকে হাত বাড়াস। জানিস তোর ঐ হাত

আমি কেটে ফেলতে পারি?

১৮। কে আছিস। আমার চাবুক নিয়ে আয়।। চাপকে আমি ওর ঈদের পাঞ্জাবী ছিড়ে ফেলবো।

১৯। বলতে পারেন কি দোষ ছিল আমার বাবার? কেন তার নতুন পাঞ্জাবী ছিড়ে ফেলা হয়েছিল? কি দোষ ছিল আমার নিস্পাপ ছোট্ট বোনটির? কেন তাকে একটি পাখির জন্য আত্মহত্যা করতে হয়েছিল? বলতে পারেন আমার মায়ের গায়ে লাখ টাকার শাড়ির বদলে ৫০০ টাকার কাপড় কেন? কেন ঈদে আমরা আগের মত শপিং করতে পারিনা?

২০। ঐ চৌধুরীই আমাদের শপিং এর টাকা আত্মসাৎ করেছে। যাহ প্রতিশোধ নে। এইটা তোর মায়ের আদেশ।

২১। (মেয়েকে বিদায় দেয়ার সময় বাবা)

মনে রাখবি মেয়েরা জীবনে দুইভাবে শপিং করে। একবার মেয়ে

হয়ে বাপের ঘাড়ে চেপে, আর একবার স্ত্রী হয়ে স্বামীর ঘাড়ে চেপে।

২২। (নায়ক কম দামি পোশাক নিয়েবাড়ি ফিরলে)

তুমি আবারো এসব ছাই-পাশ নিয়ে এসেছো? রোজ রোজ রাত

করে এসব এনে বউয়ের

সাথে বিটলামি করতে তোমার

লজ্জা করেনা?

২৩। (বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই ঈদ এলে)

নায়িকা: এই শুনছো, আজ অফিস

থেকে ফেরার সময় আমার জন্য আচারের ফ্লেভারের একটা শাড়ি

নিয়ে আসবে কিন্তু।

২৪। রাজা ভাইয়া, লস্করের লোকজন

প্রিয়া ম্যাডামের ঈদের জামাকাপড় সব নিয়ে গেছে।

(নায়ক) লস্করররর……

২৫। (নায়িকা বউ হয়ে আসার পর প্রথম ঈদে)

মা আজ থেকে আপনার ছুটি, শপিং এর সমস্ত দায়িত্ব এখন থেকে আমার।

২৬। রাজু ভাই জলদি হাসপাতালে একটা পাখি ড্রেস নিয়া চলেন। জ্ঞান ফেরার পর থিক্কা প্রিয়া ম্যাডান খালি পাখি পাখি কইয়া ডাকতাছে।

২৭। ছিহ্। কি করে ভাবলি যে তোর

মতো একটা ইতর, লম্পটের সাথে আমি শপিং এ যাবো?

২৮। (মেয়ের শশুর বাড়িতে মেয়ের

দুরবস্থা দেখে বাড়িতে এসে) শাহানা, তোমার মেয়ে খুব ভালো আছে। খুব সুখে আছে। ওরা তোমার মেয়ের জন্য পুরো মার্কেট তুলে এনেছে। কত্ত আদর যত্ন করলো। আমাকেতো আস্ত একটা শপিং মল দিয়ে দিচ্ছিল।

২৯। ম্যাডাম এই হিল জোড়া

এত সস্তা না যে আপনি দুই টাকা দিয়ে কিনে নিবেন।

৩০। তোমার সন্তানেরা চারদিক থেকে তোমাকে ঘিরে ফেলেছে। একটুও পালাবার চেষ্টা করবে না। চলো শপিং এ চলো।

৩১। (মাতবর সাব নায়িকার গায়ে ময়লা কাপড় দেখে) আহহারে এত্ত সুন্দর মাইয়া এইগুলা কি পরছে!!.ইসশিরে ছিড়াও গেছে দেখতাছি। তোমারে এইগুলা পরতে কইছে ক্যাডা? তুমি খালি আমার সেবা করবা। আমি সুন্দর সুন্দর জামা কিন্যা দিমু।

৩২। ডাক্তার: ধন্যবাদ আমাকে না, ঐ ভদ্রলোককে দিন। উনি সময়মতো পাখি ড্রেস না আনলে রোগিকে বাঁচানো সম্ভব হতোনা।

৩৩। শপিং ব্যাগ নিজের হাতে তুলে নিবেন না। শপিং ব্যাগ টানার জন্য আপনার স্বামী আছেন।

৩৪। শপিং নিয়ে খেলা করিসনা, একদিন এই শপিং করতে গিয়েই মরবি।

৩৫। কংগ্রেচুলেশন। শপিং সাকসেসফুল।

৩৬। চৌধুরী সাহেব, টাকা দিয়ে ঈদের পোশাক বিবেচনা করা যায় না।

৩৭। তোর জন্য আমার ১২ টা শাড়ি

জলে গেছে, ফিরিয়ে দে আমার ১২

টা শাড়ি।

৩৯। তুমি আমার পাখি নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছো।

৪০। না মা না, এমন কথা বলোনা।

আমি ঐ

মাস্তানের সাথে শপিং এ যেতে পারবো না।

আমার পেটে যে রাজ এর সন্তান।

৪১। আজ হয় তুই শপিং করবি নয়তো আমি।

৪২। সানডে-মানডে শপিং ক্লোস কইরা দিমু।

৪৩। তোমাকে আমি ত্যাজ্য পুত্র

ঘোষণা করলাম। আজকের পর থেকে কখনো ঈদের শপিং এর জন্য এ বাড়িতে আসবে না।

বিষয়: বিবিধ

২০৪৩ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

248361
২৬ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০২:২১
হতভাগা লিখেছেন : ২১ নং টা ভাল লেগেছে
248379
২৬ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০৩:২৪
দিশারি লিখেছেন : ভালো লাগলো। তবে ২৬ নম্বরটা চমৎকার হয়েছে।
২৬ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৭
192908
বিকল কপোট্রন-এক্স রে লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ :-)
248423
২৬ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:০৪
বুড়া মিয়া লিখেছেন : ২৪ এর লস্করররর ররর রর র ...
হাসি আর চেপে রাখা গেলো না!
২৬ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৮
192912
বিকল কপোট্রন-এক্স রে লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ। ঈদ মোবারক :-)
248424
২৬ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:০৫
নীল জোছনা লিখেছেন : সুন্দর হয়েছে সবগুলোই Rose Rose Rose Rose Rose
২৬ জুলাই ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৯
192913
বিকল কপোট্রন-এক্স রে লিখেছেন : থ্যাংকু Big Grin ঈদ মোবারক
355164
২৪ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:১২
হাফেজ আহমেদ লিখেছেন : Haah hah ha

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File