রক্ত দিয়ে যে যাত্রা শুরু
লিখেছেন লিখেছেন এম আর রাসেল ১২ জানুয়ারি, ২০১৪, ১০:৪০:১৪ রাত
একদিকে নতুন সরকারের পদযাত্রা আর অন্যদিকে এই নতুনের আগমনকে বরন করতে চলছে রক্তের হলি।এই হলির বলি হতে হচ্ছে কতিপয় ছাত্রদের যাদের একটাই মাত্র দোষ তারা ভিন্ন মতাদর্শের অনুসারী। এই কারনে তাদের এই দেশে নুন্যতম নাগরিক সুবিধা পাওয়ারও অধিকার নেই। দেশের কোন প্রান্তে কিছু ঘটলে তার দায়ভার এই বিশেষ মতাদর্শের অনুসারীদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়।এর কোন যুক্তিসংগত উত্তর কি কেউ দিতে পারে। আজ সিলেটে সংগঠিত এক ঘটনার জন্য কেন প্রাণ দিতে হবে চবির ছাত্রদের? প্রশাসনের ছত্রছায় সোনার ছেলেরা যখন প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে তাণ্ডব লীলা চালায় তখনতো কেউ এদের নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেন না, কেউ তো বলেন না যে এরা জঙ্গি । আর যখন কেউ এইসব অত্যাচারের প্রতিবাদ করতে যায় খালি হাত নিয়ে তখন আপনাদের চোখের পাওয়ার অনেক বেড়ে যায়,সবার খালি হাতগুলোতেও আপনারা আবিষ্কার করেন অস্ত্র , আর কথার ফুলঝুরিতে মাতিয়ে তুলেন মিডিয়া।আর কত / আর কতদিন আপনারা গোলামি করবেন এই মানুষরূপী হায়নাদের।আমি জানি আমার এই কথা কারও কর্ণকুহরে প্রবেশ করবেনা।এতকিছুর পরেও মুক্তির এই কাফেলাকে দমিয়ে রাখা যাবে না কারন তারা আপনাদের মত মানুষের গোলামি করে না তারা গোলামি করে মহান আল্লাহর, তাদের আন্দোলন জাগতিক কোন আন্দোলন নয় যে কারও পেশী শক্তি বা অন্য কোন শক্তির কাছে মাথা নত করবে, তারা রাসূলের আদর্শকে ধারণ করে আল্লাহর রঙে নিজেদের রাঙাতে চায়। কার সাধ্য আছে তাদের রুখবার।কারন আল্লাহ কুরআনে সূরা আল-জুমুআ এর ৮ নং আয়াতে বলেছেন-
يُرِيدُونَ لِيُطْفِئُوا نُورَ اللَّهِ بِأَفْوَاهِهِمْ وَاللَّهُ مُتِمُّ نُورِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُون َ
তারা মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর আলো নিভিয়ে দিতে চায়। আল্লাহ তাঁর আলোকে পূর্ণরূপে বিকশিত করবেন যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে।
রক্তের মধ্য দিয়ে শুরু করা এই সরকারের যাত্রা জানি না কতদিন স্থায়ী হবে তবে একটি কথা নিশ্চিত করে বলতে পারি সবকিছুরেই শেষ বলে একটা কথা থাকে। জন্ম গ্রহনের মাধ্যমে একজন মানুষের জীবন শুরু হয় আর মৃতুতে হয় পরিসমাপ্তি ঠিক তেমনি এই জুলুমের একদিন শেষ হবে এই আশা লালন করি মনে। কেননা "সত্য সমাগত মিথ্যা অপসৃত ,সত্যের বিজয় অবশ্যম্ভাবী " এই কথাটি মিথ্যা হতে পারে না। তাই প্রতি মুহূর্ত স্বপ্ন দেখি একটি নতুন সকালের যে সকালের সূর্যের আলোয় সব অন্ধকার দূর হয়ে আসবে এক সোনালি দিন।
বিষয়: বিবিধ
১৫৪০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দিল্লি যদি ‘জঙ্গি’ ইসলাম প্রতিরোধের নামে ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের বলয়ের মধ্যে বাংলাদেশকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলার বোকামি অব্যাহত রাখে, তাহলে তার পরিণতি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেয়েও আরও রক্তাক্ত হবে। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নাই। এ আগুনে ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়বে। বাংলাদেশের জনগণ তাদের জগৎ ও জীবনকে বিচার করার জন্য যেমন বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে নিজের বলে গণ্য করে আর সেই সূত্রে সনাতন ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও লোকায়ত জ্ঞানের সঙ্গে কোনো বিরোধ দেখে না, ঠিক একইভাবে ইসলামও তার মনোজাগতিক ও ইহলৌকিক জগতের অংশ। এই জগতের বিরুদ্ধে দিল্লি ও শেখ হাসিনা কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। শেখ হাসিনার জামায়াত-বিরোধিতা আসলে ইসলাম-বিরোধিতারই নামান্তর। এই সত্য না বোঝার কোনো কারণ নাই।
-ফরহাদ মজহার
মন্তব্য করতে লগইন করুন