।।চীনে মুসলিম আবাস-৫।। সিল্ক রুটই তৈরি করবে ভূ–অর্থনীতি
লিখেছেন লিখেছেন Democratic Labor Party ২৮ মে, ২০১৬, ১১:০২:২৭ সকাল
মিজানুর রহমান খান, শিনচিয়াং (চীন) থেকে ফিরে | অক্টোবর ০৪, ২০১৫
যে ১৯৪টি দেশের সঙ্গে শিনচিয়াংয়ের বাণিজ্য রয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশের নামও সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে। যদিও ৭৮ কোটি টাকার বাণিজ্য, কিন্তু এটা ইঙ্গিত দেয় যে প্রয়োজনই ব্যবসায় সম্পর্ক তৈরি করে, পথের দূরত্ব কোনো বাধা নয়। যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের সঙ্গে স্থলভাগে চীনকে যুক্ত করেছে এই শিনচিয়াং। বাংলাদেশ যে ভারত বা বর্মি ভূখণ্ড দিয়ে অবশিষ্ট বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছে, তারও অন্যতম মাধ্যম এই শিনচিয়াং। সোয়া দুই কোটি মানুষের তেলের রিজার্ভ চীনের মোট স্থল তেল সম্পদের শতকরা ৩০ ভাগ, গ্যাস ও কয়লা চীনের মোট রিজার্ভের যথাক্রমে ৩৪ ও ৪০ ভাগ।
চীনের মোট আন্তর্জাতিক স্থলসীমান্তের ৪০ শতাংশই শিনচিয়াংয়ে। কারণ, তাকে ঘিরে আছে মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারত। সুতরাং, বহুপক্ষীয় স্বার্থে সিল্ক রুটের পুনরুত্থান শুধু সময়ের ব্যাপার। এটা সত্যি লক্ষণীয় যে প্রদেশটিতে বস্ত্র, খনি, খাদ্য ও অন্যান্য খাতে দু-এক ডজন মাত্র নয়, ৫১৯টি বাণিজ্যপ্রতিষ্ঠান গড়ছে চীনের দুই স্বীকৃত প্রতিদ্বন্দ্বী—যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান। রাশিয়া ও তার সাবেক স্যাটেলাইট দেশগুলোও পুরোদমে প্রদেশটিতে তাদের বাণিজ্যের প্রসার বিস্তার করে চলেছে। আর শিনচিয়াং নিজেকে একটি বহুমুখী পরিবহন দিয়ে বিশ্বশ্রেষ্ঠ বনে যেতে নিজেকে প্রস্তুত করছে।
বিদেশে প্রদেশটির বর্তমান বিনিয়োগ প্রায় ৪৬ লাখ কোটি টাকা, এর মধ্যে পাকিস্তান এবং ভারতের গুজরাটও আছে। শুধু এখনো বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্ত হয়নি। বিদেশে বছরে ৭ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা রপ্তানি করে—এমন ৬৫টি প্রতিষ্ঠান আছে প্রদেশটির। আমরা যখন অবকাঠামো ছাড়াই কানেকটিভিটির চুক্তি করি, তারা তখন আট প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সোয়া লাখ কোটি টাকার সীমান্ত–বাণিজ্য করে। ২৯টি আন্তর্জাতিক মানের স্থলবন্দর থাকাই প্রমাণ করে, তারা কী অবকাঠামো গড়ছে। প্রতিবেশীদের এখন হাইস্পিড রেল, মহাসড়ক ও আকাশপথে চারদিক থেকে ব্যাপকমাত্রায় যুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। চীন-মধ্য এশিয়া-ইউরোপ-মধ্যপ্রাচ্য রেল ও কার্গো ট্রেন এখন আর স্বপ্ন নয়, আর এটা হলে দক্ষিণ এশিয়াও এর সঙ্গে মিশে যাবে। বিরোধের কারণে বাণিজ্য না আটকানোর নীতিতে চলছে চীন। গত বছর তুরস্ক বলেছিল, চীনাদের দ্বারা উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার লঙ্ঘনে তারা বিচলিত। চীন চটেছে। কিন্তু গত বছরেই তুরস্কের সঙ্গে শিনচিয়াংয়ের ১ হাজার ৬ কোটি ২০ লাখ টাকার বাণিজ্য হতে তা বাধা হয়নি।
গত ৪ সেপ্টেম্বর শিনচিয়াং বাণিজ্য বিভাগের মহাপরিচালক হা ইমিং প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগে এবং বাণিজ্য সম্পর্কের প্রসার ঘটাতে শিনচিয়াংয়ের আগ্রহের কমতি নেই। আমরা আপনার মাধ্যমেই এ বিষয়ে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।’
শিনচিয়াং একাডেমি অব সোশ্যাল সায়েন্সের প্রেসিডেন্ট গাও চিয়ানলং সিল্ক রুট প্রতিষ্ঠা এবং ‘শিনচিয়াং অর্থনৈতিক উন্নয়ন স্ট্র্যাটেজি’ শীর্ষক এক নিবন্ধে উল্লেখ করেন যে কানেকটিভিটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে। পৌনে দুই লাখ কিলোমিটার হাইওয়ের মধ্যে ৪ হাজার ৩১৬ কিলোমিটার এক্সপ্রেস হাইওয়ে এবং ১৬টি বিমানবন্দরে ১৫৫টি আকাশ রুট চালু অবস্থায় আছে। গত বছরে প্রদেশটিতে বেসরকারি বিনিয়োগ হয়েছে ৫ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা, যা কিনা তার মোট বিনিয়োগের ৪০ শতাংশ। ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর গড়ে ১০০ কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এখানে বছরে পাঁচ লাখ শহুরে চাকরি সৃষ্টি হয়। চাকুরেদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই নয় বছরের বাধ্যতামূলক শিক্ষা সম্পন্ন করেছে। ২০১০ সালে শিক্ষায় প্রাদেশিক সরকারের বাজেট আড়াই শ বিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়ে যায়, ২০১৪ সালে যা ছিল, তার জিডিপির ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আয়ুষ্কাল ৭২ বছরের বেশি। ১৯৭৮ সালেও মাথাপিছু জিডিপি ছিল চার হাজার টাকা। মাত্র ৩৬ বছরের ব্যবধানে তা পাঁচ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। স্বায়ত্তশাসন কী দিয়েছে? ৬০ বছরে প্রদেশটির জিডিপি ১১৫ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি করেছে। একজন প্রবীণ সাংবাদিক ৩ অক্টোবর আমাকে বললেন, ১৯৫২ সালে কার্জন হলে তাঁরা উইঘুর মুসলিমদের জন্য একটি সভা করেছিলেন। রুহি উইঘুর নামের একজন তাঁদের কাছে পাঠানো এক নিবন্ধে কষ্টের কথা লিখেছিলেন। তখন সত্যিই চরম দারিদ্র্য ছিল। হান ও হুই মুসলিমদের চেয়ে উইঘুর অনগ্রসর হলেও এটা মানতে হবে যে প্রদেশটির সাফল্যে উইঘুররাও গর্বিত অংশীদার ও সুবিধাভোগী। চার বছর আগে প্রথম এই প্রদেশেই সবার জন্য মৌলিক পেনশন ও স্বাস্থ্যবিমা-ব্যবস্থা চালু করা হয়। গ্রামের মানুষের মাসিক প্রকৃত আয় এক লাখ টাকা আর শহরে দ্বিগুণের বেশি। জার্মান নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ড. সিগফ্রিড উলফ আমাকে বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ উইঘুর শান্তিপ্রিয়। তারা বিচ্ছিন্নতা চায় না। কারণ, তারা জানে, যারা সহিংসতায় যুক্ত, তাদের লক্ষ্য স্বাধীনতা বা অধিকতর স্বায়ত্তশাসন নয়, বিশ্ব জিহাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়া।’
শিনচিয়াং দুই হাজার বছর ধরে চীনা শাসনের কথা চীনারা বললেও আসলে ১৯৪৯ সালেই প্রথম প্রদেশটি কার্যকরভাবে চীনা কেন্দ্রীয় সরকারের করতলগত হয়। যদিও ১৮৮৪ সালে চীন শিনচিয়াংকে প্রদেশ ঘোষণা করেছিল। এরপর উইঘুর জাতীয়তাবাদীদের একাংশ সোভিয়েত সমর্থনে ১৯৩৩ সালের ১২ নভেম্বর শিনচিয়াংকে ইস্টার্ন তুর্কিস্তান ইসলামিক রিপাবলিক ঘোষণা করেছিল। এটা অবশ্য ৮৬ দিনে মিলিয়ে যায়। জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক জেমস এ মিলওয়ার্ডের মতে, ‘রাজনৈতিকীকরণ চীনা সূত্রগুলো এখন নিয়মিতভাবে ধর্মীয় কট্টরপন্থা এবং বিদেশি উসকানির সঙ্গে উইঘুর বিচ্ছিন্নতাবাদকে সমানভাবে বিবেচনা করে।’ ওই বিষয়ে চীনা মত হলো, বিংশ শতাব্দীর গোড়ায় শিনচিয়াংয়ের কতিপয় উগ্র বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ধর্মীয় কট্টরপন্থী প্রাচীন ঔপনিবেশিক (ইউরোপীয়) শক্তির সৃষ্ট মিথ্যা বিশ্বাসের আলোকে ‘পূর্ব তুর্কমেনিস্তানের’ রূপকথা রচনা করেছিল। হোজা নিয়াজ ‘প্রেসিডেন্ট’ ও মাসুদ সাবরি ‘প্রধানমন্ত্রী’ হয়েছিলেন। তবে শিনচিয়াংয়ের ইতিহাস অত্যন্ত জটিল ও সর্পিল। সামন্ততান্ত্রিক সমাজ ভেঙে বেরিয়ে এসেছে শিনচিয়াং। ব্রিটিশ ভারতের বাংলার জমিদারদের মতোই কৃষকদের ওপর সামন্ত ও গোত্রপ্রভুরা নিপীড়ন চালিয়েছেন। ১ অক্টোবরে শিনচিয়াং প্রদেশের বর্তমান উইঘুর চেয়ারম্যান সোহরাত জাকির যে শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছেন, তাতেই লেখা, ‘গণচীন প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠাকালে চরম দারিদ্র্য আর মানবাধিকার লঙ্ঘনের মধ্য দিয়ে গেছে শিনচিয়াং। ১৯৪৯ সালে শান্তিপূর্ণভাবে স্বাধীনতা লাভ করে।’
একেবারে গোড়ায় কেন্দ্রীয় কমিউনিস্ট পার্টিতে তাতার মুসলিম বুরহান শাহিদিকে করা হয় প্রদেশের চেয়ারম্যান আর ভাইস চেয়ারম্যান হন উইঘুর সাইফ আল-দিন। তিনি মস্কো গিয়েছিলেন। ১৯৫০ সালে মাও সেতুং ও চৌ এন লাই স্তালিনের সঙ্গে প্রদেশটির তেল আহরণ নিয়ে ‘কৌশলগত’ জয়েন্ট স্টক কোম্পানি করার চুক্তি করেছিলেন; মার্কিনরা বলেছিল, প্রদেশটিকে গিলে ফেলার এ এক সোভিয়েত দুরভিসন্ধি। আসলে শিনচিয়াংকে নিয়ে মস্কো ও বেইজিং যা করেছে, তাতে এক খণ্ড মহাভারত লেখা যায়। ১৯৫৫ সালে শিনচিয়াংয়ে যে উইঘুরদের নামে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছিল, তার নেপথ্যে মাওয়ের সঙ্গে সোভিয়েত নেতাদের সমঝোতা। আমাদের দেশে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের বছরে (১৯৫৪) ওই চুক্তি বাতিল হয়। আর ১৯৫৫ সালের ১ অক্টোবরে সোভিয়েতপন্থী ও রুশ ভাষায় পারদর্শী উইঘুর সাইফ আল-দিনকেই পদোন্নতি দিয়ে পুনর্গঠিত প্রদেশটির প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে দেখা গেল।
উইঘুরদের চেয়ে হুই মুসলিমরা কিন্তু অনেক এগিয়ে। তাদের সঙ্গে হান মিত্রতা একেবারে গোড়া থেকেই। কিছু পশ্চিমা মিডিয়া সব সময় হান ও উইঘুরদের সম্প্রীতির চেয়ে দূরত্বকে বড় করে দেখায়। অথচ ১৯১১ সালে কেন্দ্রনিযুক্ত শাসক ইয়ানানের হান সম্প্রদায়ের ইয়াং জেনশিন ছিলেন মুসলমানদের বন্ধু। চীনের একজন বিখ্যাত নকশবন্দি সুফি ইব্রাহিম (মা মিংশিন), তাঁর ওস্তাদ পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনায় ১৬ বছর অধ্যয়ন করেছিলেন। সুফি ইব্রাহিমের আনুকূল্য নিয়ে জেনশিন ১৯১১ থেকে ১৯২৮ সালে উরুমচিতে তাঁকে হত্যার আগ পর্যন্ত শিনচিয়াং শান্তিপূর্ণভাবে শাসন করেন। তখন তিনি একটি মসজিদকেন্দ্রিক হুইদের নিয়েই গড়েছিলেন তাঁর সামরিক বাহিনী। তখন উইঘুর ও হান উভয়ে হুইদের বাঁকা চোখে দেখেছে। ইয়াং হত্যাকাণ্ডের পরে নতুন প্রশাসক হন শেং। বিদ্রোহ, আগ্রাসন ও রক্তপাতের মধ্যে ১৯৩৪ ও ১৯৩৭ সালে প্রদেশটিতে প্রত্যক্ষ সোভিয়েত সামরিক হস্তক্ষেপ ঘটেছিল। তাই বলি, অতীতে মুসলিমরা কেবলই বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রবণতা দেখিয়েছে তা সত্য নয়। অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এন্ড্রু ফোর্বসের মতে, চীনা প্রাদেশিক চেয়ারম্যান শেংয়ের আমলে শিনচিয়াং সোভিয়েত পুতুলরাষ্ট্রে ও সেখানে ‘সন্ত্রাসের রাজত্ব’ কায়েম হয়েছিল। উরুমচির রুশ কনস্যুলেটের অঙ্গুলিহেলন ছাড়া শিনচিয়াং সরকার চলত না। স্তালিনের বশ্যতা মেনে শেং সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হয়েছিলেন। এসব পুরোনো কাসুন্দি আর না ঘেঁটে শেষ করি।
অভিন্ন ধর্মের একটা মেলবন্ধন কোথাও যেন ফল্গুধারার মতো বইতে থাকে। ১ সেপ্টেম্বরে রাজধানী উরুমচির একটি হোটেলে প্রেস ওয়ার্কশপের উদ্বোধন করেছিলেন শিনচিয়াং উইঘুর অটোনোমাস রিজিওনাল কমিটির প্রচার বিভাগের প্রধান লি শুয়েজুন। আমার টেবিলে রাখা অনেকগুলো বইয়ের একটি প্রচ্ছদে নৃত্যরত উইঘুর তরুণীদের আলোকচিত্র ছিল। সেদিকে ইঙ্গিত করে তিনি বাংলাদেশ আর শিনচিয়াংয়ের অভিন্ন মুসলিম ঐতিহ্য স্মরণ করিয়ে দিলেন। বেইজিংয়ে আনুষ্ঠানিক বিদায়ী নৈশভোজে এসেছিলেন সিপিসির আরেকজন নেতা, যিনি শিনচিয়াংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত। আমি বক্তৃতায় বললাম, আমরা একদা কাশগরের দরজার কাছের প্রতিবেশী ছিলাম। কাশগরের লাগোয়া ভারতীয় কাশ্মীর সীমান্ত। ১৯৬৩ সালে পাকিস্তান চীনের সঙ্গে তার গিলগিট এলাকায় একটি মাইলফলক সীমান্তচুক্তি সই করেছিল। জওহরলাল নেহরু অমূলক সন্দেহের বশে তার বিরোধিতা করেছিলেন। আমরা পূর্ববঙ্গবাসী সেই চুক্তিকে সানন্দে সমর্থন করেছিলাম। তিনি খুবই প্রীত হলেন। উল্লেখ্য, ইত্তেফাক পত্রিকায় মোসাফির (তাফাজ্জাল হোসেন মানিক মিয়া) কাশগর চুক্তি নিয়ে কলাম লিখেছিলেন।
ভবিষ্যতে আমরা স্থলে যেমন, তেমনি সমুদ্র সিল্ক রুটেও শিনচিয়াংয়ের সঙ্গে যুক্ত হতে পারি। প্রস্তাবিত আন্তমহাদেশীয় তেলের পাইপলাইনে যুক্ত হওয়ারও হাতছানি আছে। এই হাতছানিকে কাজে লাগিয়ে আমরা আমাদের জাতীয় স্বার্থের পক্ষে সুসম্পর্কটি কাজে লাগাতে প্রস্তুতি কতটুকু বা আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছি—সে প্রশ্নটি বারবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে আমার এই সফর। (শেষ)
----
মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক৷
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১৩২০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন