'নেতানিয়াহুর নির্বাচনী প্রচারে ৮ কোটি ডলার দিয়েছেন সউদী বাদশাহ'

লিখেছেন লিখেছেন Democratic Labor Party ১০ মে, ২০১৬, ১২:৪৪:৩৫ দুপুর

রেডিও তেহরান,মে ০৯, ২০১৬, ২০:০৩, এশিয়া/ঢাকা:ইসরাইলি সংসদ নেসেটের এক সদস্য জানিয়েছেন, সউদী বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে অর্থ দিয়ে ২০১৫ সালের নির্বাচনী প্রচার-অভিযানে সাহায্য করেছেন।



ইসরাইলি লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ইসহাক হারজগ ‘পানামা পেপার্স’ নামে ফাঁস হওয়া গোপন দলিল-প্রমাণের উদ্ধৃতি দিয়ে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গত বছরের মার্চ মাসে নেতানিয়াহুর নির্বাচনী প্রচারণায় সহায়তা দেয়ার জন্য বাদশাহ সালমান ৮ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন সিরিয়-স্পেনীয় নাগরিক আইয়াদ কায়ালির মাধ্যমে।

পানামা পেপার্সে রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের গোপন সম্পদ সংক্রান্ত নানা দলিল-প্রমাণের রেকর্ড ফাঁস করা হয়েছে।

ইসহাক হারজগ জানান, ব্রিটেনের ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জের একটি কোম্পানির অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয় সালমানের ওই অর্থ। টেড্ডি সাগি নামের এক ইসরাইলি ধনকুবের ও ব্যবসায়ী এই কোম্পানির মালিক। তিনি এই অর্থ নেতানিয়াহুর নির্বাচনী প্রচারণার জন্য গঠিত তহবিলে পাঠিয়ে দেন।

সাম্প্রতিক সময়ে নেতানিয়াহু বেশ কয়েকবার বলেছেন, ইসরাইল ও আরব সরকারগুলোর মধ্যে সম্পর্ক ক্রমেই ঘনিষ্ঠ হচ্ছে।

তিনি এ প্রসঙ্গে গত মার্চ মাসে বলেছিলেন, আরব সরকারগুলোর সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক নাটকীয়ভাবে উষ্ণ হচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোশে ইয়ালন তেলআবিব ও আরব সরকারগুলোর মধ্যে যোগাযোগের নানা চ্যানেল খোলার কথা বলেছিলেন। তবে রাজনৈতিক বাস্তবতায় স্পর্শকাতরতার কারণে আরব কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রকাশ্যে করমর্দন করতে পারছেন না বলে ইয়ালন জানান।

তবে তিনি পরে সাবেক সউদী গোয়েন্দা প্রধান তুর্কি বিন ফয়সালের সঙ্গে প্রকাশ্যেই করমর্দন করেছেন।

গত মাসে ইসরাইলের দৈনিক জেরুজালেম পোস্ট লিখেছে, ইসরাইল একঘরে হওয়ার পরিবর্তে ক্রমেই সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটে যুক্ত হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আবুধাবিতে বিশেষ মিশন খুলেছে ইসরাইল এবং পারস্য উপসাগরীয় আরব সরকারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছে বলে দৈনিকটি উল্লেখ করেছে।

সাবেক সউদী জেনারেল আনোয়ার এশকি সম্প্রতি বলেছেন, ইসরাইল সউদী সরকারের শান্তি প্রস্তাব মেনে নিলে রিয়াদ শিগগিরই ইসরাইলে দূতাবাস খুলবে।

সউদী সরকার ইসরাইলের সঙ্গে গোপনে সামরিক যোগাযোগ ও সহযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছে। গত এপ্রিল মাসে লেবাননের জনপ্রিয় ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব শেইখ নায়িম কাসিম বলেছেন, গোপন সম্পর্কের আওতায় ইসরাইল সউদী সেনাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

কয়েক ডজন সউদী সেনা কর্মকর্তা এরইমধ্যে ইসরাইলিদের কাছে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন বলে তিনি জানান।

সউদীরা এখন প্রকাশ্যেই ইসরাইলি নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এবং গোপন যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।#

বিষয়: আন্তর্জাতিক

৯৭৪ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

368621
১০ মে ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:০২
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : বাদশা সালমান ইসলামী জোট গঠনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের মুসলিমদের একতাবদ্ধ করে কাফের, মুশরিক, নাস্তিক ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ছে দেখে সারা বিশ্বের অমুসলিম দের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তাই বাদশা সালমানকে মুসলিম বিশ্বে বিতর্কিত করার জন্যেই ইরানী মিডিয়া প্রেস টিবি এই মিথ্যা নিউজটি প্রচার করে। তারা ইতোপূর্বে এই রকম হাজারো মিথ্যা খবর প্রচার করে সৌদি সরকারকে হেয় করার অপচেষ্টা করেছে। আমি তখন অবাক হই যখন দেখি নাস্তিক্যবাদী হলুদ মিডিয়ার সাথে ডানপন্থী মিডিয়াকেও এই সমস্ত অপপ্রচারে সামিল হয়!!!
368703
১১ মে ২০১৬ সকাল ১১:৫৭
Democratic Labor Party লিখেছেন : ডানপন্থী হওয়া মানে নাস্তিক হওয়া আর ইসরাইল-আমেরিকার দালাল হওয়া।
এদেশে ইসলামবিরোধীরা সবাই "ডানপন্থী"।
সউদী যৌন-বিকারগ্র্স্ত মুনাফিকগুলিও ডানপন্থী ।

ডানপন্থী কাকে বলে বুঝতে হলে পড়ুন:
Right-wing politics hold that some forms of social stratification or social inequality are inevitable, natural, normal, or desirable,[1][2][3] typically defending this position on the basis of natural law, economics or tradition.[4][5][6][7][8][9] Hierarchy and inequality may be viewed as natural results of traditional social differences[10] or competition in market economies.[11][12]
[https://en.wikipedia.org/wiki/Right-wing_politics]

ডান রাজনীতি সামাজিক অসমতা,অবিচারকে 'স্বাভাবিক" বলে দেখায়।
কুরআন কি আমাদের এটা শিখায়?

মুসলমান সির্ফ্ মুসলিম হয়। বাম বা ডানপন্থী হয়না।
ইসলামের ইতিহাসে মুসলিম,কাফির,মুনাফেক,ফাসেক ছিল ।এখনো আছে।বাম বা ডানপন্থী নামে বোগাস আইডিয়াগুলি ছিলনা।
সউদী গোষ্ঠীতে কয়েকটা বাদে সব মুনাফেক।
হাসিনা ইয়েমেনে সউদী গণহত্যাকে সাপোর্ট্ করেছে।
369211
১৬ মে ২০১৬ সকাল ০৯:১১
হতভাগা লিখেছেন : নবীজীর দেশ বলে সৌদি আরবকে অন্যসব মুসলমান দেশ ও মুসলমানেরা সমীহের চোখে দেখে ।

কিন্তু ইহুদী রাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রতি তাদের পরোক্ষ সমর্থন এবং ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনের মুসলমানরা যে তাদের নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে নির্যাতিত হয়ে চলেছে অর্ধশত বছর যাবত সে ব্যাপারে সৌদিদের নিরবতা খুব পীড়া দেয় ।

মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব ধরে রাখতে অন্যান্য মুসলমান রাষ্ট্রের চেয়ে ইসরায়েলকেই বেশী ফেভার করে সৌদিরা । কারণ ইসরায়েলের সাথে আছে আমেরিকা । আমেরিকার বিশ্বের একমাত্র সুপার পাও্যার।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File