পিয়াস করীমদের উপর আঘাত, খালেদা গৃহবন্দী, বিএনপি নেতারা কারাগারে, জামায়াত আন্ডারগ্রাইন্ডে! সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ কি?
লিখেছেন লিখেছেন নয়ন কুষ্টিয়া ১১ নভেম্বর, ২০১৩, ১১:২০:২৬ সকাল
যখন লেখাটি লিখতে বসলাম তার কিছুক্ষন আগে টিভির স্ক্রলে ভেসে উঠতে দেখলাম, হরতাল প্রত্যাহার করলে বিএনপি নেতাদের মুক্তি দেয়া হবে- বণমন্ত্রী হাসান মাহমুদ। বণমন্ত্রীর কথা শুনে মনে হলো হরতালের ডাকটাই মনে হয় নেকড়ের গলায় কাটার মত বিধে গেছে। এই ঘোষনার আগে বিএনপির ৫ নেতাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে ৫ নেতাকে গ্রেফতারের পূর্বে সরকারী দলের লোকদের সাথে হাসিমুখে চা পানি খেয়েছেন বিএনপির নেতারা, তার ফুটেজ অনলাইনে ছড়িয়েছে। অনেকে অনেক রকম ভাবছেন। কেউ বলছেন সরকার আর গ্রেফতারকৃত নেতাদের মধ্যে কোন সমঝোতা বা আতাত নতুবা জনগনকে উষ্কে দেয়ার পরিকল্পনা। পরিস্থিতি যাতে আরো খারাপ হয়, নতুবা বাকশাল শীর্ষক পড়াশুনার প্রাকটিক্যাল ক্লাস চলছে। অবস্থাকে আরো খারাপ রুপ দেয়ার জন্য প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ইনু ও মওদুদ সাহেবের সাথে হাসিমুখ কথা বার্তার পরের দিন ইনুর মুখে শোনা যায় খালেদাকে গ্রেফতার করার কথা চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় তার বাড়ি অবরোধ। পানি খাবার স্পালাইয়ও বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ। ১০ তারিখ রাতেই ঘোষনা দেয়া হয় খালেদার সাথে যেই দেখা করবে তাকেই গ্রেফতার করা হবে। এই যখন পরিস্থিতি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক সেই রাতেই দেখা করার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি চেয়ারপারসন এর সাথে। কিন্তু কোন গ্রেফতার হবার খবর আর টিভির স্ক্রলে ভেসে উঠে নি।
বিরোধী দল বলতে ১৮ দল, তার মধ্যে জামায়াত ও বিএনপি এখন ফেক্টর। জামায়াতের প্রায় সকল নেতা এই সরকারের শুরুর মেয়াদ থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড। বিএনপির নেতারা নিষ্ক্রিয়। যখন সময় এসেছে সক্রিয় হবার তখনই গ্রেফতার আতঙ্ক। মানসিকভাবে ভীতি ভয় তৈরি করার চেষ্টা।
২৫ অক্টোবরের পর থেকে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার বৈধ ও অবৈধ অনেক ডিবেট হয়েছে। কোন সমাধান হয় নি। হরতাল গেলো বেশ কয়েকটা। মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেলেও তারা উচ্চ বাচ্য করছেন না। সরকারী দল আর বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দিকে সাংবাদিকদের নজর। কে যেন এই সময়টাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। বলা বলি হচ্ছে আমেরিকা ও ভারত প্রতিদ্বন্দীতা করছেন, যেন চর দখল। বিষয়টি এমন একটি জারোজ সন্তান প্রসব হয়েছে যার নাম বাংলাদেশ, তবে তার নামে অনেক সম্পত্তি লেখা। তাই কে দত্তক নিবেন তার জন্য তারা মনস্তাত্বিক লড়াইয়ে নেমেছেন।
টিভিতে খোমা দেখিয়ে মুক্ত বাক স্বাধীনতার চর্চা যারা করে যেমন বুদ্ধিজীবি চিন্তাশীল সচেতন নাগরিক এবং যারা কলাম লিখে সরকারের সমালোচনা করছেন তাদের উপর আঘাত আসছে। বিশিষ্ট টক শো স্পেশালিস্ট পিয়াস করীমের মত একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে হত্যার জন্য তার বাড়িতে গুলি ও ককটেল ছোড়া এবং তাতে তার বাড়ির সদস্য গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর সত্যি দু:খজনক। শুধু তাই নয় বরং লজ্জাজনকও।
এহেন পরিস্থিতির সমাধান সংবিধান পরিবতর্ন এবং একটি লেভেল প্লেয়িং নির্বাচনী ফিল্ড তৈরি করা। ছাড়টা কে দেবে এটাই হলো প্রশ্ন? একজন চায় ২০২১ পর্যন্ত ক্ষমতা আরেকজন চায় ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা
বিষয়: বিবিধ
১২৪৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন