ক্রসফায়ার???????
লিখেছেন লিখেছেন কাউসার আরিফ ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৯:৫১:২৮ রাত
জুবায়ের,মাত্র ইন্টার ফাস্ট ইয়ার শেষ করে ইন্টার সেকেন্ড উঠেছে।পড়াশোনা করে সরকারী কলেজে।স্রোতের বিপরীতে চলে সে নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে।বাবা-মা জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত। সেই সুবাদে সেও শিবিরের সাথে জড়িয়ে নিয়েছে নিজেকে।৯ম শ্রেনীতে থাকাবস্থায় সাথী শপথ নিয়েছে।
এদিকে সে ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে তার উপরে আবার কলেজ সভাপতি সে।ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দাপট খুব।জুবায়ের কে ছাত্রলীগের ছেলেরা বার বার শিবির ছেড়ে আসতে বলে কিন্তু জুবায়ের তাদের ছাত্রলীগের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে।ছাত্রলীগের প্রস্তাব প্রত্যাখান করার কারনে জুবায়ের উপর ছাত্রলীগের ছেলেরা ক্ষেপে উঠে।
সেদিন কলেজ অফ ছিল।ছুটির দিনে জুবায়ের দ্বীনি কাজে বেশী সময় দেয়।রাত তখন ৯ টা। জুবায়ের মাত্রই সাংগঠনিক কাজ শেষ করে বাসায় ফিরেছে।এমন সময় দরজায় বুটের লাথি,এই শালা দরজা খোল।
জুবায়ের শান্ত ভাবে দরজা খুলে দিয়ে সালাম দিল।কিন্তু অপর প্রান্ত থেকে বিশ্রি ভাষা, শিবির করিস।কোন কিছু বোঝার আগেই ১০-১২ জন সাদা পোষাকের লোক জুবায়ের কে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়।জুবায়েরের বাবা আগে থেকেই বাসায় থাকতে পারেনা,জুবায়ের মা নীরব চোঁখে সব দেখছিল আর হায়েনাদের পা ধরে তার ছেলে কে ছেড়ে দিতে বলছে কিন্তু হায়েনারা জুবায়েরের মায়ের মাথায় লাথি মেরে জুবায়ের কে নিয়ে যায়।
এদিকে ৪-৫ দিন চলে গেলেও কোন বাহিনী জুবায়ের কে গ্রেফতারের বিষয় স্বীকার করেনা।জুবায়ের মা প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে ঘোরে কিন্তু ছেলের খোঁজ পায়না।
অবশেষে একদিন খোঁজ পাওয়া যায় ঝোঁপের ধারে একটা লাশ পরে আছে।জুবায়েরের বাসা থেকে বেশ কিছুটা দুরেই তার লাশ ফেলে রেখেছে পুলিশ।
জুবায়ের কে হত্যা করার আগে তার হাতে প্লাস দিয়ে নখ তুলে ফেলা হয়েছে,হামাড় দিয়ে পা ভেঙ্গে দিয়েছে,চোঁখ দুটো উপরে ফেলেছে।
এভাবেই এক এক করে শত শত জুবায়ের কে হারিয়ে ফেলেছি আমরা,আরো হারাবো।হে আল্লাহ তুমিই ভরশা।
বিষয়: বিবিধ
১১৩৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন