স্মৃতিরা আজোও কাঁদিয়ে যায়,ভুলতে পারিনাই আজোও ২৮শে অক্টোবর ২০০৬ এর সেই দিনটির কথা!

লিখেছেন লিখেছেন কাউসার আরিফ ১৮ অক্টোবর, ২০১৪, ১০:২২:১১ রাত



এখন যে লিখাটি লিখছি তা নিকট অতীতের এক নৃশংস ইতিহাস কে নিয়ে। যে ইতিহাস এখনো বাংলার ঘরে ঘরে নীরব কান্না ও ঘৃণার উপলক্ষ্য হয়ে বার বার ফিরে আসে। ২৮ অক্টোবর ২০০৬ , আন্দোলনের নামে আওয়ামী যুবলীগ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সেদিন যে নৃশংসতার জন্ম দিয়েছিল তা গোটা সভ্যতা কে লজ্জিত করে দিয়েছিল



সেদিন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে লগি বৈঠা নিয়ে হত্যার উৎসবে মেতে উঠেছিল আওয়ামী বাকশালী সন্ত্রাসীরা। ঢাকার রাজপথে লগি বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ মেরে অতঃপর মৃত লাশের উপর উঠে পিচাশ নিত্য করে ঘৃণার ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সুচনা করেছিল সেদিনের আওয়ামী সন্ত্রাসীরা, যারা আজকে মানুষকে তথাকথিত শান্তির ললিতবাণী শুনায়।

মিডিয়া এবং বিবেক এই শব্দদুটো এখন হাস্যষ্পদ। কিছু শুশীল ভেক ধারী মানুষের কাছে বিবেক হল বিষ্টার মাঝে মুখ ডুবিয়ে বলা আহা কি সুস্বাদু ! তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ দলীয় ক্যাডার দ্বারা পরিচালিত কিছু হলুদ মিডিয়া এবং তার পোষ্য তথাকতিত কিছু সাংবাদিক। এড়া প্রায়শই নানা টকশোতে বলে এখন বিরোধী দল দাবি আদায়ের জন্য অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে সহিংস্র। এই কথাটা যখন শুনি তখন ইচ্ছে করে ওদের মুখে উগরে দিই একদলা থুথু। আজকে পুলিশ গনতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রকাশ্যে গুলি চালায়। এই সুশীলেরা একবারো বলেনা এটাও বাংলার ইতিহাসে প্রথম। আজকের হাসিনার পুলিশ যত মানুষ মেরেছে স্বৈরাচারী এরশাদের পুলিশও এত মানুষ মারেনি।

এদেশে রাজনৈতিক কর্মসুচীতে লগি বৈঠা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মানুষ মারার সংস্কৃতি চালু করেছে আওয়ামিলীগ। এদেশে মিছিল মিটিংয়ে পুলিশের গুলি করে মানুষ হত্যাে সংস্কৃতি চালু করেছে আওয়ামিলীগ। এদেশের রাজনীতিতেযত নেতিবাচক সংস্কৃতি তার সবগুলোই আওয়ামিলীগের অবদান।

যারা বলেন আজকের বিরোধীদল দাবি আদায়ের জন্য অনেক সহিংস্র তাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করব সভা সমাবেশ আর হরতাল করা কি ২৮ অক্টোবর ২০০৬ সালের নরহত্যার চাইতেও বেশী সহিংস্র।

সেদিন ( উপরের ছবিতে প্রমাণ) লগি বৈঠা নিয়ে রাজপথে আওয়ামিলীগ যে ত্রাসের ভুবন সৃষ্টি করেছিল আজকের বিএনপির আন্দোলনব কি তার চাইতেও বেশী সহিংস্র??

সেদিন এত মানুষ হত্যা করা হয়েছিল তবুও পুলিশ গুলি চালায়নি। তবে আজকে কেন সামান্য মিছিল বের হলে নেমে আসে বুলেটের আঘাত??

ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনা। খুনিদের যেমন একদিন বিচার হবে তেমনি বিচার হবে তথাকথিত সুশীলদের যারা আওয়ামী নৃশংতা কে কালে কালে ইনডেমেনিটি দিয়ে এসেছে বাক চাতুর্যে আর প্রপাগান্ডায়।

ছবিসহ আজকের লিখাটি ইতিহাসের জলন্ত সত্য। এই সত্য নতুন প্রজন্মের জানা দরকার। জানি আমার এই লিখা নির্বাচিত পাতায় যাবেনা। কেননা সব স্থান সত্য প্রকাশের জন্য উন্মুক্ত থাকেনা। তবুও লিখলাম। কিছু না হোক ইতিহাসের প্রমাণতো থেকে যাবে।

প্রতিদিন লেখা চলবে,ইনশাল্লাহ

বিষয়: বিবিধ

১১৫৩ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

275783
১৮ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:৪৮
চেয়ারম্যান লিখেছেন : ইনশাল্লাহ এই রক্তের প্রতিশোধ নেওয়া হবে
275793
১৮ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:০৮
দিশারি লিখেছেন : এই ছবিগুলো আমাদেরকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, মানুষ চতুষ্পদ জন্তুর চেয়েও নিকৃষ্ট হতে পারে।
275796
১৮ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:১০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভুলার কোন উপায় নাই। এই দিন এর বিচার একদিন হবেই ইনশাআল্লাহ।
275800
১৮ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:১৪
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..


"খুন ঝরলেই উর্বর হয় জমিন...."

উর্বরতা তো দেখাই যায়-

ভাশুরের মুখেও এখন শিবির-জামায়াতের প্রশংসা

সত্যের বিজয় অনিবার্য,
মিথ্যার বিণাশ অবশ্যম্ভাবী,

সত্যের সাথে থাকা অবশ্যকর্তব্য

স্মরণ করিয়ে দিলেন, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকুমুল্লাহ . .
275826
১৯ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১২:০১
কাউসার আরিফ লিখেছেন : স্বাগতম
276133
১৯ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:২৬
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : ভালো লাগলো , অনেক ধন্যবাদ।
278309
২৬ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:৫৭
কাউসার আরিফ লিখেছেন : ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File