ইয়াযীদের ক্ষমা প্রাপ্তির হাদীস সংক্রান্তে বিভ্রান্তির সৃষ্টিকারী কারা?

লিখেছেন লিখেছেন আনোয়ার আলী ১০ অক্টোবর, ২০১৫, ০৩:১১:৫৮ দুপুর

‘‘হাদীসে প্রমাণ রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন, রোম সাম্রাজ্যে প্রথম যে সেনাদলটি যুদ্ধ করবে, তাদের জন্য আল্লাহর তরফ থেকে ক্ষমা রয়েছে। আর এ সেনাদলটিকে রাসুল (সা) উম্মে হারাম (রা)এর ঘরে স্বপ্নে দেখেছিলেন। উম্মে হারাম (রা) বলেছিলেন, হে আল্লাহর রাসুল, আপনি আল্লাহর কাছে দোয়া করুন, তিনি যেন আমাকে তাদের দলভূক্ত করেন। রাসুল (সা) বললেন, তুমি হবে প্রথম দলের যোদ্ধাদের অন্তর্ভূক্ত। উসমান ইবনে আফফানের (রা) এর আমলে ২৭ হিজরীতে সাইপ্রাস বিজয় হয়। আমীর মুয়াবিয়া (রা)-এর পরিচালিত সৈন্যদল যখন সাইপ্রাস যুদ্ধে রত ছিল তখন তাদের সাথে উম্মে হারাম (রা) যুদ্ধে যোগদান করেছিলেন। তারপর তিনি সাইপ্রাসে ইনতিকাল করেন। এরপর দ্বিতীয় সেনাবাহিনীর আমীর ছিলেন তার পুত্র ইয়াযীদ ইবনে মুয়াবিয়া। উম্মে হারাম (রা) ইয়াযীদের সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারেননি। এটা ছিল নবুওয়াতের অন্যতম প্রধান দলীল।’’

(আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৮ম খন্ড, পৃষ্ঠা-৪১৯, প্রথম প্রকাশ-২০০৭, ইসলামী ফাউন্ডেশন)


পাঠক খেয়াল করুন, রোম সাম্রাজ্যে প্রথম যে সেনাদলটি যুদ্ধ করবে, কেবল তাদের জন্য আল্লাহর তরফ থেকে ক্ষমা রয়েছে। ইয়াযীদ কিন্তু প্রথম সেনা দলের নন। ১ম সেনাদলটি যুদ্ধ করেছেন ২৭ হিজরীতে। ইয়াযীদ ছিলেন দ্বিতীয় সেনাদলের। রাজতন্ত্রের দরবারী আলেমেরা ইয়াযীদের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে এ হাদীসটিকে বরাবরই ব্যবহার করে আসছেন এবং মিথ্যার ফুলঝুরি দিয়ে রাজতন্ত্রকে বৈধ প্রমাণের আপ্রাণ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। তারা বরাবরই আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া গ্রন্থের উদ্বৃতিও দেন। আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া থেকে হুবহু তুলে ধরলাম। এবার হয়তো বলতে পারেন, ঐ গ্রন্থের ঐ অংশে ভুল আছে কিম্বা হাদীসে সামান্য ভুল হয়েছে। হাদীসে ‘১ম’-এর স্থানে ‘২য়’ হবে!!!

ইয়াযীদ কেবল হুসাইনের হত্যাকারীই নন। তিনি মক্কা ও মদীনা আক্রমনকারী। মদীনায় সাহাবী হত্যা ও নারীদের গণধর্ষনের অনুমতি দিয়ে তিনি মুসলমান থেকে খারিজ হয়ে গেছেন মর্মে অনেক বিশিষ্ট আলেম অভিমত দিয়েছেন।

তবে সেই যে অর্থ! হায়রে পাতকী অর্থ! রাজতন্ত্রকে জায়েজ করার জন্যে এমন পাপিষ্ট ইয়াযীদকেও আলেম নামধারী কতিপয় জ্ঞানপাপী ‘রাহমাতুল্লাহি’ বলতে কসুর করছেন না। তার সমর্থনে নানা ফতোয়া আর হাদীসের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে আসছেন। আল্লাহপাক তাদের হাশর ইয়াযীদের সাথেই করুন।

বিষয়: বিবিধ

১৫০৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

345279
১০ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১০:৫১
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : কোন হাদীসটির ভুল ব্যাখ্যা দেয়? সেটি কোথায় শিয়াসাহেব?
১১ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৭
286518
আনোয়ার আলী লিখেছেন : ভাল করে পড়ে মন্তব্য করবেন। আবালের মত মন্তব্য কাম্য নয়। লেখাটা আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া থেকে নেয়া। আমার নিজের লেখা নয়। আর শিয়া শব্দের অর্থেও সম্ভবত আপনাদের শেখানো হয় নাই। শিয়া মানে নিজের দল। খারেজী মানে বি্দ্রোহী দল। আগে শিখুন তারপর মন্তব্য করুন। না বুঝে লাফাবেন না। সেটা কাম্যও নয়।
১১ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৮
286519
আনোয়ার আলী লিখেছেন : এটা কি ধরনের জ্ঞানের কথা জানতে পারি? শিয়া শিয়া শেখা বুলি আর কত আওড়াবেন?
১১ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৮
286520
আনোয়ার আলী লিখেছেন : বুখারী শরীফের ২৭০৭ নং হাদীসটি পড়ে দেখুন। ভাল করে জানুন। তারপরই মন্তব্য করবেন। বিদ্বেষপূর্ণ আবাল মন্তব্য করবেন না।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File