বুখারী শরীফের হাদীস টেম্পারিং ? নিম্নোক্ত হাদীস সম্পর্কে জানতে চাই-
লিখেছেন লিখেছেন আনোয়ার আলী ৩১ জুলাই, ২০১৫, ১০:৫৯:৩৫ রাত
“ সহীহ বুখারীতে একটি হাদীস আছে যেখানে বলা হয়েছে যে যারা কনস্টান্টিনোপল (কুসতুনতুনিয়া) জয় করবেন তাঁরা জান্নাত পাবেন এবং ইয়াজিদ ছিলেন ঐ বাহিনীর কমান্ডার”
এটি বহুল প্রচারিত হাদীস। একটি সাইট থেকে জানতে পারলাম, এরকম কোন হাদীস বুখারী শরীফে নেই।
Click this link
বিস্তারিত কোন ভাই কি জানাতে পারেন?
বিষয়: বিবিধ
৩২৯৬ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মীর মোশারফ হোসেনের লেখা বিষাদ-সিন্ধু কেবলই একটা উপন্যাস মাত্র। এটি কি কোন ধর্মীয় গ্রন্থ? আর শিয়ারা কি মুসলমানদের আদর্শ? অথচ তারা এগুলোর উছিলা দিয়ে পুরো কারবালার ইতিহাস পাল্টে দিতে চান। নিজের ঈমান আকিদাকে বিক্রি করতে এদের বিবেকে বাঁধে না। বেহেশতের সর্দার হুসাইনের হত্যাকারীকে যারা ‘রাঃ’ বলে সম্বোধন করে তাদেরকে কিভাবে মানা যায় বলুন?
তাদের উদ্দেশ্য তো পরিস্কার।
১৪৫৩ খ্রিষ্টাব্দে উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ কর্তৃক শহরটি অধিকারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। পূর্বে এটি পূর্ব রোমান (বাইজেন্টাইন) সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। শহর অধিকারের পূর্বে এটি জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ১৪৫৩ খ্রিষ্টাব্দের ৬ এপ্রিল থেকে ২৯ মে পর্যন্ত অবরোধের সম্মুখীন হয়। এরপর চূড়ান্তভাবে শহরটি উসমানীয়দের অধিকারে আসে।
কনস্টান্টিনোপলে বিজয়কে ১৫০০ বছরের মত টিকে থাকা রোমান সাম্রাজ্যের সমাপ্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
সূত্রঃ https://bn.wikipedia.org/wiki/কনস্টান্টিনোপল_বিজয়
গত কাল ফেসবুকে দেখলাম মীর মোসাররফ হোসেনের বিষাদ সিন্ধু নামক উপন্যাসে মিথ্যা কাহিনী সাজিয়ে ইয়াজিদের নামে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছিল । সঠিক তথ্য আল্লাহ ভাল জানেন ।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "মুসলিমরা একদা কনস্টানটিনোপল বিজয় করবে। তাদের সেই বিজয়ী কমান্ডার কতই না সৌভাগ্যবান। সেই বিজয়ী সেনাদল কতই বরকতময়।"
এই হাদিসের কথা সকল সাহাবীরা জানতেন। যখন আমিরে মুয়াবিয়া ক্ষমতারোহন করেন তখন তিনি মনোবাঞ্ছা পোষণ করেন যে, আল্লাহর রাসুলের ভবিষ্যৎ বাণীটি আমার দ্বারা পূরন হউক। তিনি সে মহৎ উদ্দেশ্য সফল করার জন্য একটি সেনাবাহিনী তৈরি করেন। সে অভিযানে অংশগ্রহন করার জন্য অনেক সাহাবী যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
ইয়াজিদ তখনও খোদার দুষমন হয়নাই। এমনকি আমিরে মুয়াবিয়ার উৎসাহে ইয়াজিদ এই বাহিনীতে ছিলেন। আমীরে মুয়াবিয়া চাচ্ছিলেন বরকতময় এই সংগ্রামে তাঁর পুত্রও শরীক হোন। আমীরে মুয়াবিয়ার ইন্তেকালের পরে ইয়াজিদ ক্ষমতা নিয়ে ক্ষতির কারণ হয়।
যাক, এই অভিযানের খবর পেয়ে অসুস্থ সাহাবী আবু আইয়্যুব আনসারী নিজের নাম লেখান। অথচ তিনি বিছানা থেকেই উঠতে পারছিলেন না। তাঁকে যুদ্ধে না যেতে অনুরোধ করার জন্য খোদ আমিরে মুয়াবিয়া তাঁর বাড়ীতে গিয়ে তাঁকে অনুরোধ করেন।
আবু আইয়ুব আনসারী (রাঃ) বলেন, আমি সে যুদ্ধে যাব, বাহিনী যুদ্ধে রওয়ানা হবার সময় আমাকে খাটিয়ায় করে নিয়ে যেতে হবে। যদি আমি পথে মারা যাই, তাহলে আমার মৃত লাশ কাঁধে করে বহন করে যুদ্ধের ময়দানের দিকে চলতে হবে। মুসলিম বাহিনী যে দূরত্বের জায়গা থেকে উল্টো ফিরে আসবে সেখানে আমার কবর দিবে। তারপরও আমি এই যুদ্ধে অংশ নিতে চাই।
বাকী কথা রিদওয়ান কবির সবুজের মন্তব্যে চলে এসেছে। এই কারণে বর্তমান ইস্তাম্বুলে তাঁর সমাধি রয়েছে।
যেহেতু যুদ্ধটি ছিল পবিত্র ও বহু লোভনীয়। তাই অনেকে অংশ নিয়েছে। কথা হল, আমিরে মুয়াবিয়া (রাঃ) যে যুদ্ধের আয়োজন করছে, সঙ্গত কারণে সে যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ন পদ তাঁর ছেলে ইয়াজিত পেতেই পারেন। কেননা ইয়াজিত তখনও একজন সাহাবী ছিলেন। তিনি যদি কোন পদ নাও পান তাহলে ঘটনাটি মিথ্যা নয় বরং পরিপূর্ন সত্য।
ঘটনা হল অন্যত্র! সেটা হল জাকির নায়েকের ভুল বের করতে হবে। জাকির নায়েক এমন নালায়েক মানুষ নন যে, তিনি ইতিহাস না জেনে উদ্ভট, উল্টা, পাল্টা কথা বলে দিবেন। যাক, আমিও জানিনা জাকির নায়েক কি বলেছেন, তবে ঘটনা হল এটি। আশা করি সবার উপকার হবে।
শিয়াদের কারনে ইয়াজিদ বাংলার মানুষজনের নিকট একটি ভয়ংকর মুর্তি। সাথে নিয়ামক যুগিয়েছে বিসাদ সিন্ধু নামক বানোয়াটি বই এর লেখক শিয়া মোসাররফ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন