শাহাদাৎপিয়াসী যোদ্ধাদের পরাজিত করা যায় না: হামাস কমান্ডার
লিখেছেন লিখেছেন আনোয়ার আলী ৩১ জুলাই, ২০১৪, ০৫:২২:৫৬ বিকাল
হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের কমান্ডার মুহাম্মাদ দেইফ ঘোষণা করেছেন, গাজা উপত্যকার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে না নেয়া পর্যন্ত কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না এবং আমাদের বিজয় অবশম্ভাবী। বেশ কয়েক বছরের নীরবতা ভেঙে বুধবার তিনি বলেছেন, দখলদার সেনারা এমন একদল সুসংগঠিত যোদ্ধার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে যারা জীবন দিতে প্রস্তুত। যারা শহীদ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে তাদের পরাজিত করা যায় না।
২০০২ সালে ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের দায়িত্ব গ্রহণের পর ইসরাইল পাঁচবার মুহাম্মাদ দেইফের ওপর হামলা চালায়। এসব হামলায় একাধিকবার তিনি আহত হলেও প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। গাজায় চলমান যুদ্ধে তিনি হামাস যোদ্ধাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সম্প্রতি ইসরাইলি জঙ্গিবিমান তার খান ইউনিসের বাড়িতে বোমাবর্ষণ করেছে।
কমান্ডার দিয়েফ এক অডিও বার্তায় আরো বলেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও গাজার সবগুলো ক্রসিং পুরোপুরি খুলে না দেয়া পর্যন্ত হামাস যুদ্ধবিরতি মেনে নেবে না। তিনি বলেন, দখলদার সেনারা গাজায় হামলা চালানোর পর শক্তির ভারসাম্য পাল্টে গেছে। আগে ইসরাইলিরা শুধু হত্যা করতো কিন্তু এখন তাদের প্রচুর সেনা মারা পড়ছে। ইসরাইলকে উদ্দেশ করে হামাস কমান্ডার বলেন, তোমরা বিমান হামলা চালিয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যা করতে পারলেও স্থল অভিযানে সফল হবে না। ফিলিস্তিনিদের শান্তিতে থাকতে দাও নি বলেই তোমাদের ঘুম হারাম করে দিয়েছি আমরা।
হামাসকে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রযুক্তি দিয়েছে ইরান:
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রযুক্তি দিয়েছে তেহরান। ইরানের আরবি ভাষার নিউজ চ্যানেল আল-আলমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকার ড. আলী লারিজানি।
চলমান যুদ্ধে গাজা থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিব ও জেরুজালেম শহরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে হামাস। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরাইলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এমনকি হামাসের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর প্রায় তিনদিন ধরে তেল আবিবে পশ্চিমা বিমান চলাচল বন্ধ ছিল। অবরুদ্ধ গাজায় বসে হামাসের পক্ষে এসব ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ সম্ভব নয় বলে অনেকে অভিযোগ করে বলছেন, ইরান এসব ক্ষেপণাস্ত্র হামাসকে দিয়েছে।
কিন্তু এ অভিযোগ অস্বীকার করে লারিজানি বলেন, ইরান কখনো হামাসকে ক্ষেপণাস্ত্র দেয় নি; তবে ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্যান্য অস্ত্র বানানোর প্রযুক্তি দিয়েছে। এ প্রযুক্তি দিয়ে হামাস এখন নিজের সমরাস্ত্রের প্রয়োজন নিজেই মেটাতে পারছে। ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকার ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগ্রামের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, এ সংগ্রামে সম্ভাব্য সব রকম সহায়তা দেবে ইরান। ড. লারিজানি বলেন, ইহুদিবাদীরা যখন তখন গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে যাতে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করতে না পারে সেজন্য প্রতিরোধ যোদ্ধাদের যথাসম্ভব সাহায্য করা সব মুসলিম দেশের কর্তব্য। ইরান এ ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে দ্বিধা করছে না।
বিষয়: বিবিধ
১১৩১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন