যে কারনে সৌদি শাসকরা ইসরাইলী হামলাকে নীরবে সমর্থন করছে।
লিখেছেন লিখেছেন আনোয়ার আলী ১৭ জুলাই, ২০১৪, ০৮:০১:০০ রাত
(ইসরাইলী বোমা আক্রমণে আতঙ্কিত ফিলিস্তিনী শিশুরা)
পবিত্র মক্কা-মদীনার অবস্থান হওয়ার কারনে গোটা বিশ্বের মুসলমানেরা স্বভাবতই মুসলমানদের যে কোন সমস্যায় সৌদি আরব ও ওআইসির দিকে তাকিয়ে থাকে। গাজা আক্রমণেও মানুষের তেমনটা প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সৌদি সরকার উল্টোটাই করছে। খবর আসছে যে, গাজা আক্রমণে ইসরাইলের সাথে সিসি ও আবদুল্লাহ বাদশার ইন্দন আছে। জুব্বা ওয়ালা বাদশাহ বর্তমানে আমেরিকা- ইস্রায়েলের চেয়েও বেশী ভয় পায় ব্রাদার হুড, হামাস, হিজবুল্লাহ জাতীয় দলগুলোকে। গাজার মানুষ হামাসকে ভোট দিয়েছে, সে কারনে সিসি ও আবদুল্লাহ বাদশার চরম গোস্বা সেই মানুষদের উপর। ইসরাইলী আক্রমণে তাই তারা খুশী। চরম মার খাওয়ার পর হামাস যখন আক্রমণে তখনই সিসি যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব করে। এতোদিন চোখে আঙ্গুল আর মুখে কলুপ ছিল এই নব্য ফেরাউনের। আর হাল আমলের ইয়াজিদ সৌদির জুব্বাওয়ালা আব্দুল্লাহ বাদশাহর কথা তো বলাই বাহুল্য। এদেশটা পৃখিবীর একমাত্র দেশ, যেখানে পবিত্র ইসলামকে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রনের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। চরম ভোগ বিলাস আর ইহুদী-মার্কিণীদের পদলেহনে ক্ষমতায় টিকে আছে এই শাসক শ্রেনী। গাজায় ইসরাইলী আক্রমনে মোনাফিকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে এর পদলেহীরা। সৌদির মৌখিক প্রতিবাদ যে লোক দেখানো ইসরাইল সেটা ভাল করেই জানে। তারা জানে, আর যা-ই হোক, সৌদি-মিশরের আন্তরিক সমর্থণ আছে তাদের প্রতি। এটা দেখে বৃটিশ এমপি, লেখক ও সাংবাদিক জর্জ গ্যালওয়ে বলেছেন, ‘আরবের এই খুনের দায় সবাইকে নিতে হবে। কোথায় দুই মসজিদে বন্দি বাদশা আব্দুল্লাহ? কোথায় মিশরের নতুন নাছের জেনারেল সিসি?’
বিষয়: বিবিধ
১৫৯১ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইউএই ব্যস্ত রূপ কথার আলাদিন নগরী বানাতে
এই হলো মুসলমানদের অবস্থা।
অপরদিকে সৌদি ভোগবিলাসপ্রিয় নাফরমান রাজা বাদশারা স্বগৌষিত তথাকথিত হাদেমুল হারামাইনের মোহর কপালে লাগিয়ে আল্লাহ প্রদত্ব খনিজ সম্পদ তথা গোটা দুনিয়ার মুসলমানদের হক কুক্ষিগত করে ইয়াহুদী নাসাদের নিয়ে আমোদ ফুর্তিতে মাতোয়ারায় রয়েছে। জাজিরাতুল আরবের খনিজ সম্পদের প্রতি সারা পৃথিবীর মুসলমানদের হক রয়েছে। কিন্তু আজ এসব নাফরমান গাদ্দার মোনাফিক রাজা বাদশারা পশ্চিমা নাসারা এবং জায়নবাদী ইয়াহুদীদের নিয়ে ভোগ বিলাসে মত্ব রয়েছে। অপরদিকে পৃথিবীরে দিকে দিকে মুসলমানরা না খেয়ে অভূক্ত থেকে চরম দারিদ্রসীমার নীচে অবস্থান করে সীমাহীন আর্থিক বঞ্চনায় দিনাতিপাত করছে।
এ অবস্থায় মুসলমানরা নিজস্ব সকীয়তা, আত্বসচেনতায় বলিয়ান হয়ে দিকে দিকে সজাগ হচ্ছে ইখওয়ানুল মুসলেমিন, হামাস, তালিবান, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন ইসলামী কাফেলার পতাকাতলে। যাদের নেতৃত্বে প্রবল সম্ভবনা রয়েছে ইসলামের রাজনৈতিক উত্থানে পূর্ণ ভূমিকা রাখার। একারণেই বাদশা আব্দুল্লাহ, সিসি, বাশার আল আসাদ, নুরি আল মালিকি, শেখ হাসিনাসহ নাফরমান শাসক গোষ্টী স্বজাতির কাছে কোনঠাশা হয়ে এখন ইয়াহুদী এবং নাসারাদের দিয়ে মুসলিম পূনর্জাগরণকে ঠেকানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। আজকের ইস্রাইল কর্তৃক ফিসিস্তিনি মুসলমানদের ঠান্ডা মাথায় খুন জড়ানোতে কানে তুলে দিয়ে, চোখে রঙ্গিন চশমা দিয়ে, নাকে রুমাল দিয়ে, মুখে তালা মেরে নিশ্চুপ বসে থাকে। বাংলাদেশে হাসিনা কর্তৃক চরম মানবাধিকার লঙ্গন করে ইসলামপন্থীদের উপর জুলুমের স্টীম রোলার চালালেও মধ্যে প্রচ্যের কোন বিলাসী শাসক সামান্যতম টু শব্দ পর্যন্ত করেনি। একইভাবে ফিলিস্তিনি মুসলমান, কাশ্মিরি মুসলমান, উইগুর মুসলমান, বার্মার মুসলমান, রাশিয়ার মুসলমানদের উপর নিষ্ঠুর কায়দায় গনহত্যা চালালেও তথাকথিত হাদেমুল হারামাইনদের আরামের ঘুমের বেগাত ঘটে না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন