আরজ আলী মাতুব্বরের যত প্রশ্ন-৩
লিখেছেন লিখেছেন আনোয়ার আলী ২৩ মে, ২০১৪, ১১:০৪:০৮ সকাল
(ব্লগার মাজহার ভাইয়ের পরামর্শে শিরোনামটা পাল্টে দিলাম। এখন থেকে ‘আরজ আলী মাতুব্বরের প্রশ্ন ও জবাব’ শিরোনামের পরিবর্তে উল্লেখিত শিরোনামেই চলবে)
আরজ আলী মাতুব্বর প্রশ্ন করেছেন- ইহকাল ও পরকালে সাদৃশ্য কেন? পরকালের অন্তর্গত কবর হাশর, বেহেস্ত, দোজখ ইত্যাদির যে সকল বর্ণনা পাওয়া যায়, তার প্রত্যেকটি বর্ণনার বিষয়বস্তুই যেন এই পৃথিবীর বিষয়বস্তুর অনুকরণ বা সংস্করণ। যথা ¬ (কবরে) ছওয়াল বা প্রশ্ন, গুর্জ বা গদা, স্নিগ্ধ সমীরণ, উত্তপ্ত বায়ু প্রভৃতি; (হাশর ময়দানে) তামার পাত, সূর্যের তাপ, সাক্ষ্য জবানবন্দী, দাড়ি-পাল্লা, বিচার ইত্যাদি, (বেহেস্তে) সুমিষ্ট ও সুস্বাদু ফল, সুপেয় জল, দুধ, মধু, সুন্দরী রমণী ইত্যাদি এবং (দোজখে) অগ্নি, পুঁজ, রক্ত, গরম জল, পোল, সাঁড়াশী ইত্যাদি যাবতীয় পারলৌকিক বর্ণনা সমূহের আদ্যন্ত পর্যালোচনা করিলে মনে হয় যে, পরলোকের সবকিছুই যেন এই পৃথিবী হইতে গৃহীত, কিছুটা পরিবর্ধিত ও কিছুটা পরিবর্তিত। পরলোকে কি কিছুই অভিনব থাকিবে না?
উত্তর: অভিনব কিছু থাকিবে না এ কথা কি ইসলামের কোথাও বলা হয়েছে? পরলোক তো কেবল মানুষের জন্যেই। তাই মানুষের উপযোগী সবকিছুই তাতে থাকবে-অন্য কিছু থাকা কি যৌক্তিক? দুনিয়াতে আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন, আর দুনিয়াকেও সাজিয়েছেন মানুষের উপযোগী করে। আখেরাতকেও তিনি ঠিক সেভাবেই মানুষের উপযোগী করেই সাজিয়েছেন। অভিনবত্ব অবশ্যই আছে। দুনিয়াতে পাপীকে একবার মাত্র মৃত্যু যন্ত্রনা দেয়া যায়। তার প্রাণবায়ু বেরিয়ে গেলেই সব শেষ। তার আয়ুও পৃথিবীতে সীমাবদ্ধ। আখেরাতে তা নয়। আখেরাতে জীবনের আর কোন অবসান নেই। আল্লাহকে যারা না দেখেই বিশ্বাস করেছে, তার জীবন বিধান মেনে নিয়েছে, তারা চিরস্থায়ী সুখ ভোগ করতে থাকবে। সেখানে কেবলই অনাবিল শান্তি। বৃদ্ধ হবার কোন প্রয়োজন সেখানে নেই। আল্লাহ মানুষকে চুড়ান্ত সুখই স্থায়ীভাবে আখেরাতে দেবেন। আর তার উল্টো হলে কেবলই শাস্তি, অনন্তকাল চলতেই থাকবে। এ বিষয়ে আল্লাহপাক তো সতর্ক করেছেনই। যারা বিশ্বাস করলো না, এই ক্ষণস্থায়ী জীবনের অবসানের সাথে সাথেই তারা এটা নিশ্চয়ই উপলদ্ধি করতে পারবে। কোন সন্দেহ নেই।
বিষয়: বিবিধ
১৩৫২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বনাম
আনোয়ার আলী মাতুব্বরের তত উত্তর
আরজ আলি মাতুব্বরই সম্ভবত আরেক জায়গাতে এই উক্তি করেছেন যে যেহেতু মরুময় আরব দেশে স্রোতস্বিনি নাই সেজন্য বেহশতের বর্ননাতে ছুটন্ত ঝর্না ও ফুল এর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি জানতেন না যে ইউরোপের মত শিতমন্ডলিয় অঞ্চলে ও ছুটন্ত ঝর্না ও ফুল কে সেীন্দর্যের উপমা মনে করা হয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন