আওয়ামী লীগের ইসলাম বিরুধিতা শেখ মুজিবের জন্ম পরিচয়ের কারণে

লিখেছেন লিখেছেন এইচ এম ফজল ১৪ নভেম্বর, ২০১৩, ০৭:৩০:৫৯ সন্ধ্যা

একজন নিম্নতর ধার্মিক লোকেও কখনো তাঁর ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলে না। যদি তাঁর স্বিয় ধর্মের বিরুদ্ধে কেহ কোন উক্তি করে, তাহলে সে কখনোই তা মুখ বুজে মেনে নিতে পারে না। কিন্তু প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা মুসলিম হয়েও কেন ইসলামের বিরুধিতা করেন। ইসলাম মুসলিমদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে ধর্মীয় বিবেক তাকে কোনরূপ বাধা দেয় না। তাঁর অন্যতম একটি কারণ নিম্নরুপ।

আরবিতে একটি প্রভাদ আছে; ‘প্রত্যেক বস্তু তাঁর মুলের দিকেই ধাবিত হয়। বিগত পাঁচ বৎসরের হাসিনা সরকারের তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতার অনুসরণ, মুসলিম হয়েও ইসলাম বিদ্বেষী ও হিন্দু পক্ষপাতিতার একটা রুপ রেখা অতি স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে। এটা শুধু বিগত পাঁচ বছরের সরকারের অবস্থা নয়, গোটা আওয়ামী লীগের মধ্যেই এই ধরনের মানসিকতার একটা চিত্র দেখা যায়। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে আওয়ামী লীগের কাণ্ডারি বলতে মুজিব পরিবারকেই বুঝায়। আর একথা সত্য যে, সাধারণ মানুষ কোন দলের নেতা থেকে ভিবিন্ন সুবিধা অর্জন করার জন্য তাদের দলের নেতাদের পক্ষে সমর্থন করে থাকেন, যদিও তা চীর সত্যের বিপরীত হয়। তাই প্রত্যেক দলের নেতা ও উপনেতাদের কথা ও কাজে কেন্দ্রীয় প্রধান নেতার কথা-কাজের মধ্যে একটা গভির মিল পাওয়া যায়। তাই কোন নেতার নেতৃত্ব মেনে নেওয়ার আগে সেই নেতার বংশ ও জন্ম পরিচয় থেকে শুরু করে পূর্ণ জীবনের ইতিহাস জেনে নেওয়া উচিৎ। বাংলাদেশের অতি প্রিয় নেতা বাংলার জাতির জনক জনাব মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জিবন সম্পর্কে সকলের জানা থাকলেও বংশ ও জন্ম পরিচয় অনেকেরই অজানা। তাই সত্যটা সকলকে জানানর জন্য আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস।

আমি এর তথ্য বিবরণ পেয়েছি একটি লিফলেট থেকে। লিফলেটের উপর আমার পূর্ণ আস্থা ছিল না, কিন্তু কিছু দিন আগে দেখতে পেলাম জাতীয় সংসদেও মাননীয় সংসদ সদস্যা মিসেস রেহেনা আক্তার রানু শেখ মুজিবরের জন্ম পরিচয়ের বিবরন দিয়েছিলেন যা আমার পাওয়া লিফলেটের সাথে হুবাহু মিলে যায়। এতো বড় এক নেতা, যার মেয়ে দেশের প্রধান মন্ত্রী। যখন শেখ হাসিনার সামনে তাঁর বাবার নিন্দনীয় জন্ম ইতিহাস বর্ণনা করার পরও মিসেস রেহেনা আক্তার রানুর বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি। তখন আমার বিশ্বাস হল আমার পাওয়া লিফলেটের ইতিহাস সত্য। সত্য কথা গোপন না করে অজানা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার কর্তব্য বলে মনে করি।

তাই ভারত বর্ষের পুরাতন ইতিহাস এবং তথ্য সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানে আমাদের তথাকথিত জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম ও শৈশৈসবের কিছু কথা লিখা আছে যার সামান্য অংশ প্রিয় পাঠকদের অবগতির জন্য নিম্নে দেওয়া হল।

কলিকাতার সিভিল কোর্টের উকিল মিঃ চণ্ডিদাস। তাঁর এক মেয়ে ছিল যার নাম গৌরিবালা দাস। চণ্ডিদাসের সহকারি উকিল মিঃ অরণ্য কুমার চক্রবর্তী চণ্ডিদাসের কলিকাটাস্থ বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করত, এই সুযোগে গৌরিবালার সাথে অরণ্য কুমার চক্রবর্তীর অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাঁর ফলে গৌরিবালা গর্ভবতী হয়ে পড়েন। গৌরিবালা যখন বুঝতে পারলেন যে তিনি গর্ভবতী হয়েছেন তখন গৌরিবালা অরণ্য কুমারকে তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। অরণ্য কুমার ইহাতে রাজী না হয়ে অবৈধ সম্পর্কের কথাও অস্বীকার করেন। এদিকে চণ্ডিদাস বিষয়টি জানার পর চিন্তিত হয়ে পরেন। এরই মধ্যে গৌরিবালা ১২/ ১২/ ১৯২০ইং তারিখে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। তাঁর নাম রাখা হয় দেবদাস চক্রবর্তী। চণ্ডিদাস অরণ্য কুমার চক্রবর্তীকে গৌরিবালাকে উঠিয়ে নেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন, কিন্তু অরণ্য কুমার রাজী হন না। এরই মধ্যে দেবদাসের বয়স ২ বছরে উন্নিত হয়। চণ্ডিদাস হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরেন এবং ভীষণ ভাবে অসুস্থতা ভোধ করেন। দেবদাসের বয়স যখন ৩ বছর তখন –মহুরী শেখ লুতফর রহমান গৌরিবালাকে বিয়ে করেন। তখন গৌরিবালার নাম হয় ছালেহা বেগম এবং ছেলের নাম দেবদস চক্রবর্তীর পরিবর্তে রাখা হয় শেখ মুজিবুর রহমান। যার এফিডেবিট নং- ১১৮ তারিখ ১০/১১/ ১৯২৩ ইং সাল।

কলিকাটা সিভিল কোর্টের সাক্ষীঃ

১. জনাব আব্দুর রহমান সাফায়াত, কোর্ট দারগা, থানা +পোস্ট= ভাণ্ডারিয়া সাবেক জেলাঃ বরিশাল।

২. শ্রী অনিল কুমার, কোর্ট দারোগা, সাবেক জেলা বরিশাল।

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে আমাদের বিনীত আবেদন, উল্লেখিত ইতিহাস যদি সত্য হয় তাহলে ইতিহাস লিখনিতে উহার স্থান দেয়া হক। আর যদি মিথ্যা হয়, তাহলে শেখ মুজিবুর রহমানের নানার নামসহ মাতৃকুলের পরিচয় ইতিহাসে উল্লেখ করা হোক।

বিষয়: রাজনীতি

৭৯০২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File