কলকাতার পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রীর লেখা গরুর রচনা

লিখেছেন লিখেছেন এইচ এম ফজল ০৫ নভেম্বর, ২০১৩, ০৩:১৯:৫১ দুপুর



গরু, একটি গৃহপালিত প্রাণী

দু'টি চোখ, দু'টি কান, চারটি পা ও

একটি লম্বা লেজ আছে। ধর্মীয়

দৃষ্টিতে গরু আমাদের

কাছে অতি পবিত্র।

আমরা একে'মা'বলে ডাকি। প্রকৃতিগত ভাবে মা নারী প্রজাতির হলেও গো-

মা কিন্তু তিন প্রজাতির হয়ে থাকে।

যেমন গাভি মা, ষাঁড় মা,

হিজড়া মা তথা বলদ মা। গরু অনেক উপকারি প্রাণী। গরু

থেকে আমরা দুধ পাই, গোবর পাই,

মূত্র পাই, মাংশ ও চামড়াও পাই।

গোমূত্র ও গোবর আমাদের

কাছে পবিত্রতার প্রতিক। ঠাকুর ঘর

বা পূজার ঘর আমরা গো মূত্র বা গোবর দিয়ে ধুয়েনি।

অনেকে স্নানের পর এক মগ গো-মূত্র

গায়ে ঢেলে নিয়ে পবিত্রতা অর্জন

করে। এই ছাড়া বিভিন্ন প্রকার

পীড়া থেকে নিরাময়ের জন্য

অনেকে খাওয়ার পরে গো-মূত্র পান করে। শাস্ত্রে কোথাও

গো-মাংশ খাওয়ার ব্যপারে কোন

নিষেদাজ্ঞা না থাকলেও

প্রাচীনকাল থেকে আমরা গো-মাংশ

খাই না। কারণ এটা আমাদের বাবা,

ঠাকুর দাদা বা এদের পূর্ব পুরুষেরা খায়নি। তাই

আমরা আমাদের এই গৃহপালিত

মাকে প্রতি কুরবানি ঈদে মুসলিম

দেশ বা মুসলিমদের

কাছে বিক্রি করে দেই।

মুসলিমরা কুরবানি দেওয়ার পর তাদের কাছ থেকে আমরা'মা'এর

চামড়া কিনেনি। সেই

চামড়া থেকে আমরা বিভিন্ন প্রকার

দ্রব্য যেমন- জুতা, ব্যাগ, কোর্ট

প্রভৃতি উৎপাদন

করি এবং বিদেশে রপ্তানি করে প্রচু পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন

করি। গো-মা এর চামড়ার

জুতা পরতে আমার খুব ভাল লাগে। এক কথায় গো-মা একটি উপকারি ও

অর্থকরী প্রাণী। আমাদের সবার

একে ভালবাসা উচিৎ। নাথিং টু সে !

প্রকৃতি পক্ষে এটা একটি নিকৃষ্ট

মাতৃ প্রেমের গল্প!!!

মোরাল অব দ্যা স্টোরিঃ

আমরা'মা'কে ভালবেসে মায়ের জন্য

নিজের চামড়া দিয়ে জুতা বানিয়ে দিতে পারি।

আর তারা মাকে ভালবেসে মায়ের

চামড়া দিয়ে নিজের জন্য

জুতা বানাতে প্রস্তুত এটাই তাঁদের

সাথে আমাদের তফাৎ!

বিষয়: বিবিধ

১৪৭৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File