স্পষ্ট বিভক্তির পথে দেশ
লিখেছেন লিখেছেন আবরারুল হক ০৮ জানুয়ারি, ২০১৪, ১১:২৭:১৪ রাত
"সংখ্যালঘু"
"মুক্তিযুদ্ধের/স্বাধীনতার পক্ষের/বিপক্ষের শক্তি"
শব্দগুলো ব্যবহার করা হয় সাম্প্রতিক সময়ে খুব বেশি।
একটা বিষয় খেয়াল করেছেন?
শব্দগুলোর মাধ্যমে জাতি স্পষ্টভাবেই বিভিন্নভাগে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে।
"সংখ্যালঘু" শব্দটির ব্যবহার প্রিয় বাংলাদেশের জনগোষ্টির একটি অংশকে বাকি অংশ থেকে পৃথক করে ফেলছে। সেই অংশটি বড় নাকি ছোট, তা বিবেচনা আমি করবো না। কারণ আমি আমার শরীরের একটি পা সম্পূর্ণ চলে যাক যেমন চাইবো না, তেমনি চাইবো না আমার পায়ের একটি আঙ্গুল কেটে ফেলা। আমি আমার সর্বশক্তি দিয়ে দুইটির কোনটিই যাতে না হয়, সেই চেষ্টাই করবো।
আর আসলে কারা অমুসলিমদের উপর হামলা করছে জানতে চান? চাইলে এই লেখাটা পড়ুন-
(বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার প্রকৃত চিত্র এবং মিডিয়ার ব্লেইম গেমের অপরাজনীতি)
http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1930/chairman/35638#.UszuTfQW1yQ
আমাদের মিডিয়া অমুসলিমদের উপর হামলা হলেই বলে এই কাজ জামাত শিবির করেছে এবং এইটা "সাম্প্রদায়িক হামলা"। পড়ে নিতে পারেন "outlook india" তে প্রকাশিত ভারতীয় সাংবাদিক এসএনএম আবদির লেখা "The Monster Breathes Air" প্রবন্ধটি, যার প্রথম বাক্যই হচ্ছে, "The best thing about Bangladesh Jamaat-e-Islami (BJI) is that it doesn’t kill Hindus simply because of their faith."
(http://www.outlookindia.com/article.aspx?284276)
তারপর, "মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি" এই শব্দগুলো দ্বারা কি বুঝানো হয়?
খুব স্বাভাবিক বিষয়, এর মাধ্যমে যথাক্রমে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতকে উদ্দেশ্য করা হয়।
স্বাধীনতা যুদ্ধে যে জামায়াত অংশগ্রহণ করে নি বরং তারা চেয়েছিল পাকিস্তান এক থাকুক, তা জামায়াতের নেতারাও কোনদিন অস্বীকার করে নি।
একগুয়েমী বাদ দিয়ে যুক্তিতে আসুন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জামায়াত বিরোধীতা করেছিল সত্য। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধপরবর্তী সময়ে জামায়াত দ্বারা এমন কোন কাজ সংঘটিত হয়েছে বলে দৃষ্ট হয় নি, যার মাধ্যমে সন্দেহ করা যায় যে তারা চায় পাকিস্তানের মানচিত্র আবার ১৯৭১ সালের আগের মত হয়ে যাক। বরং তাদের কাজে প্রমানিত হয় যে তারাও বাংলাদেশের বাকি সব মানুষের মতই বাংলাদেশের উন্নতি হোক এবং তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য, ভিশন ২০২৮ ঘোষনা করেছে, যার মূল স্লোগান হচ্ছে "সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরীর অঙ্গীকার"। (সোর্স- http://www.shibir.org/)
আসুন বাংলাদেশকে, বাংলাদেশে মানুষকে আর বিভক্তির দিকে না নিয়ে, ১৬ কোটি হাতকে একত্র করে একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলি। আমরা এমনিতেই অনেক পিছিয়ে আছি। প্লিজ বিভক্তি সৃষ্টি করে আর পেছনে নিয়া যাবেন না।
এখন সময় এগিয়ে যাবার, পেছনে নিয়ে যাবার নয়। তাহলে ভিশন ২০২১ কে ভিশন ২০৪১ কেন, ভিশন ৩০৪১ বানালেও বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ মাথা উচু করে দাড়াতে পারবে না।
বিষয়: বিবিধ
১০৬২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন