তিনি কি নাস্তিক, নাকি ইসলাম বিদ্ধেষী?
লিখেছেন লিখেছেন সায়িদ মাহমুদ ২৩ মার্চ, ২০১৪, ০২:৩৬:১৯ দুপুর
সৃষ্টির প্রথম মানুষ আদম(ইভ) থেকে মহান র্ধম ইসলাম তার সত্য ও ন্যায়ের শ্বাশত সৌন্দর্যের আলোকে পথ দেখিয়ে চলছে, সমগ্র মানব জাতিকে। মানুষের মধ্যে যারা সু-জ্ঞানী ও চিরন্তন সত্যর অনুসন্ধানী কেবল তারাই খুঁজে পেয়েছেন সত্যে ও শান্তির সন্ধান, খুঁজে পেয়েছেন একমাত্র প্রতিপালক আল্লাহকে, এবং জেনেছেন চিরন্তন সত্য ও চিরস্থায়ী আসল ঠিকানা আখিরাত সম্পর্কে। সেই অম্লান সত্য’কে কিছুটা বুঝতে পেরে অস্বিকার করতে পারেননি জগৎ বিখ্যাত ব্রিটিশ র্দাশনিক জর্জ বার্নাড’শ
বলেছেন “I have prophesied about the faith of Muhammad(Sm) that it would be acceptable to the Eurpoe of tomorrow as it is beginning to be accepted to the Europe of today and England in particular and the rest of the western world in general are bound to embrace Islam”(Genuine Islam, vol-1.1936)“ আমি ভবিষ্যদ্ধানী করছি যে, মুহাম্মদ (দঃ)-এর র্ধম ইসলাম আগামী দিনের ইউরোপবাসীদের কাছে অত্যান্ত গ্রহণযোগ্য হবে। ইতিমধ্যেই আজকের ইউরোপবাসীরা ইসলাম গ্রহণ করতে শুরু করেছে এবং সমগ্র পাশ্চাত্য জগত, বিশেষ করে ইংল্যান্ড ইসলাম গ্রহণ না করে থাকতে পারবে না” একজন অমুসলিম হয়েও জর্জ বার্নাড শ’ ইসলামের অদম্য মর্মবাণী বুঝতে পেরে স্বীকার করে নিয়েছেন অকপটে। কেননা তিনি ছিলেন প্রকৃত সত্যনুসন্ধানী প্রগতিশীলতার চর্চাকারি। তাই তার চোখ,মন ও মগজে ইসলামের অক্ষয় অভিযাত্রার গুণাবলি সমূহ ধরাপড়েছিল। অন্যদিকে আমাদের দেশের তথাকথিত সুশিল! প্রগতিশীল! “নাসিরউদ্দীন ইউসুফ,শাহরীয়ার কবির,মুনতাসির মামুন, হালের ইমরান এইচ সরকার সহ সমস্থ আওয়ামী নেতাদের চোখে ইসলাম ধরা পড়েছে জঙ্গিবাদ, লাদেনের দল কিংবা এক্সট্রিমিষ্ট নামে। কেননা ইসলামকে তারা আল-কোরআনের চোখে না দেখে “বঙ্কিম, শরৎ, হুমায়ন আজাদ, তসলিমা, কিংবা রবীন্দ্রনাথদের মতো ইসলাম বিদ্ধেষিদের
চোখে দেখছেন। প্রকৃত সত্য অনুসন্ধানী তারাই যারা প্রতিটা ফিলোসপি উৎপত্তির কারণ, সময় ও তার বড় এবং ছোট পরিসরে ব্যাবহারের বিশালত্ত্ব বিবেচনা করে, তার আলোচনা এবং বিশ্বাস যোগ্যতার ভিত্ত্বিতে ফ্রি এন্ড ফেয়ার সমালোচনা করেন তারাই প্রকৃত সত্যানুসন্ধানী। কিন্তু আমাদের দেশের সুশিল, প্রগতিশীলার’রা যা করেন তা হলো “ ধইরা ধইরা জবাই কর” তত্ত্বের প্রচার ও প্রসার। প্রকৃত সুশীল ও গুণধর ব্যাক্তি তারাই যারা মানুষে মানুষে ভূল বিবেদ ভূলে শান্তি ও একতার পথ বাতলে দেন তারা । যারা অবিচারের অপসারণে ন্যয়ের কথা বলে। যারা অধুনীকতার নামে নগ্নতার বীরূদ্ধাচারণ করে, যারা সাদাকে সাদা কালো কে কাল, দালাল কে দালাল লুঠেরা কে লুঠেরা, খুনি কে খুনি, এবং ফ্যাসিবাদিকে ফ্যাসিবাদি বলার সাহস রাখে প্রকৃত পক্ষে তারাই সুশিল, তারাই প্রগতিশীল। আর প্রকৃত প্রগতিশীলতার শিক্ষা যেখান থেকে উৎসারিত হয় সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আল-ইসলাম, আর সেইসব মানুষদের নাম মুসলমান, তাদের গন্তব্য ইসলামী রাজনীতি। কেন বলছি এ কথা তাহলে পড়তে হবে আল-কুরআন। তখনি বুঝতে পারবেন আসলে ইসলাম কিংবা মুসলমান ব্যাতিত অন্যকেউ প্রগতিশীল হতে পারেননা! তাহলে আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে আমাদের সমাজের চারপাশে যে সব মুসলমান নামের খুনি, যোচ্ছুর লূটেরাদের দেখছি তারা মুসলমান বলে তাদেরও কি প্রগতিশীল! ভাবতে হবে?, আমি বলবো তার আগে মুসলমানের সংজ্ঞাটা জেনেনিন কুরআনুল করিম থেকে, তারপর ডিসাইড করুন কারা মুসলমান? কারা মুসলমান নামের মুনাফিক?
আসলে ইসলামকে একটি র্ধম(স্বভাব) কিংবা গোষ্টি হিসেবে না দেখে একটা সামাজ পরিবর্তনের অথবা সমাজে ন্যায় বিচার, সুশান প্রতিষ্টার ফিলোসফি হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। তার জন্য ইসলামিক থিওরি তত্ত্বগুলো উদার মনে পড়া শুনা করলেই বুঝতে পারবেন আসলে ইসলাম কি চায়? কিভাবে চায় ? কেন চায়? অতপর কারা মুসলমান? কিংবা যারা মুসলামন তারা কি অমুসলিমদের সংঘে বিদ্ধেষ হিংসা পোষন করেন নাকি বন্ধুভাবা পন্ন হন?
তাহলে কি অমুসলিমরা প্রগতিশীল মুক্তবুদ্ধির নন? অথবা কখনো ছিলেন না? হ্যা ছিল। পৃথিবীতে অনেক অমুসলিম প্রগতিশীল মুক্তমনা ছিল, যাদের উদাহারণ: র্জজ বার্নাড’শ,ফরাসী র্দাশনীক ডাঃ রোজার গারোদী, হিন্দু র্ধমের শীর্ষাস্থানীয় ধর্মগুরু ড. শিব শক্তি স্বরূপ রাজীথেকে শুরু করে অসংখ্য অমুসলিম প্রগতিশীল ছিলেন যারা প্রগতিশীলতা কিংবা মুক্তবুদ্ধির চর্চা করতে করতে চির সত্যের বাতিঘর প্রগতিশীলতার আরেক নাম ইসলামকে বুকে ধারণ করেই মৃত্যু মুখে পতিত হয়েছিলেন। কিন্তু যারা দিন রাত্রি, প্রগতিশীলতার নামে বৃহৎ জনগোষ্টির প্রমাণিত, সত্য, ও সুন্দর বিশ্বাসের উপর ক্রমাগত অশালিন, কল্পিত মিথ্যাচারে ব্যাস্ত থাকে তাদের কে আর যাইহোক নাস্তিক না বলে ইসলাম বিদ্ধেষী বা এন্টি মুসলিম হিসেবে চিহ্নিত করাই ভাল।
বিষয়: বিবিধ
১৭২৯ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যেমন -
আসলে ইসলামকে একটি র্ধম(স্বভাব) কিংবা গোষ্টি হিসেবে না দেখে একটা সামাজ পরিবর্তনের অথবা সমাজে ন্যায় বিচার, সুশান প্রতিষ্টার ফিলোসফি হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।
আমরা মুসলিম হয়েও যুগে যুগে মানুষের কাছে এটিকে একটি গ্রহন যোগ্য জীবন ব্যবস্থা হিসেবে উপস্থাপন না করে একটি ধর্ম হিসেবে উপস্থাপন করেছি। অন্যদের সামনে সীমানা একে একটির গ্রহন যোগ্যতাকে নিচক স্বার্থে ব্যবহার করেছি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন