বসন্তের উচ্ছ্বাস দোলা দেয় প্রাণে।
লিখেছেন লিখেছেন সায়িদ মাহমুদ ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১০:২০:০৭ রাত
দেখতে দেখতেই পৌষ-মাঘ শেষে চলে এলো ফালগুন। এই ফালগুনই হলো বসন্তের প্রথম মাস।
উঠোনের আম গাছটাই তার সাক্ষি, ময় মুরুব্বিদের কাছে শুনেছি যখন আম গাছে বোল আসে তখন থেকেই বসন্ত শুরু হয়। বই পুস্তকেও পড়েছি আমের মুকুল হলো বসন্ত দূত। যদিও সব আমগাছ গুলোতে এখনো তেমন দৃশযামন আমের বোল বা মুকুল পড়েনি। কিন্তু কেল্যান্ডারের পাতা সক্ষিদেয় আম গাছে বোল আসুক কিংবা আমের মুকুল নাই বা পড়ুক তবুও আজ বসন্ত।
৬-ঋতুর বাংলাদেশ বাতাসে হেলে দুলে মায়াবী যে ঋতুটি এসেছে তার নাম বসন্ত। এ ঋতুতে নানান দিকের ঝিরঝিরে হাওয়ায় বাংলার নিসর্গ শ্যমলিমার সাথে দিগন্ত সহ সমগ্র প্রকৃতি নতুন করে সজ্জিত হয়। ফালগুন থেকে চৈত্র মাস জুড়েই বসন্তকালের ব্যাপ্তী, বসন্তের শরীর ঝুড়ানো আবহাওয়ায় পুষ্টহই পুষ্ট হয় প্রধান ফসল বারো ধান, যব, মসুর, ও আখ প্রিয় সবজী পুইলতা, সাজনা ও ঝিয়ে। শীতের নির্যাতনে পাতা হারানো উলঙ্গ বৃক্ষরা সব ফুলে পাতায় নব পল্লবে শোভিত হয় অর্জুন, অপরাজিতা, দেবদারু, শাল, শিমুল, বকুল, পারুল, পিয়াল, মহুয়া মাধবীলতা, রক্তকরবী, জংলী বাদাম সহ হরেক রকম উদ্ভিদ।
বসন্তে বাচ্ছা দেয় দোয়েল, টিয়া, শকুন প্রসবিনী হয় ঘড়িয়াল,
ঘড়িয়াল।
বংশবিস্তার করে নানান প্রজতীর পাক, প্রাণী। বসন্তের ফুলে-রূপে-রসে আশ্চর্য বাংলাসাহীত্য, বসন্তের বাতাসে মাতাল হয়েছেন বহু জ্ঞানি গুনি সুধীজন বাদপড়েননি মহা কবি রবিন্দ্রনাথ, নজরুল, আল মাহমুদ কেউই।
বসন্তের বর্ণনা দিতে গিয়ে
জাগরণের কবি
নজরুল লিখেছেন
কুহেলির দোলায় চড়ে এল ওই কে এলরে? মকরের কেতন উড়ে শিমুলের হিঙ্গুল বনে। তার রঙ্গের আবেশ লাগে চাঁদের চোখে তার লালসার রং জাগে রাঙা আকাশে। তার রঙিন নিশান দুলে কৃষ্ঞচুড়ায়। তার পুষ্পধনু দোলে শিমুল শাখায় তার কামনা কাঁপে গো ভোমরা পাখায় সে খোপাতে বেলফুলের মালা জড়ায়। সে কুসমি শাড়ি পরায় নীল-বসনায় সে আধার মনে জ্বলে লাল রোশনাই সে শুকনো বুকে ফাগুনের-আগুন ধরায়।
আবার রেনেসার কবি
আল মাহমুদের বর্ণনায় বসন্ত এসেছে
“হঠাৎ শীতের শেষে ফাল্গুনের ফুটন্ত আকাশ
সাহসী দৈজমলো এমনভাবে, ভাবলাম, বঙ্গোপসাগর উদ্ধৃত্ত জ্বলের কণা পাঠিয়েছে আগেই এ মাসে”ত্যের মত অভাবিত মেঘের আসর
বিশ্ব কবি রবিন্দ্রনাথের কাছে
বসন্ত এসেছে নানান ঢংয়ের বর্ণনায় বসন্তের বাতাস রয়েছে
সুনীল আকাশ-পরে
শুভ্র মেঘের থরে থরে
শান্ত যেন রবির আলোক
পাখিরা ঝড়িছে পাখা
কপিছে তরুর শাখা
খেলাইছে বালিকা বালকে।
এভাবেই যুগে যুগে সহিত্যে বিষারদরা নানান শব্দে নানান কায়দায় নানান ভাষায় গেয়েছেন বসন্তের জয় গান।
তাইতো বসন্তকে বলাহয় ঋতুর রাজা ”বসন্ত ”
বাংলা সন মতে বসন্তের আজকের বয়স ১২দিন ১৪২০ বছর।
আজকের এই দিনে রহমানুর রহিম আল্লাহার কাছে সু-সাস্থ্যর প্রার্থনা রইলো আমীন ছুম্মা আমীন।
বিষয়: সাহিত্য
২৩৩৭ বার পঠিত, ৩৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক ভালো লাগলো ।
বিশেষ করে কবি নজরুল এর ছবিটা দেখলেই মনটা ভালো হয়ে যায়।
ধন্যবাদ ভাই
জবাব হয়নি
মন্তব্য করতে লগইন করুন