যে পন্থায় আ'লীগ আবারো ক্ষমতা কুক্ষিগত করলো।
লিখেছেন লিখেছেন সায়িদ মাহমুদ ০২ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৫:৪৪:২৯ বিকাল
৫/১/২০১৪ সকাল থেকে ভোট চলছে। চারদিকে কোলাহল রাস্তাজুড়ে চলছে মুর্হুমূহ স্লোগান। কেমন যেন এক অস্পষ্ট থমথম অবস্থা, ভোট কেন্দ্রগুলোয় স্লোগান রতদের উল্লাসের আড়ালে কেমন যেন একটা চাপা ভয় অতঙ্কের চাপ চুপসে ভাসছে। তবুও কিছু মানুষ নিজেদের সাথে আত্ব-প্রবোঞ্চনা করে অন্য সমমনাদের সাথে তর্ক করছে। আজকের দিনে এখনো পর্যন্ত কে কয়টা ভোট দিতে পেরেছে? যদিও একজন ব্যাক্তির ভোট দেওয়ার বিধান একটা। কিন্তু ভোটার উপস্থিতি ৬০% এর বেশি দেখানোর প্রয়োজনে নেতাদের কড়া নির্দেশ প্রতিজন কর্মী কম করে হলেও যেন বিশাটা করে টেনশন ফ্রি ভোট দেয়। তাছাড়া নেতারা তাদের আশ্বস্ত করেছে ভোট কেন্দ্রগুলোয় বাইরের পুলিশ, বিজিবি, থেকে শুরুকরে ভিতরের প্রিজাইডিং অফিসার সবাই তাদের পকেটস্থ খরিদ করা লোক। যেমন: [নির্বচন কালীন দূর্ঘটনার জন্য আলী'গ সরকারের তরফ থেকে ৫,০০,০০০ পাচঁলক্ষ টাকা ডেমারেজ ফি দেওয়ার জাতীয় পত্রিকাগুলোর মাধ্যমে প্রকাশ্য ঘোষনা প্রধান] তারা তাদের তর্ক অনুযায়ী একজন বলছে আমি এখনে পর্যন্ত ৮টা দিলাম, আরেকজন বলছে বলিস কি! আটবার ভোট কেন্দ্রে গেলি আসলি এলাকার লোকজন কি কেউ দেখেনি? ১ম জন: আরে বোকা আটবার যাওয়া আসার কি দরকার? প্রথমবার ডুকেইতো ৮'টা ব্যালট পেপার একসাথে সিল মেরে আসলুম! ২য় জন: কি ভাবে? ১ম জন: আরে তুর এতো কিছু ভাবতে হবেনা, তুই যাষ্ট ডুকে একজায়গায় দাড়ায় থাকবি ব্যাস্ তারপর তুর আর নিজ থেকে কিচ্ছু করা লাগবেনা। সব ওরা করেদিবে। ২য় জন: সব ওরা করেদিবে মানে? এই যা্ ওখানে অনেক কাজ আছেনা? যেমন: কোন মার্কায় ভোট দিবি, কি ভাবে ব্যালট পেপার ভাজ করবি কত নিয়ম কানুন আছে। ১৮/২০টা ভোট দেওয়া কি চট্রিখানি কথা? আমি প্রথমবার ডুকেই ৮'টা দিয়ে আসলাম বাকি ১২'টা দুপুরের লাঞ্চের পর শেষকরবো। একদলিয় এই প্রহসনের নির্বাচনে বাংলাদেশের সমস্ত অপজিশন
পার্টির কোন সমর্থকই অংশ নিচ্ছেননা। যার কারণে দেশের ২০%সংখ্যালঘুর ৫% ছাড়া বাকি ১৫% সংখ্যালঘুদের সাথে ৮৫% সংখ্যাগরিষ্ট থেকে ৫% আওয়াম মুসলমান + ৫% মুসলমান পরিচয়ের চুপা/প্রকাশ্য ইসলাম বিদ্ধেষী আলী'গ ছাড়া বাকি ৭৫% বাংলাদেশী এই চাপিয়ে দেওয়া নির্বাচনকে বর্বর প্রহসন বলে আখ্যায়িত করে নির্বাচন বর্জনকরেছেন। সেইসাথে এই অসভ্য র্নিবাচন বর্জনের আহ্ববান সরূপ দেশব্যাপি গণ-অবরোধের ডাক দিয়েছেন। এ্ব্ই দশম জাতীয় নির্বাচনের ব্যপারটা এমন হাস্যকর পর্যায়ে পৌছে গেছে যে সারদাশের ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৫৬টি সংসদীয় আসনে বিনা ভোটে জিতিয়ে আবারো দুশাঃসনের সরকার ঘটন নিশ্চিত করেছে। বাকি ৩০০-১৫৬ = ১৪৪'টি নির্বাচনী আসনে র্নিবাচন পূর্ব মিছিল মিটিংয়ের আগ পিছে পুলিশ প্রহরা রেখে প্রতিধন্ধী প্রতিধন্ধী হাস্যকর খেলা খেলছে যা বুড়োদের সাথে একবারেই বেমানন। সদা উন্নিত নিত্য নতুন ইতিহাস শৃঙ্খলে আ'লীগের সমস্ত অর্জনকে ম্লান করে দিতে আজকের এই কলঙ্কময় ঘেন্নাযজ্ঞ অতুলনীয় ভূমিকা রাখবে। যে ভূমিকা হয়তো ১৯৭১'সালের নায়ককে ভিলেন, ভিলেন কে নায়কের ভূমিকায় পরিবর্তন করতে পারেত সমস্ত হিডেন ঘোমর ফাসঁ করে।
এতোকিছুর পরও যে প্রশ্নটা মনে উকিদেয়্ স্ব-যত্নে আ'লীগাররা কি ইতিহাস পড়েনা? ৭৫% জনমতের অসহযোগিতার সাথে পুরু বিশ্ব মতামতের বিপরীতে কেবল মাত্র রাষ্ট্রীয় পেটোয়া বাহিনী কিংবা দলের সন্ত্রাসী, খুনি দিয়ে দেশবাসির উপর, নিজেদের কুৎসিত লালসার ক্ষমতা আখড়ে রাখার কোন ইতিহাস তারা কবে কোথায় পড়েছি শুনি?
বিষয়: রাজনীতি
১৭৭৯ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন