মুসলিম বিদ্ধেষী হবোনাতো কি ছাই! হবো ?

লিখেছেন লিখেছেন সায়িদ মাহমুদ ১৯ নভেম্বর, ২০১৩, ০৭:৩০:৫২ সন্ধ্যা

“মিষ্টি খেয়ে মিষ্টির তারিফ করাটা কিন্তু স্বাভাবিক, কিন্তু রসগোল্লা না খেয়ে তার সমালোচনা করাটা অস্বাভাবিক”

একিভাবে অমুসিলমরা প্রণিত সাধারাণ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে অমুসলিম ধ্যান ধারণায় কথাবার্তা বলা যেমন স্বাভাবিক, তেমনিভাবে ইসলামি সাহিত্যে ও কুরআন-হাদিসের মর্মবাণি

না পড়ে ইসলামের সমালোচনা করটাও অস্বভাবিক।

মিষ্টিতো সবসময়ই মজার, কিন্তু রসগোল্লা আরো বেশি মজার। মিষ্টির পাশা পাশি রসগোল্লা যারা খেয়েছে শুধুমাত্র তারাই জানে কোনটি বেশি মজার, মিষ্টি নাকি রসগোল্লা?

রসগোল্লার তুলনায় মিষ্টি অনেক সহজলভ্য,

অন্যদিকে সাধারাণ সাহিত্যের তুলনায় ইসলামি সাহিত্যে ও কুরআন-হাদিসের ব্যাখ্যা তেমনি র্দুলভ্য।

সাধারাণ সাহিত্যে সহজলভ্য হওয়াতে ছোট-বড় সবাই সাধারাণ সাহিত্যের আকু-পাকুতে পঞ্চমুখ থাকে, ভাল জিনিস ও ভাল মানুষ, সবসময় র্সবত্রই একটু দুলর্ভ থাকে, তেমনিভাবে ইসলামি সাহিত্যেও ইসলামি ব্যক্তিত্ব সাধারাণ সাহিত্যে কিংবা সাহিত্যিকের তুলনায় সর্বত্রই দুর্লভ। কিন্তু যারা পড়ুয়া অনুসন্ধিৎসু যাদের মন, পড়তে ভালবাসেন যারা, পড়তে পড়তেই অজানাকে জানার আখাঙ্কা যাদের , তাদের সবারই উচিত সাধারাণ সাহিত্যের পাশাপাশি ইসলামি সাহিত্যের পাঠ, কিংবা আলোচনা [কম হলেও দৈনিক এক পৃষ্টা ]

অতপর ইসলাম সম্পর্কে জানুন, তারপর সিদ্ধান্ত নিন, তুলনা করুন, ইসলাম কি ও কেন? কারা মুসলমান আর কারা অমুসলমান?

ডাক্তারের ঘরে জন্মনিলেই ডাক্তার হওয়া যায়না, যদি রুগ নির্ণয় করতে না জানেন, ইন্জিনিয়ারের ঘরে জন্মনিলে ইন্জিনিয়ার হওয়া যায়না যদি আবিষ্কার করতে না পারেন। তেমনি ভাবে মুসলমানের ঘরে জন্মনিলে মুসলমান হওয়া যায়না যদি নিজের মধ্যে ইসলামিয়তের কাজ,কর্ম ও বিশ্বাস না আনেন। তবে মুসলমানের ঘরে জন্মনিলে কাফিরদের থেকে যে সুবিধাটা বেশি? তা পরিবেশ গত, যেমন একজন ডাক্তার হতে ইচ্ছুক ছাত্র তার ডাক্তার পরিবার থেকে ডাক্তরি বিষয়ক বিভিন্ন পয়-পরামর্শ পেয়ে উপকৃত হন। তেমনি করে মসুলমানের ঘরে জন্মনেয়া শিশুটিও র্নিবিঘ্নে ইসলামিয়ত শিক্ষা চর্চাকরার বিভিন্ন পয়-পরামর্শ পান। যারা চেষ্টা করবে তারা ডাক্তার হবে, ইন্জিনিয়ার হবে, মুসলমান হবে।কিন্তু যারা কিছুই করবেনা তারা না মুসলমান না কাফের? তারা হবে নাস্তিক।[আমাদের দেশে যারা আছে তারা ইসলাম বিদ্ধেষী]

আর এখন যারা নিজেদেরকে মুসলিম দাবির পাশাপাশি গর্বভরে নিজেদেরকে সেকুলার পরিচয় দিচ্ছে তাদের অবস্থা হলো।

যখন তারা ছোট ছিলেন ২ থেকে ৫/৬ বছর বয়স। তখন সপ্তাহে দুএকদিন মক্তবে গিয়ে আন্ডার মেট্রিক হুজুরদের কাছ থেকে কিছু মাসায়েল মাসায়েলা শুনেছিলেন কি শিখেছিলেন কনফিউজড়!!! তানিয়েই ভাবছে যে আমিতো অনেক কিছুই জানি, নামাজ জানি, কুরআন জানি (রিডিং) মুসলমান হতে আর কি লাগে? তৃপ্তির ঢেকুর তুলেন এই বলেযে I'm the expert!!! about ISLAM. অতচ তার সমগ্রজীবন ব্যায়করছেন সাধারাণ শিক্ষা আহরণের পেছনে, তার মধ্যে আবার ২০/২২ বছর অমুসলিমদের রচিত সাধারাণ শিক্ষায় একাডেমক অথবা ননএকাডেমিক কাটিয়ে দিয়েছেন। আর

নিজেকে মনে করছেন ইসলামিক জ্ঞানে সয়ংসম্পূর্ণ। অমুসলিমরাতো চাচ্ছেই যে আমরা তাদের মতো হই, কিন্তু তাতো সম্ভবনা তাদের মতো না পারলেও ইসলাম বিরূধী ঠিকই বানাচ্ছে।

ফল সরূপ যা হওয়ার তা হচ্ছে, ” মুক্ত পাখি পোষ মানছে, না উড়তে উড়তে মুরগি হচ্ছে”

বিষয়: বিবিধ

১৬১৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File