কত জঘন্য হলে একজন আবুল আলা মওদুদী হওয়া যায়!
লিখেছেন লিখেছেন সায়িদ মাহমুদ ১৮ নভেম্বর, ২০১৩, ০৪:১৭:৩৮ বিকাল
মানবজাতির ইতিহাস কমবেশি পঁচিশ হাজার বছরের। পৃথিবীর বয়সও সাড়ে চারকোটি বছর। এই বিশাল ও লম্বা সময়জুড়ে পৃথিবীতে লক্ষ নাবী-রাসূলদের সাথে অসংখ্য মহাপুরুষও জন্ম নিয়েছিলেন আবার প্রকৃতির আমোঘ নিয়মে সবাই মৃত্যুকে আলিঙ্গনও করেছেন, কম-বেশি সবারই পক্ষে,বিপক্ষে অনেক সমর্থক ও সমালোচক ছিলেন এবং এখনো আছেন। সভ্যতার এই পচিঁশ হাজার বছরের ইতিহাসে এমন কোন ব্যাক্তি বা মহাপুরুষ ছিলেননা যাদেরকে সমকালিন সব মানুষেরা সমর্থন, অসমর্থন কিংবা একচেটিয়া ভাবে ঘৃণা করেছিলেন। যেহেতু পৃথিবীর এই সুদীর্ঘ ইতিহাসে কোন ধর্মপ্রচারক, সমাজ সংস্কারক, বুদ্ধিজিবী, বিজ্ঞানী, লেখক কেউই সামলোচনার তীর থেকে মুক্তিপাননি। সেখানে আজকের দিনে কোন এক সাধারাণ ব্যাক্তিবিশেষ [মাওলানা মওদুদী সাহেব] সকল মত-পথ ও সব মানুষের একক সমর্থন ও শ্রদ্ধা ভালবাসা পাবেন তা আশাকরা কতটুক যুক্তি যুক্ত?, ইতিহাসের এই পথ পরিক্রমায় বহু আলোচিত ও সমালোচিত মানুষদের যে মিছিল সেই সব মিছিলের একজন সাধারাণ সারথির নাম সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী কিছু মানুষের কাছে যেমন শ্রদ্ধার তেমনি অন্যকিছু মানুষদের কাছে সামালোচনার, যেসব কারণে মানুষ তার সমালোচনা করছে আবার কেউ কেউ ভালবাসছে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ আপনাদের জানানোর চেষ্টা করছি মাত্র, সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদী ৫'ই সেপ্টেম্বর, ১৯০৩ সালে ভারতের আওরঙ্গাবাদ (বর্তমানে মহারাষ্ট্রের মধ্যে), হায়দারাবাদে জন্ম গ্রহণ করেছেন, এবং - ১৯৭৯ সালের, ২২শে সেপ্টেম্বের এই শতাব্দির শ্রেষ্ট ইসলামি র্দাশনিক (পাকিস্থানে) মৃত্যু বরণে করেন। তিনি মাওলানা মওদুদী বা শাইখ সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদী নামেও পরিচিত, ছিলেন একজন মুসলিম গবেষক, সাংবাদিক, মুসলিম রাজনৈতিক নেতা ও বিংশ শতাব্দীর একজন গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী চিন্তাবিদ ও দার্শনিক
মাওলানা মওদুদীর প্রভাব ছিল ব্যাপক। ইতিহাসবেত্তা ফিলিপ জেনকিন্সের মতে, মিসরের হাসান আল বান্না এবং সাইয়িদ কুতব তার বই পড়ে অনুপ্রাণিত হন।
হাসান আল বান্না, সাইয়িদ কুতব তার কাছ থেকে আদর্শ গ্রহণ করেন এবং এটি আরো সম্প্রসারিত করেন।
সাইয়িদ কুতুব
তিনি একটি অগ্রগামী ইসলামী বিপ্লবী দল গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। ফিলিস্তিনি ইসলামপন্থী জুরিস্ট আবদুল্লাহ আযযামও
তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। দক্ষিণ-এশীয় জনগন (বিরাট সংখ্যক ব্রিটেন প্রবাসী সহ) মাওলানা মওদুদীর দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছেন। এমনকি শিয়া অধ্যুষিত ইরানেও মওদুদীর বড় ধরণের প্রভাব আছে। ইরানের ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনী ১৯৬৩ সালে মাওলানা মওদুদীর সাথে সাক্ষাত করেন, পরবর্তীতে ইমাম খোমেনী মওদুদীর বইগুলো ফার্সি ভাষায় অনুবাদ করেন। এখনো পর্যন্ত প্রায়শঃই ইরানের ইসলামী
সরকার মাওলানা মওদুদীর কর্মপন্থা অনুসরন করে থাকে। ("To the present day, Iran's revolutionary rhetoric often draws on his themes.") ইমাম ইবনে তাইমিয়ার পর তিনি (মওদুদী) দ্বিতীয় চিন্তাবিদ যিনি আধুনিক বিশ্বে ইসলামী রাজনৈতিক চিন্তাধারা-কে প্রভাবিত করেছেন।
তার স্মরণিয় বাণী: “We cannot expect the rest of mankind to embrace Islam without any effort on our part”[/b]
সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
১৯১৮- সাংবাদিক হিসেবে 'বিজনোর' (Bijnore) পত্রিকায় কাজ শুরু করেন।
১৯২০- জবলপুরে দৈনিক 'তাজ' পত্রিকার এডিটর হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।
১৯২১- দিল্লিতে মাওলানা আব্দুস সালাম নিয়াজির কাছে আরবি শিক্ষা গ্রহণ করেন।
১৯২১- দৈনিক 'মুসলিম' পত্রিকার এডিটর হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।
১৯২৫- নয়া দিল্লির 'আল জামিয়াহ' পত্রিকার এডিটর হিসেবে নিয়োগ লাভ।
১৯২৬- দিল্লির 'দারুল উলুম ফতেহপুরি' থেকে 'উলুম-এ-আকালিয়া ওয়া নাকালিয়া' সনদ লাভ করেন।
১৯২৭- 'আল জিহাদ ফিল ইসলাম' নামে একটি গবেষণাধর্মী গ্রন্থ রচনা শুরু করেন।
১৯২৮- উক্ত প্রতিষ্ঠান (দারুল উলুম ফতেহপুরি) থেকে 'জামে তিরমিযি' এবং 'মুয়াত্তা ইমাম মালিক' সনদ লাভ করেন।
১৯৩০- 'আল জিহাদ ফিল ইসলাম' নামের বিখ্যাত বইটি প্রকাশিত হয়। তখন তার বয়স ২৭ বছর।
১৯৩৩- ভারতের হায়দারাবাদ থেকে 'তরজুমানুল কুরআন' নামক পত্রিকা প্রকাশ শুরু করেন।
১৯৩৭ - তার ৩৪ বছর বয়সে, লাহোরে, দক্ষিণ এশিয়ার কিংবদন্তিতুল্য মুসলিম কবি ও দার্শনিক আল্লামা মুহাম্মাদ ইকবালের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয় করিয়ে দেন চৌধুরী নিয়াজ আলী খান।
১৯৩৮- তার ৩৫ বছর বয়সে, হায়দারাবাদ থেকে পাঠানকোটে গমন করেন। সেখানে তিনে দারুল ইসলাম ট্রাস্ট ইনস্টিটিউটে যোগদান করেন, যেটি ১৯৩৬ সালে আল্লামা ইকবালের পরামর্শে চৌধুরী নিয়াজ আলী খান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পাঠানকোটের ৫ কিমি পশ্চিমে, জামালপুরে, চৌধুরী নিয়াজ আলী খানের ১০০০ একর এস্টেট ছিল। চৌধুরী নিয়াজ আলী খান সেখান থেকে ৬৬ একর জমি দান করেন।
১৯৪১ - লাহোরে 'জামায়াতে ইসলামী হিন্দ' নামে একটি ইসলামী রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর আমির হন।
১৯৪২ - জামায়াতে ইসলামীর প্রধান কার্যালয় পাঠানকোটে স্থানান্তর করেন।
১৯৪২ - তাফহীমুল কুরআন নামক তাফসির গ্রন্থ প্রনয়ন শুরু করেন।
১৯৪৭ - জামায়াতে ইসলামীর প্রধান কার্যালয় লাহোরের ইছরায় স্থানান্তর করেন।
১৯৪৮ - 'ইসলামী সংবিধান' ও 'ইসলামী সরকার' প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচারণা শুরু করেন।
১৯৪৮ - পাকিস্তান সরকার তাকে কারাগারে বন্দী করে।
১৯৪৯ - পাকিস্তান সরকার জামায়াতের 'ইসলামী সংবিধানের রূপরেখা' গ্রহণ করে।
১৯৫০- কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন।
১৯৫৩- 'কাদিয়ানী সমস্যা' নামে একটি বই লিখে কাদিয়ানী বা আহমদিয়া সম্প্রদায়কে অমুসলিম প্রমাণ করেন। এ সময় অনেকগুলো সংগঠন একযোগে কাদিয়ানীদেরকে সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষনার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। তারা সর্বদলীয় কনভেনশনে ২৭শে ফেব্রুয়ারি তারিখে 'ডাইরেক্ট একশন কমিটি' গঠন করে। জামায়াত এই কমিটির বিরোধিতা করে অহিংস আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নেয়। কিন্তু তথাপি মার্চ মাসের শুরুতে আন্দোলন চরম আকার ধারন করে এবং পুলিশের গুলিতে কিছু লোক নিহত হয়। পরে একটি সামরিক আদালত আবুল আ'লাকে এই গোলযোগের জন্য দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয়, (যদিও কাদিয়ানী সমস্যা নামক বইটি বাজেয়াপ্ত করা হয়নি)। অবশ্য সেই মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকর করা হয়নি।
১৯৫৩- মৃত্যুদন্ডাদেশ পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড করা হয়, কিন্তু পরে তা-ও প্রত্যাহার করা হয়।
১৯৫৮- সামরিক শাসক ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান 'জামায়াতে ইসলামী'কে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেন।
১৯৬৪- আবারো তাকে কারাবন্দী করা হয়।
১৯৬৪- কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
১৯৭১- পাকিস্তানের অখন্ডতার পক্ষে অবস্থান নেন, অর্থাৎ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নেন।
১৯৭২ -তাফহীমুল কুরআন নামক তাফসির গ্রন্থটির রচনা সম্পন্ন করেন।
১৯৭২- জামায়াতে ইসলামীর আমির পদ থেকে ইস্তফা দেন।
১৯৭৮ - তার রচিত শেষ বই 'সিরাতে সারওয়ারে আলম' প্রকাশিত হয়। এটি হযরত মুহাম্মাদ সাঃ এর জীবনী গ্রন্থ।
১৯৭৯ - চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গমন করেন।
১৯৭৯- যুক্তরাষ্ট্রে তার মৃত্যু হয়।
১৯৭৯- লাহোরের ইছরায় তাকে সমাধিস্থ করা হয়।
মৃত্যুর পর দেশে-বিদেশে - ওনার জানাজ ও গায়েবানা জানাজ অনুষ্টিত হয়েছিল মোট ৭২ বার।
একবার ওনি রজনৈতিক সভায় কর্মিদের উদ্দেশ্য বক্তব্য রাখছিলেন এমন সময় সরকারের গুন্ডাবাহীনারা মঞ্চের দিকে মূর্হুমূহ গুলি করছিলেন এমন সময় তাকে নিরাপদে রাখার প্রয়োজনে সংঘঠনের বেশ কয়েকজন সাথি নিজেদেরকে শত্রুর ভূলেটের সামনে মানব ঢাল হিসেবে সপে দিয়ে জনাব মওদুদীকে মঞ্চে বসিয়ে দিলেন, তখন মওদুদী সাহেব তার কর্মীদের উদ্দেশ্য বললেন সরো তোমরা আমি যদি বসে পড়ি দাড়িয়ে থাকবে কে? এ থেকে বুঝা যায় রাজনীতির ময়দানেও তিনি কথ সাহসিও কত মহান নেতা ছিলেন।
রাজনীতরি পাশা পাশি ওনি একজন জগতখ্যাত ইসলামী দার্শনিক ও সু-লেখক ছিলেন যার লিখিত বই সমূহের মধ্যে [আমার জানামতে] ২৯ টি বাংলা ভাষায় অনূদীত হয়েছে সেসবের অধিকাংশই আল কুরআন, হাদীস-সুন্নাহ, সীরাত, ইসলামী জীবন ব্যবস্থা, ফিকাহ্ ও মাসেয়ল, নারী, পরিবারিক জীবন, আত্বোন্নয়ন ও আত্বশুদ্ধি, অর্থনীতি, শিক্ষা ও সাহিত্য, ,কিশোর সিরিজ, দাওয়াত ও আন্দোলন, ব্যক্তিত্ব ও বিবিধ বই সহ অসংখ্য বইয়ের রচয়িতা ছিলেন জানাব সাইয়েদ আবুল আলা মাওদুদী সাহেব।
এছাড়াও ওনি ১৯৪৭ সালে ভারতিয়-উপমাহদেশ বিভাজনেরও বিরূধীতা করেছিলেন, যখন এই উপমহাদেশের বিখ্যাত ইসলামিক বিদ্যাপিঠ দারুল উলুম দেওবন্দের বাঘা বাঘা মুফতিরা ফতওয়া দিয়েছিলেন যে এই ভারত বর্ষ মুসলমানদের বসবাস অযোগ্য (ধারুল হরব) ঘোষনা দিয়ে ভরত বর্ষথেকে সকল মুসলমান নারী-পুরুষদের হীজরত করা প্রয়োজন বলে ফতওয়া দিয়েছিলেন। মাওলানা দারুল উলুমের ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও ওনি তার সেই সব পিতৃতুল্য শিক্ষকদের অযৌক্তিক ফতওয়ার বিরূদ্ধে সাহসি ও বলিষ্ট কলম ধরেছিলেন, তিনি লিখেছিলেন এই ভারত আমাদের এই সমগ্র ভারতকে আমরাই সাজিয়েছি দিল্লীর কুতুব মিনার, আহমেদাবাদ, হায়দারাবাদ, আগ্রার তাজমহল দিয়ে, আমাদের শিকড় আমদের মূল এই মাঠি হতে উত্তিত্ব, আমরা এদেশেরই সন্তান এ-মাঠিতেই আমাদের বাপ-দাদার ভিটে-মাঠি। এদেশ আমাদের, তাগুতের ভয় নয় তাগুতকে জয় করতেই আমাদের জন্ম এমনি হৃদয়গ্রাহী লিখা/লিখি করে (দারুল হরব) ঘোষনা করা ফতওয়ার বিরূধীতা করেছেন, আজকে ভারতে যা কিছু মুসলমান অবস্থান করছেন পাকিস্থান-আফগানিস্থান না গিয়ে। তা মাওলানা মওদুদীদের মতো কতক সাহসী মানুষের অবদান যারা ব্রিটিশ ও হিন্দু কোলাবোরেটদের রক্তচক্ষুকে পদঘাত করেছেন জীবনের পরতে পরতে, শুধুমাত্র ইসলামিয়তের প্রয়োজনে। মুসলিম সাহিত্য শিক্ষা প্রসারের নিমিত্তে। অতচ আজকে যখন সারা দুনিয়া ব্যাপি ইসলামের আলোকে নিভিয়ে দেয়ার প্রকাশ্য ষড়যন্ত্র চলছে ঠিক তখনি আমাদেরই কিছু ভাই জেনে না জেনে এই মহান ইসলামিক দার্শনিকের নামে নানান অভিযোগ/বিষেদঘার/অশালিন কটুক্তি করছেন আমাদেরই অনেক মুসলিম বন্ধু-বান্ধব। যার অধিকাংশই সংকির্ণ মনা মুসলিম বিদ্ধেষীদের ছড়ানো গুজব, কাল্পনিক ইসলাম বিরূধীতা [বর্তমানে ওনার অনেক বই বিক্রিত ভাবে প্রকাশ ও প্রচার করা হয়েছে] যাদের মনে তার সম্পর্কে খারাপ ধারনা স্থায়ি, তাদের প্রতি অনুরূধ করবো আপনারা তার লিখিত বই সমূহ পড়ুন তারপর সিদ্ধান্ত নিন তাকে ঘৃণা করবেন নাকি ভালবাসবেন, তার সমালোচনা করবেন নাকি আলোচনা পর্যালোচনা করবেন? যদিও ইসলামের আভন্তরিন সংঘাত ও দন্ধকে জিইয়ে রাখার প্রয়োজনে অনেক সংকির্ণ মনা স্বর্থন্বেষী মহল দিনরাত্রি তার বিরূদ্ধে বিষেদগারও বিদ্ধেষ ছড়ানোতে লিপ্ত, আপনি হয়েতো নিজের অজান্তে সেইসব কুচক্রিদের প্রভাবে প্রভাবিত হয়েআছেন। সুতরাং আপনার উচিত একজন সত্যে সুন্দর অনুসন্ধিৎসু বিবেকবান মানুষ হিসেবে কারো কথা, প্রচারণা ও শুনা কথায় কানদিয়ে তারউপর উপর ঘৃণা,বিদ্ধেষ, হিংসা দির্ঘায়ীত না করে তার সম্পর্কে জানা তার লিখা বইগুলো পড়া। আল্লাহ্ আমাদের প্রত্যেককে বিবেক দিয়েছেন যে বিবেকের কারণে আমরা সৃষ্টির সেরা জীব হয়েছি, সেই বিবেক দ্ধারাই ডিসাইড করবেন তার সম্পর্কে অনুসন্ধান করবেন নাকি ঘৃণা করবেন?
বিষয়: বিবিধ
৯৩৭১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন