রমযান আলোচনা: সহ-শিক্ষা বা কো-এডুকেশন
লিখেছেন লিখেছেন নিশা৩ ২৫ জুলাই, ২০১৪, ০৪:৩৩:৫৭ রাত
সহ-শিক্ষা বা কো-এডুকেশন কি?
সহ-শিক্ষা বা কো-এডুকেশন এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা যেখানে পুরুষ ও মহিলারা পড়া-লেখার জন্য একইসাথে সহ অবস্থান করে। এই শিক্ষা পরিবেশে ছেলে-মেয়ে বা পুরুষ- মহিলার একত্রে মেলা-মেশা, কথা-বার্তা, গল্প-গুজবে কোনরুপ প্রাতিষ্ঠানিক বাঁধা থাকে না। যখন আমরা সহ-শিক্ষার আলোচনা করি তখন মূলত প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়ে বা মহিলা-পুরুষের একত্রে অবস্থান করে শিক্ষা লাভ করাকেই ধরে নেই।
এই ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা অধুনা সমাজ ব্যবস্থারই একটি ফসল। ছেলে-মেয়ের সমতা রক্ষার দাবিতে ১৯৭২ সালে এমেরিকার পাবলিক স্কুলগুলোতে সহ-শিক্ষা বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়। এরপর এ ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা সারা বিশ্বব্যপি ছড়িয়ে পরে।
উপকারিতা ও অপকারিতা:
এ শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে দুই ধরনের বিশেষগ্গদের মতামত পাওয়া যায়। এ ব্যবস্থার পক্ষে এবং বিপক্ষে। পক্ষের যুক্তি দাতাদের মজবুত যুক্তি এই যে, সহ-শিক্ষা বাস্তব জীবনে সফলভাবে কাজ করার ভিত্তি গড়ে দেয়। ছেলে-মেয়ের পারস্পরিক মেলা-মেশার মধ্য দিয়ে তারা পরস্পরের প্রতি সহনশীল হওয়ার শিক্ষা পায় যাতে পরবর্তিতে কর্মজীবনে তারা বিপরীত লিংগের সহকর্মীর সাথে আচরনে কোনপ্রকার সংকোচ বা অসহনশীল হয় না। কারন একই লিংগের শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে পড়াশুনা করে বড় হলেও কর্মক্ষেত্রে উভয় লিংগের সাথেই কাজ করে যেতে হয়।
এর অপকারিতা হলো আগুনে ঘি ঢেলে দেয়ার মত। প্রকৃতিগত ভাবেই ছেলে-মেয়ে পরস্পরের প্রতি আকর্ষন বোধ করে। তাই এই বোধটিকে যখন লাগামহীন ভাবে চর্চার সুযোগ করে দেয়া হয় তখন নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্ম হয়। প্রথমে নিস্পাপ বন্ধুত্ব ( সুগার কোটেড ) তারপর এখানে-সেখানে নাম-পরিচয়হীন শিশু ( বিষফল)।
ইসলাম কি বলে?
ইসলামের দৃষ্টিকোন থেকে কো-এডুকেশন পর্দা ব্যবস্থার সাথে সাংঘর্সিক। তাই পর্দা অনুসরন না করার যে কুফল তাই সহ-শিক্ষার কুফল। পবিত্র কুরআনে বর্নিত, অর্থ ঃ হে নবী! আপনি মুমিন পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থান সমূহের হেফাজত করে। এটা তাদের জন্য উত্তম। নিশ্চয়ই তারা যা করে, আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত। (সুরা আল নূর - ২৪ ঃ ৩০)
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী করিম (সঃ) বলেছেন, মহিলারা হলো পর্দায় থাকার বস্তু। সুতরাং, তারা যখন (পর্দা উপেক্ষা করে) বাইরে আসে তখন শয়তান তাদেরকে (অন্য পুরুষের দৃষ্টিতে) সুসজ্জিত করে দেখায়। (তিরমিযী, মেশকাত)
তাই এ ব্যাপারে ইসলামিক দৃষ্টিভংগি হলো ছেলে-মেয়েরা পৃথক পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থেকে শিক্ষা গ্রহন করবে। আর কারো যদি সে সুযোগ না থাকে তবে পরিপুর্ন পর্দা অবলম্বন করে গ্যান অর্জন করবে। যে কোন ধরনের যুক্তি গ্রহনের পূর্বে আমরা যেন আমাদের বিশ্বাসকে অগ্রাধিকার দেই। মহান আল্লাহপাক আমাদেরকে তার পথে চলা সহজ করে দেন। আমিন।
সহ-শিক্ষার উপর ড: জাকির নায়েকের ভিডিও দেখুন:
http://www.youtube.com/watch?v=9ScY1RiU93I
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
বিষয়: বিবিধ
১৮০৪ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভালো লাগ্লো...
আপনার পারসেন্টেজ (হাজিরা) এত্ত কম কেন? ঈদের ছুটি পাবেন কিনা সন্দেহ...
অনেক অনেক
ধন্যবাদ আপু সুন্দর
শেয়ারের জন্য ।
অগ্রিম ঈদ মোবারাক আপু
মন্তব্য করতে লগইন করুন