গতিময় ধীরগতি
লিখেছেন লিখেছেন নিশা৩ ০৯ মে, ২০১৪, ০৬:১৫:২২ সকাল
ভালো মানুষগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশী মিল কোথায়? ঠিক ধরেছেন, তাদের সবার একটা সুন্দর মন আছে। এই সুন্দর মনটা তাদের ভাল কিছু করতে উৎসাহিত করে। আজ আপনাদের এরকম কিছু সুন্দর মনের গল্প বলব। যদিও মানুষগুলো ছোট কিন্ত তারা আমাদের ভাল কিছু শিখাতে চায়। আসুন তাহলে গল্পটি শুনি:
একটি ক্লাসে শিক্ষক তার শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছেন। তিনি একটা খেলার মাধ্যমে তাদের কিছু শেখাতে চান। প্রথমে সবাই গোল হয়ে দাঁড়াবে। তাদের একজনের হাতে থাকবে প্লাস্টিকের একটা গ্লাস। তারপর শিক্ষক একটি অক্ষর বলবেন। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যার হাতে গ্লাসটি থাকবে সে কয়েকটি শব্দ বলবে। প্রতিটি শব্দ ই শুরু হবে সেই অক্ষরটি দিয়ে যা শিক্ষক বলেছেন। যখন সে শব্দগুলো বলতে থাকবে তখন তার হাতের কাপটি হাত বদল করতে থাকবে। কাপটি তার হাতে ফিরে আসা পর্যন্ত তার সময়। প্রথমে শিক্ষার্থীরা বলবে ৩ টি শব্দ, এরপর ৫ টি, ৮ টি। এভাবে শব্দ সংখ্যা বাড়বে।
এই শিক্ষার্থীদের ভীড়ে ছিলো একজন যার ছিলো তোতলামি রোগ। শিক্ষক থমকে গেলেন যখন সেই মেয়েটির হাতে কাপটি গেলো।সমস্ত ক্লাস নিশ্চুপ। কেউ কেউ এদিক ওদিক মাথা নাড়ছে। নাহ্! ও পারবেনা এইরকম ভাব। তিনি নরম সুরে জিজ্ঞাসা করলেন, "তুমি কি খেলায় অংশগ্রহন করতে চাও?" মেয়েটি উপর নীচে মাথা নাড়ল।
খেলা শুরু হলো। ছাত্রীটি সাধ্যমতো তোতলামি সহশব্দগুলো বলতে থাকলো। এক একটি শব্দ বলতে তার যেন একযুগ লেগে যাচ্ছিলো।
হঠাৎ শিক্ষক এর খেয়াল হলো যে গ্লাসটি কোথায়? ওটি তো এতক্ষণে মেয়েটির হাতে এসে পৌছার কথা। তিনি ঘুরে তাকালেন। শিক্ষক দেখলেন অত্যন্ত ধীরগতিতে গ্লাসটি একজনের হাত থেকে অন্যজনের হাতে যাচ্ছে। ইত:মধ্যে একজন হাত থেকে গ্লাসটি ফেলে দিল। তারপর খুব আস্তে আস্তে তুলে পাশের জনের হাতে দিল। এভাবে মেয়েটি পর্যাপ্ত সময় পেল।
শিক্ষক জিজ্ঞাসা করলেন, "তোমরা কি জানতে মেয়েটি তোতলা?"
ছাত্র-ছাত্রীরা মূচকি হেসে হ্যাঁ সুচক ভঙ্গিতে মাথা নাড়লো।
তিনি আবার জানতে চাইলেন, " তোমরা কি উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ধীরে গ্লাস হাত বদল করেছ?"
এবারো তাদের সেই হাসি আর ইতিবাচক ভঙ্গিমা।
শিক্ষক বল্লেন," তোমরা কি জান, জীবনে কিছু মূহুর্ত আসবে যখন ধীররগতিতে চলে অন্যকে সাহায্য করা জরুরী?"
শিক্ষার্থীরা সবজান্তাদের মতো বলল, "হ্যাঁ।" ভাবটা যেন, এই নেও তোমার সার্টিফিকেট আমাদের কাছ থেকে।
কত সুন্দর এই ধীরগতির গতি! আসুন আমরাও ভাল কাজ করি। মাঝে মাঝে অন্যের প্রয়জনে ধীরে চলি। আর এ কাজ করি একমাত্র আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন এর সন্তষ্টির উদ্দেশে।
বিষয়: বিবিধ
১২৯৮ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
১> বিয়ের উপযুক্ত হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়ে করা।
২> আজান দেওয়ার সাথে সাথে নামাজে যাওয়া।
৩> মৃত বেক্তিকে দাফন করা।
(হাদিসটি জানা আছে তবে বইয়ের নাম নম্বর জানা নেই)
ব্লগে লেখা শুরু করায় আপনাকে ধন্যবাদ ও স্বাগত জানাই
আপনাকে ও ধন্যবাদ। আপনার পরামর্শ
আমার লেখার গতিকে সাবলীল করবে ইনশাআল্লাহ্।
খুশি হয়ে যাবে। আমরা মহিলারা যে কত অলপে খুশি হই স্বামিরা তা জানলে শুধু কথা দিয়েই মন ভরিয়ে দিত।
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জণ্য।
এটাকে বলে টিমওয়ার্ক।
টিমের কেউ ফাস্ট আর কেউ স্লো থাকলে যে ফাস্ট সে একটু স্লো হবে আর যে স্লো সে একটু ফাস্ট হবে তাহলে সাফল্য অবধারিত।
অন্যথায়,১০০-১=০ হয়ে যায়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন